সাটিরপাড়া কে কে ইন্সটিটিউশন
সাটিরপাড়া কে কে ইন্সটিটিউশন নরসিংদী জেলার একটি প্রাচীন ও বিখ্যাত বিদ্যাপীঠ। এর পূর্ববতী নাম "সাটিরপাড়া কালিকুমার উচ্চবিদ্যালয়"।১৯০১সালে তৎকালীন জমিদার ললিত মোহন রায় এই বিদ্যাপীঠ স্থাপন করেন। ২০১২ সালে এখানে কলেজ শাখা চালু হয়। বর্তমানে এখানে মোট শিক্ষক- শিক্ষিকা আছেন ৪২ জন। বর্তমানে এর স্কুল ও কলেজ ২ টি শাখাই আছে। । বর্তমানে এর স্কুল পর্যায়ে ৩০০০ ছাত্র এবং কলেজ পর্যায়ে ২০০ ছাত্র আছে। এটি প্রায় ৩০ একর জায়গা নিয়ে অবস্থিত।
সাটিরপাড়া কে. কে. ইন্সটিটিউশন স্কুল এন্ড কলেজ | |
---|---|
অবস্থান | |
নরসিংদী বাংলাদেশ | |
তথ্য | |
ধরন | স্কুল ও কলেজ |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯০১ |
প্রতিষ্ঠাতা | স্বর্গীয় ললিত মোহন রায় |
শিক্ষকমণ্ডলী | প্রায় ৫০জন |
লিঙ্গ | ছেলে |
শিক্ষার্থী সংখ্যা | প্রায় ৩৩০০জন |
ভাষার মাধ্যম | বাংলা |
ইতিহাস
সাটিরপাড়া স্কুল ১৯০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটির প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন ললিতমোহন রায়।[1]
স্বদেশী আন্দোলনে অবদান
এই স্কুল থেকে যেসব ছাত্র গুরুত্বপূর্ণ তাদের একজন হচ্ছেন অগ্নিযুগের বিপ্লবী ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী মহারাজ। তিনি স্বদেশী আন্দোলনের সময় সেখানকার ছাত্র ছিলেন। সেসময় এখানে দুজন শিক্ষক ছিলেন মহিম চন্দ্র নন্দী এবং শীতল চক্রবর্তী। মহিম চন্দ্র নন্দী বিলাতী লবণ ফেলার অপরাধে ঢাকা জেলে বন্দি ছিলেন কিছুদিন। ১৯০৯ সালে ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী প্রথমবার জেল থেকে ছাড়া পেলে জেলগেটে শীতল চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন।[1]
তথ্যসূত্র
- ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী, জেলে ত্রিশ বছর, ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গন, ঢাকা, ঢাকা বইমেলা ২০০৪, পৃষ্ঠা ২৬, ৪৬-৪৭।