শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্স

শ্রীলংকান এ্যায়ারলাইনস (বাণিজ্যিকভাবে শ্রীলংকান সিংহলিজ নামে পরিচিত)শ্রীলংকার পতাকাবাহী বিমান সংস্থা। কাটুনায়েকে, শ্রীলংকায় বিমান সংস্থাটির সদর দপ্তর অবস্থিত এবং রক্ষনাগারটি নাম বন্দরনায়েকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এশিয়া, ইউরোপ এবং মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন গন্তব্যে শ্রীলংকান বিমান সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে, সাথে সাথে এটার মূল গমন পথ হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র এবং প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে গমন করে থাকে। এটা ২০১৪ সালে ওয়ানঅয়ার্ল্ড এ্যালায়েন্সর সদস্য পদ লাভ করে।

নামকরণ

১৯৭৮ সালে শ্রীলংকার সাবেক পতাকা বহনকারী বিমান সংস্থা এয়ার সিলন এর বিলুপ্তির পরে, এয়ার লঙ্কা নামে এই বিমান সংস্থাটি আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৯৮ সালে এমিরাটস কর্তৃক এটিকে আংশিক আত্মিকরনের ফলে ইহার “শ্রীলংকান” নামটি পুন:প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বর্তমান অবস্থায় আত্মপ্রকাশ করে। এমিরেটস এর সাথে অংশিদারিত্ব সমাপ্ত হবার পর, এটা তার পূর্বে প্রদানকৃত নাম এবং লোগো নিয়ে কার্যক্রম চলমান রেখেছে।[1]

ইতিহাস

যখন শ্রীংলকান সরকার দেউলিয়া প্রতিষ্ঠান হিসাবে এয়ার সিলনকে [2] বন্ধ করে দেয় তখন এয়ার লঙ্কা শ্রীলংকার পতাকাবাহী উড়োজাহাজ হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। [3] প্রাথমিকভাবে এয়ার লঙ্কা দুইটি বোয়িং ৭০৭ নিয়ে উড্ডয়ন কার্যক্রম শুরু করেছিল,যা সিংগাপুর এ্যায়ারলাইন্স থেকে ধারে নেয়া হয়েছিল। তারা একটি বোয়িং ৭৩৭ ধার করেছিল মাসরেক এয়ার থেকে এবং যার রক্ষনাবেক্ষন করতো এয়ার তারা। ১৯৮০ সালের ২৪ এপ্রিল, উক্ত ধারের মেয়াদ শেষ হলে; এয়ার লঙ্কা রয়াল ব্রুনাই থেকে বোয়িং ৭৩৭ দিয়ে পূর্বেরটির স্থলাভিষিক্ত করে। ১৯৮০ সালের ১লা নভেম্বর, এয়ার লঙ্কা এয়ার কানাডা হতে লকহিড এল১০১১-১ ট্রাইষ্টার ধার নিয়ে বিশাল-বহরের কার্যক্রম চালু করে। ১৯৮০ সালের ১৫ই এপ্রিল এই বিমান সংস্থাটি তার প্রথম নিজস্ব বিমান হিসাবে অল নিপ্পন এ্যায়ারোয়েজ হতে এল ১০১১ ক্রয় করে। ট্রাইস্টার এয়ারক্রাফ্ট ক্রয়ের পরে বোয়িং ৭০৭ বাহনটি বহর থেকে বাদ পরে এবং এটাকে তখন বিক্রয় করে দেয়া হয়। অন্য একটি এল১০১১ এয়ার কানাডা হতে ধার হিসাবে নেয় এবং অল নিপ্পন থেকে তৃতীয় এল ১০১১ ক্রয় করে। ১৯৮২ সালের ১লা মে, এইচএইসিও এয়ার শ্রীলংকান মালিকানাধীন দুইটি ট্রাইস্টার এর রক্ষনাবেক্ষনের দ্বায়িত্ব গ্রহণ করে, আর এয়ার কানাডা ধারে চলা বাকি দুটি ট্রাইস্টার রক্ষনাবেক্ষন করতে থাকে।

১৯৮০ সালের ২৮ শে মার্চ, এয়ার লঙ্কা দুইটি সম্পূর্ন নতুন লোকারহেড এল১০১১-৫০০ ট্রাইস্টার ক্রয়ে চুক্তি সম্পন্ন করে, যে বিমানটি তৎকালীন সময়কার প্রশস্ত-বাহৃর অগ্রগামী বিমান হিসাবে পরিচিত ছিল। প্রথম লকারহেড এল১০১১-৫০০ (৪ আর-ইউএলএ) ১৯৮২ সালের ২৬ শে আগাষ্ট গৃহীত হয়, পাল্মডেল, ক্যালিফোর্নিয়াতে যা আমস্টাডামে ইউএল ফ্লাইট ৫৬৬পি হিসাবে উড়ে গিয়েছিল।২৮ শে আগষ্ট “সিটি অব কলম্বো” তার উদ্ভোদনী ফ্লাইট হিসাবে আমস্টাডাম থেকে শ্রীলংকাতে উড়ে গিয়েছিল।যা ২৯ শে অগষ্ট কোলম্বতে পৌছেছিল। পরে দ্বিতীয় লকারহেড এল১০১১-৫০০ হিসাবে এটাকে অনুসরন করে “সিটি অব জয়াবর্ধনাপুরা”।

১৯৮৪ সালের ৮ই জুন বিমান সংস্থাটি এটার প্রথম বোয়িং ৭৪৭-২০০বি “কিং ভিজয়া” গ্রহন করে এবং পরে দ্বিতীয়টি যুক্ত হয়। বিমানগুলো ইউরোপে যাত্রী পরিবহনে ব্যবহৃত হতো, যখন এমিরটেস এবং শ্রীলংকান সরকার একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে দশ-বছরের কৌশলগত অংশিদ্বারত্বের বিষয়ে। এই চুক্তির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল কলম্বো-বন্দরনায়েকে বিমানবন্দররের সকল বিমান উঠা নামা, স্থলভাগ ব্যবস্থাপনা। এমিরেটস মা:ড:৭০ মিলিয়ন দিয়ে এয়ার লংকার ৪০% শতাংশ শেয়ার ক্রয় করে নেয় (যা পরবর্তূীতে ৪৩.৬% বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়), এবং বিমান সংস্থাটির পরিবহন এবং সুনাম বৃদ্ধির প্রত্যাশা ব্যাক্ত করে। সরকার বৃহত্তর অংশ শেয়ার ধর রাখে, কিন্ত সকল ব্যবস্থাপনাজনিত এবং বিনিয়োগ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা এমিরেটসকে প্রদান করে। ১৯৯৮ সালে, এয়ার লঙ্কা নাম পরিবর্তিত হয়ে শ্রীলংকান এয়ারলাইন্সে পরিনত হয়।

২০০৮ সালে এমিরেটস শ্রীলংকান সরকারকে জানায় যে, তারা আরা ব্যবস্থাপনা চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে অনগ্রহী। যা কিনা ২০০৮ সালের ৩১শে মার্চ মেয়াদোত্তীর্ন হয়ে যায়।তারা উল্লেখ রকেছিল শ্রীলংকান সরকার দৈনন্দীন কাজকর্মে বেশী করে হস্তক্ষেপ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে[4] ।এমিরাটস তাদের ৪৩.৬৩% মালিকানা শ্র্রীলংকান সরকারের নিকট বিক্রী করে দেয় যা কিনা ২০১০ সালে চুড়ান্ত হয়, যা কিনা দুইটি বিমানসংস্থার সব ধরনের সহযোগীতার সুযোগকে রহিত করে।

তথ্যসূত্র

  1. "Sri Lankan Airlines buys back 43.6 pc stake from Emirates"timesofindia-economictimes। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৮-১৮
  2. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০১৫
  3. "On-Board SriLankan Airlines"। cleartrip.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৮-১৮
  4. Management contract terminated ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৮ জানুয়ারি ২০০৮ তারিখে January 2008, OAG, News briefing Retrived On 2015-08-18

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.