সেন্টার অফ এক্সেলেন্স (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)

বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব তহবিল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিশেষ উদ্যোগে ১৯৯৭ সালে সেন্টার অফ এক্সেলেন্স এর যাত্রা শুরু। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেআকার্ম ভবন প্রাঙ্গনে অবস্থিত।

সেন্টার অফ এক্সেলেন্স ভবন (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)

উদ্দেশ্য:

এর মূল লক্ষ্য হল দেশে স্নাতোকত্তর পর্যায়ে গবেষণার ক্ষেত্র ও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের সঙ্গে দেশীয় গবেষণাকে সংযুক্ত করা। সেন্টারের নিজস্ব বিজ্ঞানী ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক , ভিসিটর বিজ্ঞানী সহ এমফিল, পি এইচ ডি ও পোস্ট ‌গ্র্যাজুয়েট পর্যায়ের শিক্ষার্থীরাও গবেষণার সুযোগ পাবে । মূলত পদার্থ , রসায়ন , জীববিজ্ঞান, ফার্মাসিউটিকালস এবং কম্পিউটার সফটওয়্যার উন্নয়ন ও প্রয়োগের উপর গবেষণা চালানো হয়। এই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পাঁচটি গবেষণাগার রয়েছে যেগুলো লেজার স্পেকট্রোসকপি, জিন গবেষণা ও ডি এন এ সিকোয়েন্সিং, উন্নত কম্পিউটার সফটওয়্যার তৈরি, মনোবিজ্ঞানবিশ্লেষণাত্মক রসায়ন এর জন্য নির্ধারিত। এছাড়া গবেষণাকার্যে ব্যবহৃত সাধারণ রিএজেন্ট ও নমুনা প্রস্তুতির জন্য একটি পৃথক গবেষণাগার স্থাপন করা হয়েছে। এই কেন্দ্রর গবেষণাগারগুলি সম্পূর্ণভাবে বর্তমান বিশ্বের যন্ত্রপাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও আধুনিকতা একে বাংলাদেশের অন্যতম আর্ন্তজাতিকমানের এবং প্রথম সারির গবেষণা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে।

জনবল:

এই কেন্দ্রর নির্ধারিত ৭৫ জনের সবাইকে এখনো নিয়োগ দেয়া হয়নি। বর্তমানে বিজ্ঞানীসহ মোট ১২ জন জনবল নিয়ে কেন্দ্রটি তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে সেন্টারটির পরিচালক পদে অধিষ্ঠিত আছেন প্রফেসর আমীর হোসেন খান

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.