হটু বিদ্যালঙ্কার
হটু বিদ্যালঙ্কার (১৭৭৫ - ১৮৭৫) আঠেরোশ শতকের একজন মহিলা পন্ডিত, চিকিৎসক ও বৈয়াকরণিক। তিনি রূপমঞ্জরি নামেও পরিচিতা ছিলেন।
প্রারম্ভিক জীবন
হটু বিদ্যালঙ্কার বর্ধমান জেলার কলাইঝুটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা নারায়ন দাসও শাস্ত্রে সুপণ্ডিত ছিলেন।[1]
কৃতিত্ব
পিতার মৃত্যুর পর শ্রাদ্ধাদি সম্পন্ন করে তিনি গুরুগৃহে ফিরে যান। ব্যাকরণ পাঠ শেষে তিনি সারগ্রাম নিবাসী আচার্য গোকুলানন্দ তর্কালঙ্কার এর কাছে সাহিত্য ছাড়াও চরক সুশ্রুত ইত্যাদি চিকিৎসা শাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। তার কাছে বহু চিকিৎসক আসতেন চিকিৎসাবিদ্যা গ্রহণের জন্যে। তদানীন্তন যুগে একজন মহিলা হয়েও পুরুষ ছাত্রদের শিক্ষাদান করে সমাজে সাহসিকতার পরিচয় দেন। তিনি পুরুষদের মত মস্তক মুন্ডন, শিখা ধারন ও উত্তরীয় পরতেন। সংস্কৃত ব্যাকরণ, কাব্য, স্মৃতি ও নব্যান্যায়ে তিনি বিশেষ পারদর্শিতা লাভ করে বারাণসীতে এক চতুষ্পাঠী স্থাপন করেছিলেন। হটু বিদ্যালঙ্কার আজীবন অবিবাহিতা ছিলেন। সমগ্র জীবন জ্ঞান ও চিকিৎসা বিদ্যার আরাধনা করেছেন।[2][3]
তথ্যসূত্র
- আবু সাঈদ। "প্রেক্ষিত উনিশ শতক"। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৭।
- প্রথম খন্ড, সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত (২০০২)। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ৪৯৩।
- "নারীর ক্ষমতায়নে উচ্চশিক্ষা"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০১৭।