হুয়াংহো নদী

হুয়াংহো নদী[টীকা 1] চীনের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী। এর অপর নাম পীত নদী। হুয়াংহো নদীর সর্ব্বমোট দৈর্ঘ্য ৫৪৬৪ কিলোমিটার। এশিয়ার ২য় বৃহত্তম নদী। ছিংহাই প্রদেশের বায়ান হার পবর্তের উত্তরাংশে হুযাংহো নদীর উৎপত্তি হয়ে নদীটি পীতসাগরে পতিত হয়েছে। ছিংহাই, সিছুয়ান, কানসু , নিংশিয়া, অন্তর্দেশীয় মঙ্গোলিয়া, শাআনশি, শানশি, হনান আর শানতুং প্রদেশের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে হুয়াংহো নদী শানতুং প্রদেশের খেনলি জেলায় বেহাই সাগরে গিয়ে মিশেছে। লানযে, বাত্তথৌ, যেমষ্ঠে, জিনোন প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ শহর-বন্দর এ নদীর তীরে অবস্থিত।

হুয়াংহো নদী
দেশগণপ্রজাতন্ত্রী চায়না
অববাহিকার বৈশিষ্ট্য
মোহনাবোহাই সাগর
প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য
দৈর্ঘ্য৫৪৬৪ কি.মি. (৩৩৯৮ মাইল)

চীনের দুঃখ

হুয়াংহো নদী অর্থাৎ পীতনদীকে "চীনের দু:খ" বলা হত। প্রাচীন চীনে প্রায়ই হুয়াংহো নদী ছাপিয়ে উঠে সবকিছু বন্যায় ভাসিয়ে দিত বলে এই নদীর নাম ছিল "চিনের দু:খ"। ইতিহাসে ছাব্বিশবার এই নদীর গতিপথ বদল হয়েছে অতি প্রচন্ডভাবে। এর ফলে প্রত্যেকবারই চীনের জনগণের জীবনে নেমে এসেছে অবর্ণনীয় দু:খদুদর্শা। নয়া চীন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর চীন সরকার হুয়াংহো নদীর উজানের দিকে ও মধ্য এলাকা বরাবর মৌলিক গুরুত্বসম্পন্ন কতকগুলো জলসংরক্ষণ প্রকল্প নিমার্ণ করেছে এবং ভাটির দিকে নদীর পাড়ের ভেড়িগুলোকে আরো মজবুত করেছে। এভাবে বিংশ শতাব্দীতে নদীর তীরবর্তী জনসাধারণের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করা হয়েছে।

গুরুত্ব

হুয়াংহো নদীর অববাহিকার পশুচারণ ভূমি বেশ উর্বর ও খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ। এই নদীর অববাহিকাতে চীনের প্রাচীনতম সভ্যতা গড়ে উঠেছিল। এ নদীর অববাহিকা চীনের সভ্যতা, ইতিহাস ও সংস্কৃতির লালনাগর।

টীকা

  1. এই ম্যান্ডারিন চীনা ব্যক্তিনাম বা স্থাননামটির বাংলা প্রতিবর্ণীকরণে উইকিপিডিয়া:বাংলা ভাষায় ম্যান্ডারিন চীনা শব্দের প্রতিবর্ণীকরণ শীর্ষক রচনাশৈলী নিদের্শিকাতে ব্যাখ্যাকৃত নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে।

তথ্যসূত্র

  • Sinclair, Kevin. 1987. The Yellow River: A 5000 Year Journey Through China. (Based on the television documentary). Child & Associates Publishing, Chatswood, Sydney, Australia. আইএসবিএন ০-৮৬৭৭৭-৩৪৭-২

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.