অঁতোনি মার্সিয়াল

অঁতোনি জরোন মার্সিয়াল (ফরাসি উচ্চারণ: [maʁsjal]; জন্ম ডিসেম্বর ১৯৯৫) হলেন একজন ফরাসি পেশাদার ফুটবলার যিনি একজন ফরওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয় ইংলিশ ঘরোয়া ফুটবল লিগ প্রিমিয়ার লিগ-এর বিখ্যাত ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং ফ্রান্ম জাতীয় দল-এর হয়ে খেলে থাকেন। ২০১৫ সালের ইউরোপীয় অঞ্চলের সেরা অনুর্ধ-২১ বছর খেলোয়াড় হিসেবে গোল্ডেন বয় অ্যাওয়ার্ড-এর গ্রহীতা করেছিলেন।[4]

অঁতোনি মার্সিয়াল
২০১৭ সালে মার্সিয়াল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-এর হয়ে খেলছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম অঁতোনি জরোন মার্সিয়াল [1]
জন্ম (1995-12-05) ৫ ডিসেম্বর ১৯৯৫[2]
জন্ম স্থান ম্যাসি, ফ্রান্স
উচ্চতা ১.৮১ মিটার[3]
মাঠে অবস্থান ফরওয়ার্ড
ক্লাবের তথ্য
বর্তমান ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
জার্সি নম্বর ১১
যুব পর্যায়ের খেলোয়াড়ী জীবন
বছর দল
২০০১–২০০৯ কো লেস উলিস
২০০৯–২০১২ লিয়ন
২০১৩ লিয়ন
২০১৩ মোনাকো বি (৩)
২০১৩–২০১৫ মোনাকো ৪৯ (১১)
২০১৫– ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ১০৪ (৩২)
জাতীয় দল
বছর দল উপস্থিতি
২০১০–২০১১ ফ্রান্স অনুর্ধ-১৬ ১৭ (৯)
২০১১–২০১২ ফ্রান্স অনুর্ধ-১৭ ১৩ (৯)
২০১২–২০১৩ ফ্রান্স অনুর্ধ-১৮ (৩)
২০১৩ ফ্রান্স অনুর্ধ-১৯ (০)
২০১৩–২০১৫ ফ্রান্স অনুর্ধ-২১ ১২ (৪)
২০১৫– ফ্রান্স ১৮ (১)

† উপস্থিতি(গোল সংখ্যা)।

‡ জাতীয় দলের হয়ে খেলার সংখ্যা এবং গোল ১৯ জানুয়ারী ২০১৯ তারিখ অনুযায়ী সঠিক।

কিশোরকালীন সময়ে তিনি ফরাসী ফুটবল ক্লাব লেস উলিস-এর হয়ে খেলেছেন, তিনি তার পেশাদার খেলোয়াড়ী জীবন শুরু করেন জনপ্রিয় ফরাসী ক্লাব লিয়ন-এ, এর পরবর্তীতে ২০১৩ সালে ৬ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে আরেক ফরাসী ক্লাব এএস মোনাকো'তে চলে আসেন। তিনি দুই মৌসুমের জন্য মোনাকো দলের সদস্য ছিলেন, এর পরবর্তীতে ২০১৫ সালে তিনি জনপ্রিয় ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-এ প্রাথমিক ফি ৩৬ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে যোগ দেন, যেটির পরিমান আরো বেড়ে সম্ভাব্য ৫৭ মিলিয়ন পাউন্ড হতে পারে।[5] এটি ফুটবলের ইতিহাসে একজন কিশোর ফুটবলারকে কেনার জন্য প্রদত্ত সর্বোচ্চ পরিমান ফিবাবদ অর্থ এমনকি সম্ভাব্য অর্থের পরিমান বাড়ার আগেও। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে খেলা প্রথম ম্যাচেই তিনি গোল করেন, এছাড়াও ইংলিশ ফুটবল ক্যারিয়ারে তার পার করা প্রথম মাসেই প্রমিয়ার লিগ প্লেয়ার অব দ্য মান্থ হিসেবে তার নাম ঘোষণা করা হয়।

তিনি কিশোর হিসেবে ফ্রান্সের হতে অনুর্ধ-১৬ হতে অনুর্ধ-২১-এর আন্তর্জাতিক পর্যায় পযন্ত খেলেছেন, ২০১৫ সালে মার্সিয়াল তার জ্যেষ্ঠ খেলোয়াড়ী জীবনে অভিষেক ঘটান। তিনি ২০১৬ সালে ঘরের মাটিতে অনুষ্ঠিত ইউয়েফা ইউরো ২০১৬-এর জন্য ঘোষিত ফ্রান্স জাতীয় দলে জায়গা পান।

২০১৫ সালে মার্সিয়াল মার্সিয়াল এএস মোনাকো'র হয়ে খেলছেন

ক্লাব খেলোয়াড়ী জীবন

প্রাথমিক খেলোয়াড়ী জীবন এবং লিয়ন

জন্ম, ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস থেকে ১৪.৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ম্যাসি নামক শহরতলীতে, এটি মূলত প্যারিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় অবস্থানে অবস্থিত, মার্সিয়াল ২০০১ সাল থেকে তার কিশোর বছর গুলো প্যারিস-শহর কেন্দ্রিক ফুটবল ক্লাব সিও লেস উলিস-এর সাথে ব্যয় করেন,[6] যেটি সেই একই দল যেটি ফ্রান্সের আন্তর্জাতিক কিংবদন্তী খেলোয়াড় থেইরি হেনরী এবং পেট্রিস ইভরা-এর মত খেলোয়াড়দের সৃষ্টি করেছে।[7] ইভরা খুব কাছ থেকেই মার্সিয়ালের অগ্রগতি নিরীক্ষন করেছেন, এবং তার ১২ বছর বয়স থাকাকালীন সময়ে তার নিজেস্ব ফুটবল খেলার বুট জোড়া দিয়ে তাকে খেলর সুযোগ দিয়েছিলেন।[7] একই বয়সে মার্সিয়াল জনপ্রিয় ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি-তে খেলার পরীক্ষা দিয়েছিলো।[7]

২০১৫ সালে মার্সিয়াল ফ্রান্স জাতীয় দলের হয়ে খেলছেন।

২০১২ সালের ৬ই ডিসেম্বর তিনি লিয়নের হয়ে পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেক ঘটান, যেখানে তিনি ২০১২-১৩ ইউরোপা লিগ-এর গ্রুপ পর্ব-এর খেলায় ইজায়েলী ফুটবল ক্লাব হাপোয়েল ইরোনি কিরয়াত সোমোনা-এর বিরুদ্ধে, তার দলের গোলকরা খেলোয়াড় ইয়াসি বেনজিয়া-এর বদলে শেষের ১০ মিনিটের জন্য মাঠে নামেন। খেলাটিতে তারা ২-০ গোলে জয়লাভ করে, খেলাটি আয়োজিত হয় ফ্রান্সের লিয়ন শহরে অবস্থিত স্টেট দ্য গার্লল্যান্ড স্টেডিয়ামে।

ম্যানচেস্টার এউনাইটেড

ট্রান্সফার

২০১৫ সালে মার্সিয়াল ম্যানচেস্টার এউনাইটেড-এর হয়ে খেলছেন।

২০১৫ সালের ১লা সেপ্টেম্বর, মার্সিয়াল ইংলিশ ফুটবল ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-এ ৩৬ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে খেলার জন্য চলে আসে, সম্ভাব্য এটি বেড়ে ৫৮ মিলিয়ন পাউন্ডে দাড়াতে পারে, তিনি চার ক্লাবটির সাথে চার বছর এছাড়াও আরো এক বছর থাকার জন্য নিজের সিদ্ধান্তের উপর ছেড়ে দেয়ার চুক্তিতে আবদ্ধ হন।[8][9]

২০১৭ সালে মার্সিয়াল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-এর হয়ে খেলছেন

ব্যক্তিগত জীবন

মার্সিয়াল গুয়াদলুপ বংশর।[10] তার বড় ভাই, জোহান, ইজরায়েলী ক্লাব মাচাবি পেটাহ টিকবা এর হয়ে একজন পেশাদার ডিফেন্ডার হিসেবে খেলে থাকেন, যিনি ফ্রান্স অনুর্ধ-২১ পর্যায়ের ফুটবল দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তার আরেকজন বড় ভাই রয়েছেন, ডোরিয়ান, তিনি লেস উলিসের জ্যেষ্ঠ দলে খেলে থাকেন। [7] মার্সিয়াল পরিবার তাদের শিশুদের শিক্ষার উপর খুব জোড় দিয়ে থাকে।[7] তার কিশোরকালীন ফুটবল শিক্ষকরা লাজুক এবং শান্ত প্রকৃতির মানুষ হিসেবে বর্ননা করেছেন।[7] মার্সিয়াল একজন ক্যাথলিক এবং তিনি প্রত্যেক খেলার আগে প্রার্থনা করে থাকেন।[11]

তথ্যসূত্র

  1. "Squads for 2016/17 Premier League confirmed"। Premier League। ১ সেপ্টেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৭
  2. "Anthony Martial"11v11.com। AFS Enterprises। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০১৮
  3. "Anthony Martial: Overview"। Premier League। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০১৮
  4. "Anthony Martial wins Golden Boy award – Official Manchester United Website"। Manchester United F.C.। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৭
  5. "Anthony Martial could cost Man United £57.6 million – Monaco vice-president"ESPN FC
  6. "Joueur – Anthony MARTIAL"fff.fr। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০১৩
  7. "Anthony Martial: The making of Manchester United's star"। BBC Sport। ২৩ অক্টোবর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০১৫
  8. Jackson, Jamie (১ সেপ্টেম্বর ২০১৫)। "Anthony Martial signs for Manchester United for £36m from Monaco"The Guardian। London। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০১৫
  9. Upal, Sunni; Barlow, Matt (১ সেপ্টেম্বর ২০১৫)। "Manchester United complete £36m Anthony Martial transfer on four-year deal"Daily Mail। London। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০১৫
  10. "Un transfert ultra médiatique pour LE [sic] Guadeloupéen Anthony Martial" [A high-profile transfer for the Guadeloupean Anthony Martial] (French ভাষায়)। Radio Caraibe International। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০১৫
  11. "Worst case scenario for Manchester United striker Anthony Martial as lover and ex-wife team up"। ২৪ জুলাই ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৭

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.