সিউতাত এস্পোর্তিভা জোয়ান গাম্পার

সিউতাত এস্পোর্তিভা জোয়ান গাম্পার (উচ্চারিত: [siwˈtat əspurˈtiβə ʒuˈaŋ ɡəmˈpe]) কাতালান ক্লাব বার্সেলোনার প্রশিক্ষন মাঠ এবং ফুটবল একাডেমী। ২০০৬ সালের ১ জুন এটি প্রথম চালু করা হয় এবং এর নামকরণ করা হয় বার্সেলোনার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জোয়ান গাম্পারের নাম অনুসারে।

সিউতাত এস্পোর্তিভা জোয়ান গাম্পার
প্রধান প্রবেশপথ
সাধারণ তথ্য
অবস্থানসান জোয়ান দেসপি
বার্সেলোনা
স্থানাঙ্ক৪১°২২′৩৩″ উত্তর ০২°০৩′০৮″ পূর্ব
খোলা হয়েছে২০০৬
স্বত্বাধিকারীফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা
ওয়েবসাইট
সিউতাত এস্পোর্তিভা জোয়ান গাম্পার

এটি বার্সেলোনার সান জোয়ান দেসপিতে অবস্থিত এবং এর আয়তন ১৩৬.৮৩৯ বর্গমিটার। ২০০৬ সাল থেকে এটি যুব দলের প্রশিক্ষন কেন্দ্র হিসেবে এবং ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে সিনিয়র দলের প্রশিক্ষন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এছাড়া এটি ক্লাবের অন্যান্য ক্রীড়া দলগুলোর জন্যও ব্যবহৃত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বাস্কেটবল, হ্যান্ডবল এবং ফুটসাল।

নতুন মাসিয়া ভবন, যা ২০১১ সালে চালু করা হয়।

সিউতাত এস্পোর্তিভায় বার্সেলোনার ফুটবল দল প্রথম আসে ২০০৯ সালের ১৯ জানুয়ারিতে,[1] যা ৩০ বছরের একটি ইতিহাসের সমাপ্তি ঘটায়। এর আগে সিনিয়র দল তাদের প্রশিক্ষনের জন্য ক্যাম্প ন্যু সংলগ্ন ছোট পিচ (যা লা মাসিয়া পিচ নামে পরিচিত) ব্যবহার করত। সিনিয়র দলের সুযোগ-সুবিধা ক্যাম্প ন্যু এর সুযোগ-সুবিধাসমূহের মতই এবং ২০০৯–১০ মৌসুমের শুরুতেই এখানে খেলোয়াড়দের জন্য একটি পুস্করিণী এবং স্টিম বাথ ছিল।

বার্সেলোনার যুব খেলোয়াড়দের নিবসনের জন্য ২০১১ সালের মধ্যে একটি নতুন বাসস্থান[2] চালু করা হয়। এর আগে যুব খেলোয়াড়দের বাসস্থান হিসেবে লা মাসিয়া ব্যবহার করা হত। নতুন এই ভবনের ধারণ ক্ষমতা ছিল ৮৫ জন।

সিউতাত এস্পোর্তিভার ঐ ভূমি ১৯৮৯ সালে ক্রয় করে বার্সেলোনা। এটি ক্যাম্প ন্যু থেকে ৪.৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং বার্সেলোনা ও সান জোয়ান দেসপি এর মধ্যকার সড়ক পথ দ্বারা সরাসরি সংযুক্ত।

সিউতাত এস্পোর্তিভার মোট খরচের পরিমাণ ৬৮ মিলিয়ন ইউরো। যার মধ্যে ২৫.৬ মিলিয়ন ব্যবহৃত হয় নাগরিকায়নে এবং ৪২.৫ মিলিয়ন ব্যবহৃত হয় নির্মাণ কাজে। সিউতাত এস্পোর্তিভার নির্মাণের প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহের জন্য বার্সেলোনা দুইটি ভূমিখন্ড বিক্রয় করে, প্রথমটি ২০০২ সালের ২১ জুন এবং দ্বিতীয়টি ২০০৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি, যার মূল্য ছিল যথাক্রমে ২৯.৭ এবং ১৫.৯ মিলিয়ন ইউরো। অবশিষ্ট অর্থ ক্লাবের কর্তৃক সরাসরি বিনিয়োগ করা হয়, যার পরিমাণ ছিল ২২.৫ মিলিয়ন ইউরো।

সুযোগ-সুবিধাসমূহ

ঘাসের পিচ, নম্বর ৪
  • ৫টি ঘাসের পিচ।
  • ৪টি কৃত্রিম ঘাসের পিচ।
  • ১টি মাল্টি-স্পোর্ট প্যাভিলিয়ন।
  • পিচ ১-এ একটি গ্র্যান্ডস্ট্যান্ড দালান
  • ১টি সেবামূলক দালান (দলের খাদ্য সরবরাহের এলাকাসহ)।
  • ৩টি ব্যায়ামাগার।
  • ২টি প্রেস এরিয়া।
  • ৪টি প্রাথমিক চিকিত্‍সা এলাকা।
  • ১টি ড্রেসিং রুম দালান।
  • গোলকিপার এবং প্রযুক্তিগত দিকের জন্য আলাদা প্রশিক্ষন এলাকা।
  • ২০১১-তে বার্সেলোনার সব যুব খেলোয়াড়দের নিবসনের জন্য নতুন লা মাসিয়া ভবন চালু করা হয়। এটি মূল দল এবং জাতীয় দলের প্রশিক্ষন কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
  • ইনজুরির আরোগ্য লাভের জন্য পুস্করিণী এবং স্টিম বাথ তৈরি করা হয়েছে।[3]

তথ্যসূত্র

  1. Gullén, Marc; Clos, Jordi (১৯ জানুয়ারি ২০০৯)। "First team moves into new Ciudad Deportiva training venue"ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৩
  2. Saura, David (১০ অক্টোবর ২০০৮)। "The Masia of the 21st century"ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৩
  3. Tarrés, Llorenç; Carrillo, Jesús (৫ জুলাই ২০০৯)। "Training ground improvements"। ৮ জুলাই ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৩

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.