যিশুর ঐতিহাসিক সত্যতা

ইসলাম, খ্রিস্টানবাহাই - এই তিনটি ধর্মে, যিশুর ঐতিহাসিক সত্যতাকে তাদের ধর্মগ্রন্থসমূহের ভিত্তিতে স্বতঃসিদ্ধভাবে গ্রহণ করা হয়েছে। তথাপি, এটাও সত্য যে, যিশুর সমসাময়িককালের এমন কোনো দলিল আজও পাওয়া যায় নি, যাতে যিশুর অস্তিত্বের কোনো উল্লেখ আছে। যিশুর সবচেয়ে প্রাচীন উল্লেখ হল নতুন বাইবেল, আধুনিক ইতিহাসবিদদের মতে যার রচনাকাল যিশুর অনুমিত মৃত্যুকালের কয়েক দশক পর। ধর্ম তিনটিতে যিশুকে মসিহ মনে করা হয়, যদিও মসিহের ভূমিকা প্রসঙ্গে ধর্মসমূহের ধারণা ভিন্ন। অপরদিকে ধর্মনিরপেক্ষ ইতিহাসবিদ ও অন্যান্য ধর্মের (যেমন ইহুদি ধর্ম ) অনুসারীগণ যিশুকে একজন সাধারণ মানুষ বলে মনে করেন, এমনকি অনেকে মনে করেন যিশু বলে আসলে কেউ কখনো ছিলো না।

অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন বাইবেলে যিশুর জীবনের যে বর্ণনা তা নিরপেক্ষ কোনো ঐতিহাসিক দলিল নয়, বরং নতুন বিশ্বাস প্রতিষ্ঠার তাগিদে লিখিত কোনো ঐতিহাসিক ব্যাক্তিত্বের জীবনের উপর ধর্মীয় বা পৌরাণিক রচনা। সেক্ষেত্রে, কোন বর্ণনাটি ঐতিহাসিক সত্য, আর কোন বর্ণনাটি নয়, তা আলাদা করা ইতিহাসবিদদের জন্য কঠিন একটি কাজ। বর্ণনার অনেক অংশ অতিরঞ্জিত, কোনো উপকথা হতে গৃহীত বা সম্পূর্ণ বানোয়াট হতে পারে। এমনকি, ঐতিহাসিকভাবে সত্য বর্ণনাসমূহও পুনঃবর্ণনায় পরিবর্তন হয়ে থাকতে পারে বলে তারা মনে করেন।

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.