শী: অ্যা হিস্ট্রি অব অ্যাডভেঞ্চার
শী স্যার হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড রচিত একটি ইংরেজি উপন্যাস। এটি ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য গ্রাফিক-এ ১৮৮৬ সালের অক্টোবর থেকে ১৮৮৭ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। পুস্তক হিসেবে মুদ্রণের পর এটি সে সময়ে অসম্ভব জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং আজ অবধি এটি পাঠক মহলে সমাদৃত। শী'কে অন্যতম ক্লাসিক কল্পনাশ্রয়ী সাহিত্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। একই সাথে ১৯৬৫ সালে প্রায় ৮ কোটি ৩০ লাখ কপি বিক্রি হওয়ায় এটি সর্বকালের অন্যতম সর্বাধিক-বিক্রিত বই হিসেবেও বিবেচিত।.[1]
![]() "শী" এর তৃতীয় সংস্করণের প্রথম পৃষ্ঠা | |
লেখক | হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড |
---|---|
দেশ | যুক্তরাজ্য |
ভাষা | ইংরেজী |
ধারাবাহিক | আয়শা সিরিজ |
ধরন | অ্যাডভ্যানচার ও রোমান্টিক |
প্রকাশক | লঙম্যান্স |
প্রকাশনার তারিখ | ১৮৮৭ |
মিডিয়া ধরন | ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত |
পৃষ্ঠাসংখ্যা | ৩১৭ (১৮৮৭ সংস্করণ) |
পরবর্তী বই | রিটার্ন অব শী |
সারসংক্ষেপ
গল্পের প্রথমেই হোরেস হলি নামে এক তরুণের পরিচয় পাওয়া যায় যিনি ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। একদিন তাঁঁর এক বন্ধু ভিনসি তার বাড়িতে আসে।তারপর সে তার পরিবারের অনেক পুরনো ইতিহাস হলিকে শোনায়। ভিনসি আরো বলে যে আর বেশি দিন সে বাচঁবে না। ভিনসি তাই তার বন্ধুকে একটি দায়িত্ব দিতে চাইল। দায়িত্বটা ছিল ভিনসির পুত্র যার নাম লিও তাকে বড় করে তুলতে হবে এবং উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। ভিনসি তারপর লিওকে একটি কাঠের বক্স দিয়ে বলে যে তার পুত্রের বয়স যখন ২৫ হবে তখন এই বাক্সটা খুলতে। হলি এই দায়িত্ব পালনে রাজি হয়ে যায়। এবং তার পরের দিন ভিনসি মারা যায়। তারপর হলি লিওর সব দায়িত্ব কাধে নেয় ও তাকে বড় করে তুলে যখন তার বয়স ১৫ হয় তখন তজারা বাক্স টা খুলে এবং এর ভিতরে কিছু পুরনো এবং রহস্যজনক দ্রব্য খুজেঁ পান। যেগুলো মূলত লিওর পরিবারের পুরনো ইতিহাসের সামান্য নমুনা। তারপর লিও এবং হলি এই পরিবারের সম্পূর্ন রহস্য জানতে বাক্সের ভিতরে থাকা বিভিন্ন দ্রব্যের সহায়তার পূর্ব আফ্রিকা অভিযানে বের হন। জাহাজযোগে তারা যখন বাক্সের ভিতরে থাকা নির্দেশনা অনুসারে তাদের গন্তব্যে পৌঁছান তখন তারা অ্যামাহ্যাগার নামক ঐ অঞ্চলের একদল আদিবাসীর কাছে বম্দি হন। তখন তারা জানতে পারেন যে ঐ অঞ্চল শাষন করেন একজন অসীম ক্ষমতাধর নারী যাকে তারা "সে যাকে মানতে হবে" ("She-who-must-be-obeyed") এই নামে ডাকে।
এর পর থেকেই মূলত তাদের মূল অভিয়ান শুরু হয়। এক পর্যায়ে অ্যামাহ্যাগারদের রানী "সে যাকে মানতে হবে" লিও ও হলির সাথে দেখা করতে চান। যখন তারা রানীর সাথে দেখা করতে যান তখন হলির সাথে রাণীর অনেক আলাপ হয়। হলি জানতে পারে যে রাণীর নাম "আয়েশা"। এবং ঐ রাণীর সৌন্দর্য কল্পনারও বাইরে।
রাণী অনেক দিন ধরে তার প্রেমিককে খুজছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে একদিন না একদিন তার প্রেমিক অবশ্যই আসবে। কিন্তু এক পর্যায়ে তিনি আবিষ্কার করেন যে লিওই তার আসল প্রেমিক। তাই সে লিওকে পেতে মরিয়া হয়ে যায়। কিন্তু অ্যমাহ্যাগারদের বাসস্থানে পৌঁছার পর উস্তেন নামে এক মেয়ের প্রেমে পড়ে যায় লিও। তাই রাণী উস্তেনকেও সরিয়ে দেন। কিন্তু এতে লিও মোটেই খুশি হয় নি এবং সে রাণীকেও ভালেবাসেনি। এভাবেই মূলত ধীরে ধীরে কাহিনীর মোড় ঘুরতে থাকে ও এক রোমাঞ্চকর ঘটনার মধ্যে দিয়ে শেষ হয় গল্পটি।
চরিত্র
- হোরেস হলি- - তিনি হচ্ছেন উপন্যাসটির মূল বক্তা।চেহারা অত্যন্ত কূৎসিত হলেও জ্ঞানে খুব প্রখর। সে পৃথিবীর অনেক গুলো ভাষা জানে যেমন- আর্বি, হিব্রু,গ্রীক। আর আর্বি ভাষার মাধ্যমেই সে অ্যামাহ্যাগার এবং রাণীর সাথে কথাবার্তা চালিয়ে যায়।
- লিও ভিনসি – হোরেস হলির খুব প্রিয় বন্ধু ভিনসির পুত্র। গল্পের নায়কও বলা যেতে পারে। খুবই সুদর্শন চেহারার যুবক। এবং এই লিওকেই রাণী আয়শা তার প্রেমিক বলে চিহ্নিত করে।
- আয়েশা – উপন্যাসটির নাম তার নামেই দেয়া। কারণ অ্যামাহ্যাগাররা তাকে "সে,যাকে মানতেই হবে" she" (She-who-must-be-obeyed) এই নামে ডাকত।আয়শা প্রায় ২০০০ বছর আগে আরবে জন্মগ্রষন করে। জাদু বিদ্যায় খুব পারদর্শী এবং খুব ক্ষমতাধর একজন নারী।
- জব– হোরেস হলির একজন ভৃত্য।
- বিলালি – অ্যামাহ্যাগারদের দলনেতা।
- উস্তেন – অ্যামাহ্যাগারদের মধ্যে এক তরুণী। সে ও লিও পরস্পর পরস্পরকে অনেক ভালোবাসত।
পাদটিকা
This article is issued from
Wikipedia.
The text is licensed under Creative
Commons - Attribution - Sharealike.
Additional terms may apply for the media files.