পশ্চিম সিয়াং জেলা
পশ্চিম সিয়াং জেলা হল ভারতের অরুণাচল প্রদেশ রাজ্যের একটি জেলা। ১৯৮৯ সালে এই জেলার একটি অংশ নিয়ে পূর্ব সিয়াং জেলা গঠিত হয়।[2]
পশ্চিম সিয়াং জেলা | |
---|---|
অরুণাচল প্রদেশের জেলা | |
![]() অরুণাচল প্রদেশে পশ্চিম সিয়াংয়ের অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | অরুণাচল প্রদেশ |
সদরদপ্তর | আলং |
আয়তন | |
• মোট | ৮৩২৫ কিমি২ (৩২১৪ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[1] | |
• মোট | ১,১২,২৭২ |
• জনঘনত্ব | ১৩/কিমি২ (৩৫/বর্গমাইল) |
জনতাত্ত্বিক | |
• সাক্ষরতা | ৬৭.৬%[1] |
• লিঙ্গানুপাত | ৯১৬[1] |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
ভূগোল
পশ্চিম সিয়াং জেলার সদর শহর হল আলং। এই জেলার আয়তন ৮,৩২৫ বর্গকিলোমিটার (৩,২১৪ মা২)।[3] এই আয়তন ক্রিট দ্বীপের প্রায় সমান।[4]
বিভাগ
অরুণাচল প্রদেশ বিধানসভার সাতটি আসন এই জেলায় অবস্থিত: লিরোমোবা, লিকাবালি, বাসার, আলং পশ্চিম, আলং পূর্ব, রুমগং ও মেচুকা। প্রথম ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্র অরুণাচল পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্র ও মেচুকা বিধানসভা কেন্দ্র অরুণাচল পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত।[5]
জনপরিসংখ্যান
২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, পশ্চিম সিয়াং জেলার জনসংখ্যা ১১২,২৭২।[1] এই জনসংখ্যা গ্রেনাডা রাষ্ট্রের জনসংখ্যার প্রায় সমান।[6] ভারতের ৬৪০টি জেলার মধ্যে জনসংখ্যার হিসেবে এই জেলার জনসংখ্যা ৬১২তম।[1] জেলার জনঘনত্ব ১৩ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (৩৪ জন/বর্গমাইল) ।[1] ২০০১-২০১১ দশকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৮.০৪%।[1] পশ্চিম সিয়াং জেলার লিঙ্গানুপাতের হার প্রতি ১০০০ পুরুষে ৯১৬ জন নারী।[1] জেলার সাক্ষরতার হারf ৬৭.৬২%.[1]
আদি, মেম্বা ও খাম্বা উপজাতির মানুষেরা এই জেলায় বাস করেন। আদি উপজাতির মানুষেরা দোনয়ি-পোলো ধর্মের অনুগামী। তবে কেউ কেউ ব্যাপ্টিস্ট খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেছে। মেম্বা ও খাম্বা উপজাতির মানুষেরা তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের অনুগামী। মেম্বা উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চলের তিব্বতি বৌদ্ধ মন্দির মেচুকা গোম্পা বিখ্যাত।
উদ্ভিদ ও প্রাণী
এই জেলায় প্রচুর বন্যপ্রাণী দেখা যায়। মিশমি টাকিন, স্নো লেপার্ড, রেড পান্ডা ও মাস্ক ডিয়ারের মতো দুষ্প্রাপ্য প্রাণী এবং ব্লিদস ট্র্যাগোপানের মতো দুষ্প্রাপ্য পাখি দেখা যায়।[9] এছাড়া দেখা যায় উড়ুক্কু কাঠবিড়ালি।[10]
১৯৯১ সালে পশ্চিম সিয়াং জেলায় কানে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য স্থাপিত হয়। এই অভয়ারণ্যের আয়তন ৫৫ কিমি২ (২১.২ মা২)।[11]
পাদটীকা
- "District Census 2011" (ইংরেজি ভাষায়)। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০।
- Law, Gwillim (২৫ সেপ্টেম্বর ২০১১)। "Districts of India"। Statoids (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-১১।
- Srivastava, Dayawanti et al. (ed.) (২০১০)। "States and Union Territories: Arunachal Pradesh: Government"। India 2010: A Reference Annual (ইংরেজি ভাষায়) (54th সংস্করণ)। New Delhi, India: Additional Director General, Publications Division, Ministry of Information and Broadcasting (India), Government of India। পৃষ্ঠা 1113। আইএসবিএন 978-81-230-1617-7।
- "Island Directory Tables: Islands by Land Area" (ইংরেজি ভাষায়)। জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি 2। ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-১১।
- "Assembly Constituencies allocation w.r.t District and Parliamentary Constituencies" (ইংরেজি ভাষায়)। Chief Electoral Officer, Arunachal Pradesh website। ১৩ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০১১।
- US Directorate of Intelligence। "Country Comparison:Population" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-০১।
- M. Paul Lewis, সম্পাদক (২০০৯)। "Adi: A language of India"। Ethnologue: Languages of the World (ইংরেজি ভাষায়) (16th edition সংস্করণ)। Dallas, Texas: SIL International। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-২৮।
- M. Paul Lewis, সম্পাদক (২০০৯)। "Galo: A language of India"। Ethnologue: Languages of the World (ইংরেজি ভাষায়) (16th edition সংস্করণ)। Dallas, Texas: SIL International। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-২৮।
- Choudhury, Anwaruddin (2008) Survey of mammals and birds in Dihang-Dibang biosphere reserve, Arunachal Pradesh. Final report to Ministry of Environment & Forests, Government of India. The Rhino Foundation for nature in NE India, Guwahati, India. 70pp.
- Choudhury,Anwaruddin (2007).A new flying squirrel of the genus Petaurista Link from Arunachal Pradesh in north-east India. The Newsletter and Journal of the RhinoFoundation for nat. in NE India 7: 26–34, plates.
- Indian Ministry of Forests and Environment। "Protected areas: Arunachal Pradesh" (ইংরেজি ভাষায়)। ২৩ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১১।