হাইড্রোজেন বন্ধন
হাইড্রোজেন বন্ধন হাইড্রোজেন পরমানু ও নিঃসঙ্গ ইলেকট্রন যুগল যুক্ত হয়ে অধিক তড়িৎ ঋণাত্বকতা বিশিষ্ট ছোট আকারের পরমানু গঠন করে যেমন N,F,O সাথে H এর বন্ধন অধিক পোলার হয়। ফলে H পরমানুর ইলেকট্রন মেঘের ঘনত্ব অধিক হ্রাস পায়। এরুপ পোলার অণুসমূহের মধ্যে ধনাত্বক ও ঋণাত্বক নতুনভাবে এক আকর্ষণ বল সৃষ্টি হয়, তাকেই হাইড্রোজেন বন্ধন বলে।হাইড্রোজেন বন্ধন হল ২ টি পোলার যৌগের মধ্যকার আকর্ষন, এটা হয় যখন হাইড্রোজেন কোন উচ্চ তড়িৎ ঋনাত্বক যৌগের সাথে বন্ধন এ যুক্ত হয়। যেমন O,F,N ইত্যাদি। এর কারনে তড়িৎ ঋনাত্বকতা সৃষ্টি হয়। ফলে পোলার মেরু তৈরি হয়। এটি ২টি যৌগের মধ্যে আংশিক ধনাত্মক ও ঋনাত্বক এর মধ্যে হয়। এটি DNA এ N2 বেসের মধ্যেও থাকে। পানিও এই বন্ধন এ যুক্ত। এই বন্ধন ই পানির উচ্চ স্ফুটনাংক এর জন্য দায়ী। ২০১১ সালে IUPAC এই বন্ধন এর সংজ্ঞা দেয়- হাইড্রোজেন বন্ধন হল হাইড্রোজেন এর সাথে অন্য মৌল এর বন্ধন যখন সেখানে হাইড্রোজেন এর চেয়ে বেশি তড়িৎ ঋনাত্বক মৌল থাকে।
ইতিহাস
The Nature of Chemical Bond বইটিতে প্রথম লিনাস পলিংগ এবং মুর ও ওইনমিল ১৯১২ সালে প্রথম এর সম্পর্কে ধারনা দেন। তারা দেখেন ট্রাইমিথাইল এমোনিয়াম হাইড্রোক্সাইড এর গঠন টেট্রামিথাইল হাইড্রোক্সাইড এর চেয়ে দুর্বল। এটাই H-bond এর প্রকৃত উদাহরণ। লাটিমার এবং রডেবাশ এর সম্মন্ধে সম্পূর্ণ ধারনা দেন।
পানিতে হাইড্রোজেন বন্ধন
হাইড্রোজেন উচ্চ তড়িৎ ঋনাত্বক মৌল অক্সিজেন এর সাথে যুক্ত হয়ে পানি তৈরি করে।এবং এদের মধ্যে পোলারিটি তৈরি হয়।এভাবে সৃষ্টি পোলার অনু সমূহ যখন পরষ্পরের কাছে আসে তখন একটির ধনাত্মক প্রান্ত অপরটির ঋনাত্বক প্রান্তের সাথে দুর্বল বন্ধন গঠন করে।একে (-----) দ্বারা বোজানো হয়। অন্যান্য মৌল রাও এইভাবে হাইড্রোজেন বন্ধন গঠন করে।
ডি এন এ তে হাইড্রোজেন বন্ধন
ডি এন এ তে একটি N2 base অন্য একটি base এর সাথে হাইড্রোজেন বন্ধন গঠন করে।যেমন Adenin-thimin Guanin-cytosin
তথ্যসূত্র
https://en.wikipedia.org/w/index.php? title=Hydrogen_bond&oldid=825240807