স্থানিকতা

স্থানিকতা (ইংরেজি: Endemism) প্রজাতির এমন এক ধর্ম যা নির্দেশ করে ঐ প্রজাতিটি একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক সীমারেখা ছাড়া আর অন্য কোথাও বসবাস করে না বা জন্মে না।[1] কোন প্রজাতিকে যদি একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক সীমারেখা ছাড়া আর অন্য কোথাও দেখা না যায় তবে ঐ প্রজাতিটিকে সেই ভৌগোলিক সীমারেখার জন্য স্থানিক প্রজাতি বলা হয়। কোন দেশের আবাসিক একটি প্রজাতি যদি অন্য আরেক দেশে পাওয়া যায় তবে প্রজাতিটিকে স্থানিক প্রজাতি বলা যায় না। স্থানিকতা যে শুধু দেশের জন্য হয় তা নয়। এটি অঞ্চল, দেশ, দ্বীপ, কোন নির্দিষ্ট একটি পাহাড় বা নির্দিষ্ট বনাঞ্চলও হতে পারে।[2] আবার স্থানিকতা যে কেবল প্রজাতির বেলায় বিবেচনা করা হয় তা নয়, উপপ্রজাতির ক্ষেত্রেও স্থানিকতা ধর্মটি হিসাব করা হয়।

ধূসর বনমোরগ, ভারতের একটি স্থানিক প্রজাতি

স্থানিক প্রজাতিগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এমন সব স্থানে বসবাস করে যেগুলো ভৌগোলিক ভাবে বিচ্ছিন্ন। যেমন- দ্বীপ; দ্বীপগুলো ভৌগোলিক দিক থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় প্রজাত্যায়ন নিরবিচ্ছিন্নভাবে ঘটতে পারে। অর্থাৎ নতুন প্রজাতির রূপান্তর ঘটতে পারে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ, গালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জ বা নিউজিল্যান্ডের কথা। আবার ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন না হয়েও জীব বৈচিত্র্যের দিক থেকে বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে স্থানিকতা দেখা দিতে পারে; যেমন ইথিওপিয়ার পাহাড়ী অঞ্চল বা বৈকাল হ্রদের মত বৃহৎ জলাশয়।

তথ্যসূত্র

  1. Colin Peter Groves। "endemism"। Encyclopaedia Brittanica। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০১৩
  2. "ENDEMISM"। WORLD INSTITUTE FOR CONSERVATION & ENVIRONMENT, WICE। ১৫ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০১৩

আরও পড়ুন

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.