হার্ট অফ ডার্কনেস

হার্ট অফ ডার্কনেস (১৮৯৯) পলিশ উপন্যাসিক জোসেফ কনরাড কর্তৃক লিখিত একটি ইংরেজি ছোট উপন্যাস। উপন্যাসটি ফ্রেইম ন্যারেটিভ পদ্ধতিতে লেখা যাতে চার্লস মার্লো নামের একজন চরিত্রকে দেখা যায় যিনি সেন্ট্রাল আফ্রিকার কঙ্গো নদীর মধ্য দিয়ে হাতির দাঁত পরিবহনের কাজ করেন। লেখক এই নদীটিকে কঙ্গোর শক্তিশালী নদী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মানচিত্রে নদীটিকে দেখলে মনে একটা বিশাল সাপ যেটি এর প্যাঁচ ছাড়িয়ে আছে যার মাথা সাগরে, দেহ এই বিশাল দেশে বক্রাকারে ছড়িয়ে আছে এবং যার লেজটি এই দেশের গভীরে হারিয়ে গেছে। সেন্ট্রাল আফ্রিকার ভ্রমণের পরিক্রমায় মার্লো কুর্টজ নামে একজন ইংরেজের প্রতি আবিষ্ট হয়ে পড়েন।

হার্ট অফ ডার্কনেস
হার্ট অফ ডার্কনেস 'ব্ল্যাকউডস' ম্যাগাজিন' এ প্রথমে তিন খন্ডের সিরিয়াল গল্পের আকারে প্রকাশিত হয়
লেখকজোসেফ কনরাড
দেশযুক্তরাজ্য
ভাষাইংরেজি
ধরনফ্রেইম স্টোরি, ছোট উপন্যাস
প্রকাশকব্ল্যাকউডস' ম্যাগাজিন
প্রকাশনার তারিখ
ফেব্রুয়ারি ১৮৯৯
মিডিয়া ধরনছাপা (সিরিয়াল)
পরবর্তী বইলর্ড জিম (১৯০০) 

গল্পটি মানুষের মনোভাবের একটি জটিল অনুসন্ধান যা মানুষ ধারণ করে অসভ্য বনাম সভ্য সমাজ গঠন করে। ঔপনিবেশবাদ ও বর্ণবাদী মনোভাবের অনুসন্ধানও হয় যা তৎকালীন ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলো। উপন্যাসটি মূলত ‘ব্ল্যাকউডস' ম্যাগাজিন’ এ ক্রমানুসারে তিনটি অংশে প্রথম প্রকাশ করা হয়। এই উপন্যাসটি পরবর্তিতে বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত ও প্রকাশিত হয়। ১৯৯৮ সালে মডার্ণ লাইব্রেরি এই উপন্যাসটিকে বিংশ শতাব্দীর ইংরেজি সাহিত্যের ১০০ টি শ্রেষ্ঠ উপন্যাসের মধ্যে ৬৭-তম হিসেবে তালিকাভুক্ত করেন।[1]

কাহিনী সংক্ষেপ

ইংল্যান্ডের গ্রেভসেন্ডের কাছে টেমস নদীতে নেলী নামক একটি জাহাজে বসে চার্লস মার্লো তার সহযোগী নাবিকদের কাছে তার একটি আইভরি কোম্পানিতে স্টিম-বোটের ক্যাপ্টেন হিসেবে তার অভিজ্ঞতা ও ঐ জায়গার বিভিন্ন ঘটনা সমূহের বর্ণনা করেন। কোম্পানি স্টেশনে জাহাজে করে যাওয়ার সময় কিছু বিধ্বস্ততার দৃশ্য মার্লোকে আঘাত করে এবং মার্লো এগুলোকে বর্ণনা করেন এইভাবেঃ বিশৃঙ্খল, এখানে সেখানে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ পড়ে আছে, নির্দিষ্ট সময় পর পর বিধ্বংসী বিস্ফোরণ, স্থানীয় জনগণ যাদের মনোবল ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে, শিকল দিয়ে বাঁধা, আক্ষরিক অর্থে মৃত্যু অবধি কাজ করছে, এবং তাদের পাশে একজন আফ্রিকান রক্ষী ইউনিফর্ম পড়ে একটি রাইফেল নিয়ে পায়চারি করছে। এই স্টেশনে মার্লো কোম্পানির প্রধান হিসাব রক্ষক কর্মকর্তার সাথে সাক্ষাৎ করে যিনি তাকে কুর্টজ নামে এক লোকের কথা বলেন এবং ব্যাখ্যা করে বলেন, যে কুর্টজ একজন প্রথম শ্রেণীর প্রতিনিধি।

মার্লো বন্য প্রান্তরের গভীরে প্রায় ২০০ মাইল হেটে সেন্ট্রাল স্টেশনে যায়, যেখানে তিনি যে স্টিম বোটের ক্যাপ্টেন সেটি রাখা আছে। মার্লো এটি শুনে খুবই দুঃখ ভারাক্রান্ত হয় যে তার আগমনের দুই দিন পূর্বেই তার স্টিম বোটটি ভেঙ্গে দেয়া হয়। ম্যানেজার তাকে জানায় যে তাদেরকে স্টিম বোটটি নদীর উৎসমুখে রাখতে হবে কারণ সে গুজব শুনেছে যে জরুরি একটা স্টেশন ঝুঁকির মধ্যে ছিলো এবং কুর্টজ অসুস্থ। মার্লো তার কোম্পানির লোকদের অলস নিন্দাকারী তীর্থ যাত্রী, হিংসা এবং পরশ্রীকাতরতায় পূর্ণ হিসেবে বর্ণনা করেন, যারা সকলেই কোম্পানির উচ্চ পদ পাবার জন্য চেষ্টা করছে। নদী থেকে তার স্টিম বোট উঠানোর পর মার্লো হতাশাগ্রস্ত হয় এটির ঠিক করার সময় নিয়ে। এই সময়ের মধ্যে মার্লো জানতে পারে যে কুর্টজকে শ্রদ্ধা করা তো দূরের কথা তাকে অল্প বা বেশি ক্ষতিকর মনে করা হয় (ম্যানেজারের দ্বারাই সবচেয়ে বেশি মনে করা হয়)। ইনার স্টেশনে শুধু কুর্টজের অবস্থানকেই ইর্ষার চোখে দেখা হয় না, তাদের আবেগ দেখে এটা মনে হয় যে কুর্টজ এই পদের অযোগ্য, যেহেতু সে তার ইউরোপীয় সূত্রের কারণেই এই নিয়োগ পেয়েছে।

ভ্রমণের শুরুর দিন থেকে কুর্টজের স্টেশনে যেতে দুই মাস সময় লাগে। জাহাজে ছিলো ম্যানেজার, তিন বা চারজন "তীর্থযাত্রী" এবং প্রায় ২০ জন নরখাদক যাদেরকে জাহাজের কর্মচারী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়।

তারা ইনার স্টেশন থেকে আট মাইল ভাঁটিতে ঐ রাতের জন্য বিশ্রাম নেয়। সকালে জেগে উঠে দেখে যে তারা ঘন, সাদা তুষারে আবৃত হয়ে আছে। নদীর তীর থেকে তারা একটি উচ্চ কান্নার আওয়াজ শুনতে পায় যেটি একটি হৈচৈপূর্ণ গোলযোগ থেকে আসছে। কয়েক ঘন্টা পরে যখন নিরাপদে জাহাজ চালানো খুবই কষ্টসাধ্য হচ্ছিলো তখন তাদের স্টিমবোটটি বন্য প্রান্তর থেকে আসা তীর দ্বারা আক্রান্ত হয়। তীর্থ যাত্রীরা তাদের উইনচেস্টার রাইফেল দিয়ে ঝোপের মধ্যে গুলি করে। যে স্বদেশী লোক হাল ধরে ছিল সে হাল ছেড়ে রাইফেল তুলে নেয় এবং গুলি করে। মার্লো নদীতে অপ্রত্যাশিত দূর্যোগ এড়াতে হাল ধরে। বোটের কাণ্ডারি একটি বর্শার দ্বারা বিদ্ধ হয় এবং মার্লোর পায়ের কাছে ঢলে পড়ে। মার্লো বারংবার স্টিমের বাঁশি বাজাতে থাকে ফলে, তীর বর্ষণ বন্ধ হয়। মার্লো এবং একজন তীর্থ যাত্রী তাদের কাণ্ডারিকে মারা যেতে দেখে। মার্লো তারপর ঐ তীর্থ যাত্রীকে হাল ধরতে বাধ্য করে যাতে করে সে তার রক্ত মাখা জুতা জাহাজের উপর ছুড়ে ফেলতে পারে। মার্লো মনে করে (ভুলভাবে) যে, কুর্টজ মারা গেছে। ফ্ল্যাশ ফরওয়ার্ড এর মাধ্যমে মার্লো লক্ষ্য করে যে, ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি সোসাইটি ফর দ্য সাপ্রেশন অফ স্যাভেজ কাস্টমস কুর্টজকে একটি রিপোর্ট লিখতে নিয়োগ করেছে যা সে অলঙ্কারপূর্ণভাবেই করেছে। একটি হাতে লিখা নোট, যা পরে কুর্টজের দ্বারা লেখা হয়েছে এবং এটি বর্ণনা করে যে, "সব বর্বরকে নির্মূল কর!" (পরবর্তীতে কুর্টজ মার্লোকে সনির্বন্ধ অনুরোধ করে যে ঐ পুস্তিকারটির ভালভাবে রাখতে)। মার্লো বিশ্বাস করে যে, কুর্টজকে খুঁজতে এসে যে সব লোকের প্রাণ হারিয়েছে তাদের প্রাণের সমান কুর্টজ নয়। একজোড়া চটিজুতা পায়ে দেয়ার পরে মার্লো আবার হালের কাছে ফিরে আসে এবং পুনরায় হাল ধরে। এই সময়ের মধ্যে ম্যানেজার সেখানে ছিলো এবং ফিরে যাবার আকাঙ্ক্ষা প্রবলভাবে ব্যক্ত করে। এই সময় ইনার স্টেশন তাদের দৃষ্টি সীমার মধ্যে আসে।

কুর্টজের স্টেশনে মার্লো একজন লোককে দেখে যে নদীর তীরে দাড়িয়ে তার বাহু দুলিয়ে তীরে থামতে বলছে। ঐ লোকটার অভিব্যক্তি এবং ভাবভঙ্গি এবং তার জামা কাপরের সব রঙ্গিন জোড়া মার্লোকে ভাঁড়ের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। তীর্থ যাত্রীরা, যারা প্রবলভাবে সশস্ত্র, কুর্টজকে উদ্ধারের কাজে ম্যানেজারের রক্ষী হিসেবে কাজ করছে। ভাঁড়ের মত দেখতে লোকটি যে কিনা রাশিয়ান, স্টিমবোটে উঠে বসে। ঐ রাশিয়ানটি হচ্ছে একজন পর্যটক যে পথ ভুলে কুর্টজের ক্যাম্পে চলে আসে। কথা বার্তার মাধ্যমে মার্লো আবিষ্কার করে যে, কুর্টজ কতটা উচ্ছৃঙ্খল এবং স্বদেশীদের কাছে সে কতটা পূজনীয়। রাশিয়ান লোকটি কুর্টজের বুদ্ধির অনেক প্রশংসা করেন। সে প্রেম, জীবন এবং ন্যায় বিচার সম্পর্কে কুর্টজের অন্তর্দৃষ্টিরও প্রশংসা করেন এবং মনে করেন যে, কুর্টজ একজন কবি। রাশিয়ান লোকটিকে মনে হয় যেন, কুর্টজকে সে পছন্দ করে তার ক্ষমতার জন্য এবং সেটা ব্যবহারে তার ইচ্চার জন্য। মার্লো মনে করে যে, কুর্টজ পাগল হয়ে গেছে।

স্টিমবোট থেকে মার্লো টেলিস্কোপের মাধ্যমে স্টেশনটি পর্যবেক্ষণ করে এবং এটি দেখে বিস্মিত হয় যে স্টেশন ঘরের কাছে স্বদেশীরা খুঁটি নিয়ে দাড়িয়ে আছে। ঘরের এক কোণায় থেকে ম্যানেজার তার তীর্থ যাত্রীসহ আবির্ভূত হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে বানানো একটি স্ট্রেচারে করে কুর্টজকে বহন করে নিয়ে আসে। এলাকাটি স্বদেশীতে পূর্ণ হয়ে আছে এবং স্পষ্টত তারা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। মার্লো দেখতে পায় যে কুর্টজ স্ট্রেচারে উপর চিৎকার করছে। ঐ তীর্থ যাত্রীরা কুর্টজকে স্টিমারে নিয়ে আসে এবং তাকে একটি কামরায় শোয়ায়ে রাখে। একজন সুন্দরী স্বদেশী মহিলা উপকূল দিয়ে হেঁটে আসে এবং স্টিমারের পাশে এসে থামে। সে তার বাহুদ্বয় তার মাথার উপরে তুলে এবং ঝোপের ভিতরে ঢুকে পরে। রাশিয়ান লোকটি মার্লোকে জানায় যে, কুর্টজই স্টিমারের উপর আক্রমণের নির্দেশ দিয়েছিলো। রাশিয়ানটি এর পরে একটি ডিঙি নৌকো দেখায় যেটি তার জন্য অপেক্ষা করছে এবং মন্তব্য করে যে, কুর্টজের কবিতা আবৃত্তি খুবই আনন্দদায়ক। তারপর মার্লো এবং রাশিয়ান আলাদা হয়ে যায়।

মধ্য রাতের পরে মার্লো আবিষ্কার করে যে, কুর্টজ তার কামরা ছেড়ে উপকূলে চলে গেছে। মার্লোও উপকূলে চলে আসে এবং দেখে যে খুবই দূর্বল কুর্টজ তার স্টেশনের দিকে যাবার চেষ্টা করছে- যদিও সে এতো দূর্বল ছিলো না যে স্বদেশীদের ডাকতে পারবে না। মার্লো কুর্টজের এই সাংঘাতিক অবস্থার প্রশংসা করে এবং কুর্টজ যখন আশঙ্কাজনক সুরে বলে তখন মার্লো তাকে থামিয়ে দিয়ে বলে যে "ইউরোপে তার সাফল্য যেকোন ক্ষেত্রেই নিশ্চিত করে", এই সময় কুর্টজ অনুমতি দেয় তাকে স্টিমারে ফিরিয়ে নিতে এবং মার্লো তাকে স্টিমারে ফিরে যেতে সাহায্য করে। পরের দিন তারা তাদের প্রস্থানের জন্য প্রস্তুত হয়। ঐ নারী স্বদেশীসহ অন্যান্য স্বদেশীরা আরও একবার উপকূলে এসে জড়ো হয় এবং চিৎকার করতে শুরু করে। মার্লো তীর্থযাত্রীদেরকে তাদের রাইফেল তাক করতে দেখে স্টিমারের বাঁশি বাজাতে থাকে যাতে উপকূলের ভিড় ছন্নছাড়া হয়ে যায়। শুধু ঐ নারীই তার বাহুদ্বয় প্রসারিত রেখে অনড় থাকে। তীর্থযাত্রীরা মুক্তভাবে গুলি ছুড়তে থাকে। স্রোত তাদেরকে খুব দ্রুত বয়ে নিয়ে যায়।

কুর্টজের স্বাস্থ্য আরও খারাপ হয় এবং মার্লোও অসুস্থ হতে থাকে। স্টিমবোটটি নষ্ট হয়ে যায় এবং এটিকে মেরামত করার কাজ শুরু হয়। এই সময়ে কুর্টজ মার্লোকে একটি ছবি সহ কিছু কাগজ-পত্রের একটি প্যাকেট দেয়। কুর্টজ মারা যাবার সময় মার্লো খুবই দূর্বলভাবে তাকে ফিসফিস করতে শুনে যে কুর্টজ বলছেঃ "The horror! The horror!"

মার্লো মোম নিভিয়ে দেয় এবং এমন ভান করে যেন কিছুই হয় নি যখন সে অন্যান্য তীর্থযাত্রীদের সাথে ম্যানেজারসহ খেতে বসে। অল্প কিছুক্ষণ পরে ম্যানেজারের ভৃত্য এসে এবং কঠোর গলায় জানায় যে, জনাব কুর্টজ মারা গেছে। পরের দিন মার্লো তীর্থ যাত্রীদের প্রতি খুবই কম মনোযোগ দেয় যখন তারা কর্দমাক্ত গর্তে "কিছু" কবর দিচ্চিলো। মার্লোও খুবই অসুস্থ হয়ে পড়ে, এবং সেও প্রায় মৃত্যুর কাছাকাছি চলে আসে।

ইউরোপে ফিরে এসে মার্লো তিক্ত হয়। মার্লোর কাছে কুর্টজ যে কাগজ-পত্র দিয়েছিলো মার্লো তা কোম্পানির একজন প্রতিনিধির কাছে ফেরত দেয়। কোম্পানির প্রতিনিধি তার দলিল প্রত্যাখ্যান করেন। অন্য একজন লোক, যে কিনা মার্লোর জ্ঞাতি বলে দাবী করে, তাকে পারিবারিক পত্র সমূহ দেয়া হয়। একজন সাংবাদিকের কাছে সে "supression of savage custom" প্রকাশের জন্য দেয়, যদি সাংবাদিক সেটিকে উপযুক্ত মনে করেন। সব শেষে মার্লো কাছে কিছু ব্যক্তিগত চিঠি এবং একটি মেয়ের ছবি থাকে যে মেয়েটি ছিলো কুর্টজের বাগদত্তা। যখন সে ঐ মেয়েটির সাথে দেখা করতে যায় তখন মার্লো দেখতে পায় যে, সে কালো পোশাক পরিধান করে আছে এবং এখনো কুর্টজের জন্য শোক করছে যদিও কুর্টজ মারা গেছে এক বছরের বেশি সময় হয়ে গেছে। সে মার্লোকে জোর করে তথ্যের জন্য এবং তাকে বলে যে কুর্টজ মারা যাবার আগে শেষ কি বলে গেছে। অসস্থি বোধ করে মার্লো মিথ্যা বলে এবং সে মেয়েটিকে বলে যে মারা যাবার পূর্বে কুর্টজের শেষ কথা ছিলো তার (মেয়েটির) নাম।

তথ্যসূত্র

  1. 100 Best, Modern Library's website. Retrieved January 12, 2010.
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.