সোরাবজি কোলা
সোরাবজি হরমাসজি মানচার্ষা কোলা (
![]() ১৯৩২ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে সোরাবজি কোলা | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | সোরাবজি হরমাসজি মানচার্ষা কোলা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | বোম্বে (বর্তমানে - মুম্বই), মহারাষ্ট্র, ভারত | ২২ সেপ্টেম্বর ১৯০২|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১১ সেপ্টেম্বর ১৯৫০ ৪৭) আহমেদাবাদ, গুজরাত, ভারত | (বয়স|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম পেস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় পার্শ্ব |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২) | ২৫ জুন ১৯৩২ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৫ ডিসেম্বর ১৯৩৩ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে মুম্বই, নয়ানগর, পারসিস ও পশ্চিম ভারত দলের প্রতিনিধিত্ব করেন সোরাবজি কোলা। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন তিনি।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
বোম্বেতে পড়াশোনা সম্পন্ন করেছেন। কিশোর অবস্থাতেই সোরাবজি কোলা তার ক্রীড়া প্রতিভার বিচ্ছুরণ ঘটান। চমৎকারভাবে স্ট্রোকপ্লে মারতেন ও ফিল্ডার হিসেবেও তার যথেষ্ট সুনাম ছিল।
১৯২২-২৩ মৌসুম থেকে ১৯৪১-৪২ মৌসুম পর্যন্ত সোরাবজি কোলা’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। আক্রমণধর্মী ব্যাটসম্যান ছিলেন তিনি। পশ্চিম ভারত, নয়ানগর ও বোম্বের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রধান ব্যাটিং মেরদণ্ডকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ১৯২২ থেকে ১৯৪২ সময়কালে দলগুলোর পক্ষে খেলেন। ২৯.০৮ গড়ে ছয় সেঞ্চুরি সহযোগে ৩৫৭৮ রান তুলেন।
রঞ্জী ট্রফিতে পশ্চিম ভারত ও নয়ানগর দলের পক্ষে খেলেন। এছাড়াও, বোম্বে পঞ্চদলীয় খেলায় পারসিসের অধিনায়কত্ব করেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন সোরাবজি কোলা। ২৫ জুন, ১৯৩২ তারিখে লর্ডসে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ১৫ ডিসেম্বর, ১৯৩৩ তারিখে মুম্বইয়ে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
ইংল্যান্ড গমনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভারত দলের সদস্য হন। প্রথম-শ্রেণীর খেলাগুলোয় বেশ ভালো খেলেন। ১৯৩২ সালে লর্ডসে পোরবন্দরের মহারাজার নেতৃত্বাধীন ভারতের সদস্যরূপে স্বাগতিক ইংরেজ দলের বিপক্ষে তাদের ইতিহাসের সর্বপ্রথম টেস্ট খেলার জন্যে মনোনীত হন। ইংল্যান্ড সফরে নিখিল ভারত দলটিতে লাল সিং, ফিরোজ পালিয়া, জাহাঙ্গীর খান, মোহাম্মদ নিসার, অমর সিং, বাহাদুর কাপাডিয়া, শঙ্কররাও গোদাম্বে, গুলাম মোহাম্মদ, জনার্দন নাভলে, সৈয়দ ওয়াজির আলী, সি. কে. নায়ডু, পোরবন্দরের মহারাজা, কেএস লিম্বডি, নাজির আলী, নাউমল জিউমল, সোরাবজি কোলা, নারিম্যান মার্শাল ছিলেন। তবে, একটিমাত্র টেস্টে তিনি ২২ ও ৪ রান করেন। দক্ষ ফিল্ডার হিসেবে দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেন।
ইংল্যান্ড সফরে ১৯৬৯ রান করেন। তন্মধ্যে, প্রথম-শ্রেণীর খেলাগুলোয় করেন ৯০০ রান। এ সফরে দলীয় অধিনায়ক সি. কে. নায়ড়ু’র সাথে তার সম্পর্কের মারাত্মক অবনতি ঘটেছিল। দেশে ফেরার পথে জাহাজ থেকে নায়ড়ুকে ফেলে দেয়ার হুমকি দেন।
ইংল্যান্ডের মুখোমুখি
ইংল্যান্ড থেকে ফিরে আসার পর পরবর্তী বছরে বোম্বে জিমখানায় অনুষ্ঠিত টেস্টে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পুণরায় অংশ নেন। ঐ সিরিজটি ভারতের পরবর্তী টেস্ট ও ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্ট ছিল। নিচেরদিকে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩১ ও ১২ রান তুলেন। এছাড়াও, ১৯৩৫ সালে অস্ট্রেলিয়ান সার্ভিসেস একাদশ ও ১৯৩৭ সালে লর্ড টেনিসন দলের বিপক্ষে খেলেন।
১১ সেপ্টেম্বর, ১৯৫০ তারিখে ৪৭ বছর বয়সে গুজরাতের আহমেদাবাদ এলাকায় সোরাবজি কোলা’র দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
- List of India Test Cricketers
- "India – Test Batting Averages"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে সোরাবজি কোলা
(ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে সোরাবজি কোলা
(সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)