যিশুর ক্রুসবিদ্ধকরণ

যিশু খ্রিস্ট, ইসলাম ধর্মমতে যাকে ঈসা নবী বলে আখ্যায়িত করা হয়, খ্রিস্টানদের মতে তার ক্রুসবিদ্ধকরণের ঘটনাটি ঘটেছিল খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দীতে, আনুমানিক ৩০-৩৩ সালের মধ্যে। তাঁর এই ক্রুশবিদ্ধের ঘটনার সবথেকে ভাল বিবরণ পাওয়া যায় খ্রিস্টানদের ধর্মগ্রন্থ বাইবেল-এর নূতন নিয়মের প্রথম চারটি বইতে যা সুসমাচার নামে পরিচিত। যিশু খ্রিস্টের এই ক্রুশবিদ্ধকরণের ঘটনাটি প্রাচীন অনেক উৎস মোতাবেক একটি প্রতিষ্ঠিত ঘটনা এবং অন্য ধর্মালম্বীদের বিভিন্ন উৎস দ্বারা স্বীকৃত।[1] তবে ইসলাম ধর্মমত অনুযায়ী যীশু বা ঈসাকে হত্যাও করা হয় নি, শূলেও চড়ানো হয়নি।[2] ইতিহাসবিদগণ এই বিষয়ে সম্পূর্নভাবে একমত হতে পারেনি যে সেখানে প্রকৃতপক্ষে কি ঘটেছিল।[3][4][5] বাইবেলে উল্লেখিত সুসমাচার অনুযায়ী যিশুকে খ্রিস্ট বলা হয়, তাঁকে তৎকালীন রাজা পিলাতের আইনসভা কর্তৃক অন্যায়ভাবে ধরে এনে অপমান করা হয় এবং পরে রাজা পিলাতের কাছে পাঠানো হলে সে প্রথমে চাবুক মারার আদেশ এবং পরবর্তীতে বাধ্য হয়ে ক্রুশে দেবার আদেশ দেয় এবং অবশেষে রোমীয়রা তাঁকে ক্রুশে দেয়।[6][7][8] ক্রুশবিদ্ধ করার আগে যিশু খ্রিস্টের শরীর থেকে তার কাপড় খুলে নিয়ে তাকে চাবুকের আঘাত করা হয় এবং পিত্ত মেশানো আঙ্গুর রস খেতে দেওয়া হয়। এবং যিশুর সাহাবী মথির লেখা সুসমাচার অনুযায়ী পরে তাকে দুইজন দন্ডপ্রাপ্ত দস্যুর মাঝে তাঁকে ক্রুশে দেওয়া হয় এবং তার ক্রুশের উপর বিদ্রুপ করে লিখে দেওয়া হয় " INRI " অনুবাদ করলে যার অর্থ দাঁড়ায় " এই ব্যক্তি যিশু, ইহূদীদের রাজা " যার উল্লেখ তাঁর সাহাবী ইউহোন্না যাকে যোহন বলা হয় তার লেখা সুসমাচারে পাওয়া যায়। ইউহোন্না আরো উল্লেখ করেছেন যে যিশুকে ক্রুশে দেবার পর সৈন্যরা তাঁর জামাকাপড় লটারী করে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়। চারটি সুসমাচারের মধ্যে ইউহোন্না বা যোহনের লেখা সুসমাচারে উল্লেখ আছে যে, যিশুকে ক্রুশে দেবার পর একজন সৈন্য তার দেহে বর্শা দিয়ে খুঁচিয়ে নিশ্চিত হন যে তিঁনি মারা গেছেন কিনা। বাইবেল অনুসারে যিশু খ্রিস্ট ক্রুশেবিদ্ধ থাকা অবস্থায় সাতটি বাণী দেন এবং তার জীবদ্দশায় তিঁনি অনেক অলৌকিক কাজ করেন।

দিয়েগো ভেলাজকুয়েজ কর্তৃক খ্রীষ্টের ক্রুশবিদ্ধকরণ (প্রায়. ১৬৩২)। মুজেয়ো দেল প্রাদো, মাদ্রিদ

যিশুর এই কষ্টভোগ এবং পরিত্রানের জন্য ক্রুশবিদ্ধ হওয়া খ্রিস্টান ধর্মতত্ত্ব অনু্যায়ী মানুষের পরিত্রান ও পাপ থেকে মুক্তির মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত। 

ঐতিহাসিক সত্যতা

Crucifixion of Jesus of Nazareth, medieval illustration from the Hortus deliciarum of Herrad of Landsberg (12th century)
Descent from the Cross, depicted by Rubens

যিশুর বাপ্তিস্ম (জলে অভিষেক) এবং ক্রুশবিদ্ধ করনের বিষয় দুটি ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত দুটি সত্য ঘটনা বলে বিবেচিত হয়[4][5]। James Dunn উল্লেখ করেছেন যে, " যিশুর জীবনের দুইটা ঘটনা প্রায় সর্বজন স্বীকৃত " এবং " ক্রমবিন্যাস করলে যা একদম উপরের সারিতে আসে যা ' অস্বীকার বা সন্দেহ করার সুযোগ নেই বললেই চলে " এবং ঐতিহাসিক যিশুকে নিয়ে যেকোন গবেষণার ক্ষেত্রে এই বিষয় গুলো মূল ভিত্তি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। Bart Ehrman বলেছেন যে, পন্টিয়াস পিলাতের আদেশে যিশুর ক্রুশবিদ্ধকরনের ঘটনাটি তাঁর সম্পর্কে সবচেয়ে নির্দিষ্ট ঘটনা। John Dominic Crossan বলেন যে , "যিশুর ক্রুশবিদ্ধকরণটি কোন ঐতিহাসিক ঘটনা যতটা সত্য হতে পারে তার মতই সত্য " Eddy and Boyd বলেন যে, বিষয়টি এখন "দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত" যে যিশুর ক্রুশবিদ্ধকরণের বিষয়টা খ্রিস্টান ব্যতীত অন্য উৎসেরও নিশ্চয়তা রয়েছে।Craig Blomberg বলেছেন যে, ঐতিহাসিক যিশুর বিষয়ে তৃতীয় অনুসন্ধানে অধিকাংশ গবেষকই ক্রুশবিদ্ধকরন বিষয়টাকে তর্কাতীত বলে মনে করেন।Christopher M. Tuckett বলেছেন যে, যদিও যিশুর মৃত্যুর সঠিক কারণটি নির্ধারণ করা বেশ কঠিন , কিন্তু এটা একটা অবিতর্কনীয় বিষয় যে তাঁকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল।

গবেষকরা ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার ঐতিহাসিক সত্যতার সাথে একমত হলেও , ক্রুশবিদ্ধকরনের কারণ ও দৃষ্টিকোণ নিয়ে তাদের মধ্যে মতভেদ আছে। উদাহরণস্বরূপ, E. P. Sanders এবং Paula Fredriksen উভয়ই ক্রুশবিদ্ধের ঐতিহাসিক সত্যতা সমর্থন করলেও একথা বলেন যে, যীশু তাঁর নিজের ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে কোন ভবিষ্যদ্বাণী করেননি এবং ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী করার যে কথাটি প্রচলিত আছে তা আসলে "গির্জায় সৃষ্ট" (পৃঃ 1২6)।Geza Vermes আবার ক্রুশবিদ্ধকরনের বিষয়টা একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে দেখেন কিন্তু এটির পিছনে নিজস্ব ব্যাখ্যা এবং পটভূমি প্রদান করেন।

John P. Meier যিশুর ক্রুশবিদ্ধকরনকে ঐতিহাসিক সত্য হিসেবে দেখেন এবং বলেছেন যে, criterion of embarrassment বা বিব্রতকর পরিস্থিতির মানদন্ড এর উপর ভিত্তি করে এটা বলা যে, খ্রিস্টানরা নিশ্চয় তাদের নেতার বেদনাদায়ক মৃত্যু নিজেরা বানিয়ে লিখে থাকবে না।Meier বলেছেন যে, অন্যান্য মানদণ্ডগুলি যেমন, একাধিক সাক্ষ্যের মাপদণ্ড (একাধিক উৎসের দ্বারা নিশ্চিতকরণ) এবং দৃঢ়তার পরিমাপ (অর্থাৎ, এটি অন্যান্য ঐতিহাসিক সত্যতার সাথে একমত পোষণ করে) যিশুর ক্রুশবিদ্ধকরণকে একটি ঐতিহাসিক সত্য ঘটনা হিসেবে প্রতিষ্ঠ করতে সাহায্য করে।

যদিও ক্রুশবিদ্ধকরণ সংক্রান্ত প্রায় সব প্রাচীন উৎস পুঁথিগত বা দলিলভিত্তিক, 1968 সালে জেরুজালেমের উত্তরপূর্বাঞ্চলে প্রথম শতাব্দীতে ক্রুশবিদ্ধ হওয়া এক ব্যক্তির দেহের পুরাতাত্ত্বিক আবিষ্কারে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণি ত হয়েছে যে, প্রাচীন রোমান যুগে ক্রুশবিদ্ধকরনের ঘটনা ঘটেছিল এবং তার ধরন বাইবেলের সুসমাচারে বর্ণনা করা যিশুর ক্রুশবিদ্ধকরনের সাথে প্রায় সম্পূর্ন মিলে যায়। ক্রুশবিদ্ধ মানুষটিকে Yehohanan ben Hagkol বলে চিহ্নিত করা হয় এবং ধারণা করা হয় রোমের বিরুদ্ধে ইহুদি বিদ্রোহের সময় প্রায় 70 খ্রিস্টাব্দে তার মৃত্যু হয়। Hadassah Medical School এর এক গবেষনায় ধারনা করা হয় যে লোকটি ২০ বছর বয়সে মারা যায়। আরেকটি প্রাসঙ্গিক প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান হচ্ছে , যা খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দীর হিসেবে ধারনা করা হয়, জেরুজালেম কবরস্থানে আবিষ্কৃত একটি অজ্ঞাত গোড়ালি হাড় এবং সঙ্গে একটি কাঁটা, যা এখন ইস্রায়েল প্রাচীন সম্পদ কর্তৃপক্ষ দ্বারা সংরক্ষিত এবং ইস্রায়েল যাদুঘরে প্রদর্শিত।

 নতূন নিয়মের বিবরন

যিশুর মৃত্যুর  ব্যাপারে বিস্তারির প্রথম বিবরণটি পাওয়া যায় বাইবেলে বর্ণিত চারটি সুসমাচারে। নতূন নিয়মের অন্যান্য বইতেও আরও অস্পষ্ট রেফারেন্স রয়েছে। এই সুসমাচারে, যিশু তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি তিনটি আলাদা পর্বের মধ্যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। চারটি সুসমাচারই বর্ণিত হয়েছে যিশুর গ্রেফতারের বিস্তারিত, পুরোহিতদের আদালতে প্রাথমিক বিচারের নামে প্রহসন, রাজা পীলাতের চূড়ান্ত বিচার, যেখানে তাকে চাবুক মারা হয় এবং দোষী হিসেবে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেওয়া হয়। ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার স্থান পর্যন্ত অন্য কেউ তাঁর ক্রুশ বহন করে নিয়ে যাওয়ার কথা শুধুমাত্র যোহনের সুসমাচারের উল্লেখ পাওয়া যায়, যদিও যিশুকে চাবুক মারা ও আরো অত্যাচার করার পরও একটা সময় পর্যন্ত নিজের ক্রুশ বহন করতে বাধ্য করা হয়। অতঃপর তার ক্রুশবিদ্ধকরন, সমাধি এবং পুনরুত্থানের বিবরণ দিয়ে শেষ হয়। বাইবেলে উল্লেখিত সুসমাচার এবং অন্যান্য বইগুলিতে তাঁর মৃত্যু আত্মত্যাগ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। প্রতিটি সুসমাচারে যিশুর জীবনের এই পাঁচটি ঘটনার কাহিনীর অন্য যে কোন ঘটনার তুলনায় অধিক বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে। গবেষকরা বলেন যে পাঠকরা এখান থেকে এই ঘটনার প্রায় প্রতি ঘণ্টার হিসাব পান যে আসলে কি ঘটেছিল।

একবার গলগথাতে, যিশুকে পিত্ত মেশানো আঙ্গুর রস দেওয়া হয়েছিল। তার সাহাবী বা শিষ্য মথি এবং মার্ক এর সুসমাচারে উল্লেখ করেছেন যে তিঁনি তা প্রত্যাখ্যান করেন । তারপর  তাঁজে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়  এবং দুই দোষী সাব্যস্ত চোরের মধ্যে তাঁকে ঝুলানো হয়। মূল গ্রীক থেকে কিছু অনুবাদ অনুযায়ী, চোররা দুজন বেন্ডিট  অথবা ইহুদি বিদ্রোহী হতে পারে। মার্কের সুসমাচারের মতে, তিঁনি তৃতীয় ঘন্টা (আনুমানিক সকাল ৯ টা) হতে প্রায় ছয় ঘণ্টা (আনুমানিক বিকাল ৩টা) তাঁর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার যন্ত্রণা ভোগ করেন। যিশুকে ক্রুশে দেবার পর সৈন্যরা তার ক্রুশে তাঁর মাথার উপর একটা ফলক লাগিয়ে দেয় যেখানে লেখা ছিল, " নাসারতী যিশু, যিঁনি ইহূদীদের রাজা" যোহনের সুসমাচার  অনুযায়ী যা তিনটি ভাষায় লেখা ছিল এবং যোহনের সুসমাচারে আরো উল্লেখ পাওয়া যায় যে সৈন্যরা তাঁর পোশাকগুলি  বা তার কাপড়গুলি ভাগ করে নেয়।  যোহনের সুসমাচার অনুযায়ী, রোমীয় সৈন্যরা যিশুর পা ভেঙে ফেলেননি, যা তারা ক্রুশবিদ্ধ অন্যান্য দুজনের ক্ষেত্রে করেছিল (পা ভেঙে ফেললে ক্রুশবিদ্ধকরন প্রক্রিয়াটি তাড়াতাড়ি হয়), কারন যিশু ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছিলেন ।প্রতিটি সুসমাচারে যীশুর শেষ বাক্যগুলির নিজস্ব বিবরণ রয়েছে, এবং সাতটি বিবৃতিকে একসাথে জুড়ে দিয়েছে। Synoptic Gospels মধ্যে, ক্রুশবিদ্ধকরনের সময় বিভিন্ন অতিপ্রাকৃত ঘটনা ঘটার কথা বর্ণনা করা হয়েছে , যার মধ্যে অন্ধকারাচ্ছন্নতা, একটি ভূমিকম্প, এবং (মথির সুসমাচারে) পুনরুত্থান। যিশুর মৃত্যুর পর, তার দেহটি অরিমাথের জোসেফ ক্রুশ থেকে নামিয়ে এবং নিকোডেমাসের সহায়তায় একটি পাথর-খোদাই সমাধিতে কবর দিয়েছিল।

The Crucifixion. Christ on the Cross between two thieves. Illumination from the Vaux Passional, 16th Century
Bronzino's depiction of the Crucifixion with 3 nails, no ropes, and a hypopodium standing support, c. 1545.

চারটি সুসমাচার মতে, যিশুকে " মাথার খুলি নামক স্থান" এ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং দুইজন চোরের সাথে "ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল "ইহুদীদের রাজা" দাবির করার অভিযোগে, এবং সৈন্যরা তার মৃত্যু এবং মাথা নীচু করার আগেই তার কাপড় ভাগ করে ফেলে । তার মৃত্যুর পর, অরিমাথিয়ার জোসেফ পিলাত থেকে মৃতদেহ চান এবং একটি নতুন বাগানের কবরের মধ্যে তা সমাধিস্থ করেন।

তিনটি সুসমাচার এছাড়াও ক্রিয়েনের সাইমন কতৃক যীশুর ক্রুশ বহনের বর্ণনা, চোর / ডাকাত/ বিদ্রোহীদের সঙ্গে যীশুকে অপমান করা, এবং ষষ্ঠ থেকে নবম ঘন্টা অন্ধকারাচ্ছন্নতা, এবং মন্দির পর্দা শীর্ষ থেকে নীচে ছিড়ে যাওয়ার বর্ণনা করে। সুসমাচার গুলো এসকল ঘটনার অনেক সাক্ষীর উল্লেখ করে যার মধ্যে এক জন সেনা সহ কয়েকজন মহিলা যারা দূর থেকে দেখেছিল এমনকি তাদের দুইজন সমাধীর সময়ো উপস্থিত  ছিল।

লূক একমাত্র সুমাচার লেখক যিনি খাঁটি মদ মিশ্রণের বিবরণটি বাদ দিয়েছিলেন যা ঈসা মসিহকে একটি খাগড়াতে দেওয়া হয়েছিল, যখন কেবল মার্ক এবং যোহন ইউসুফকে ব্যাখ্যা করেছেন যে যোসেফ তাঁর দেহটি ক্রুশ থেকে নামিয়েছিলেন।

অনেক বিশদ বিবরণ রয়েছে যা শুধুমাত্র সুমাচার অ্যাকাউন্টগুলির একটিতে পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, শুধুমাত্র মথি তার সুসমাচারে একটি ভূমিকম্প উল্লেখ করে, পুনরুত্থিত সন্তানের যারা শহর গিয়েছিলেন এবং রোমান সৈন্যদের সমাধি রক্ষা করার জন্য নিযুক্ত করা হয়, মার্ক ক্রুশবিদ্ধ করার প্রকৃত সময় (তৃতীয় ঘন্টা, অথবা 9 am ) এবং যীশুর মৃত্যুর বিষয়ে সেনাপতির বর্ণনার কথা উল্লেখ করেছেন। লূকের অনন্য অবদানসমূহের সুসমাচারে শোকগ্রস্থ মহিলাদের প্রতি যীশুর বাণীর কথা বলা হয়েছে, এক অপরাধী কতৃক অন্যকে তিরস্কার,  বিশ্রামবার আসার আগেই মহিলাদের মশলা ও পেঁয়াজ প্রস্তুত করে রাখার কথা। যোহন একমাত্র সেই অনুরোধটি উল্লেখ করেছেন যীশুর পা ভেঙ্গে যায় এবং সৈনিকের যিশুর বুকের পাশে (ওল্ড টেস্টামেন্টের ভবিষ্যদ্বাণীর পূরণ হিসেবে) বর্শা দিয়ে খুচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে, সেইসাথে নিকোডেমাস কতৃক যোষেফকে সাহায্য করা যিশুকে কবর দেবার কাজে

করিন্থীয়দের প্রথম চিঠি অনুযায়ী (1 কর। 15: 4), ঈসা মশীহ  পুনরায় জীবিত হন। ("তৃতীয় দিনে" ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার দিনটিকে ১ম দিন গণনা করে) এবং কালক্রমিক সুমাচার অনুযায়ী কয়েকবার  তাঁর শিষ্যদের কাছে হাজির হন স্বর্গে আরোহন করারআগে। প্রেরিতদের প্রেরিত কাজের বিবরণ, যা ঈসা মসিহ চল্লিশ দিনের জন্য প্রেরিতদের সাথে রয়েছেন বলে লূকরের সুসমাচারের বিবরণ থেকে আলাদা, যা ইস্টার সানডে এবং অ্যাসেনশনের ঘটনাগুলির মধ্যে কোন স্পষ্ট পার্থক্য সৃষ্টি করে না। যাইহোক, বেশিরভাগ বাইবেলের পণ্ডিতরা সম্মত হন যে সেন্ট লুকও প্রেরিতদের প্রেরিতদের রচনা করেছিলেন তাদের সুমাচার অ্যাকাউন্টে ফলো-আপ ভলিউম হিসাবে, এবং দুটি কাজকে সম্পূর্ণরূপে বিবেচনা করা উচিত

শিল্প, প্রতীক ও ভক্তিতে

তথ্যসূত্র

  1. R., Eddy, Paul (২০০৭)। The Jesus legend : a case for the historical reliability of the synoptic Jesus tradition। Grand Rapids, MI: Baker Academic। আইএসবিএন 0801031141।
  2. কুরআন ৪:১৫৭
  3. The Cambridge companion to Jesus। Cambridge: Cambridge University Press। ২০০১। আইএসবিএন 9780521796781।
  4. The acts of Jesus : the search for the authentic deeds of Jesus (1st ed সংস্করণ)। [San Francisco]: HarperSanFrancisco। ১৯৯৮। আইএসবিএন 9780060629786।
  5. 1955-, Blomberg, Craig L., (২০০৯)। Jesus and the Gospels : an introduction and survey (2nd ed সংস্করণ)। Nashville, Tenn.: B & H Academic। আইএসবিএন 0805444823।
  6. Studying the historical Jesus : evaluations of the state of current research। Leiden: Brill। ১৯৯৮। আইএসবিএন 9004111425।
  7. 1957-, Köstenberger, Andreas J., (২০০৯)। The cradle, the cross, and the crown : an introduction to the New Testament। Nashville, Tenn.: B & H Academic। আইএসবিএন 9780805443653।
  8. Jesus and the oral Gospel tradition। London: T & T Clark International। ২০০৪। আইএসবিএন 0567040909।

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.