শিশুকামী আন্দোলন
শিশুকামী আন্দোলন (ইংরেজি: pedophilia movement) একটি সামাজিক বা রাজনৈতিক আন্দোলন যা শিশুকামিতাকে এবং প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের মাঝে পারস্পরিক সম্মতিতে যৌনাচারকে সামাজিক এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সমর্থন করে। এই আন্দোলনের উদ্দেশ্য কিছু সামাজিক ও আইনগত পরিবর্তন নিয়ে আসা, যেমন যৌনসম্মতির বয়স বাতিল বা সংস্কার করা, শিশুকামিতাকে একটি নির্দিষ্ট যৌন অভিমুখীতা বলে প্রতিষ্ঠা করা এবং যৌনবিকৃতির বা মনোরোগের তালিকা হতে একে অপসারণ করা[1][2]।
প্রাথমিকভাবে শুধু যুক্তিতর্কের খাতিরে ১৯৫০-এর দশকে নেদারল্যান্ডে মনস্তত্ত্বিক ফ্রিৎস বার্নার্ড, এবং সেনেটর ও বিচারক এডওয়ার্ড ব্রনগার্সমার সক্রিয়তায় এই আন্দোলনের জন্ম হয়। এর ফলস্বরূপ শীঘ্রই অন্যান্য অনেক দেশে শিশুকামীদের পক্ষে অনেক সমিতি গড়ে ওঠে। ১৯৭০-এর দশকের যৌন বিপ্লবের সুবাদে পশ্চিম ইউরোপে, বিশেষত নেদারল্যান্ডে এই আন্দোলন তার লক্ষ্য অর্জনের পথে অনেকটা অগ্রসর হয়, কিন্তু ১৯৮০-এর দশক থেকে এই আন্দোলন জনপ্রিয়তা হারাতে থাকে।
শিশুকামী আন্দোলনের প্রতি তৎকালীন জনমত বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করায় সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এই আন্দোলনের অগ্রগতি ছিল যথেষ্টই সীমাবদ্ধ। বর্তমানে বেশিরভাগ দেশের সরকারই যৌনসম্মতির বয়স হিসেবে জাতিসংঘের দ্বারা নির্ধারিত আচরণবিধি মেনে চলে[3], যদিও তা একেক দেশে একেক রকম হতে পারে। অপরপক্ষে চিকিৎসক গোষ্ঠীর মাঝে শিশুকামিতাকে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি মানসিক বা আচরণগত সমস্যা বলে গণ্য করা হয়, এবং নারী সমকামিতা বাদে প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের মাঝে সকল যৌনসম্পর্কের প্রতি ব্যাপকভাবে অসম্মতি জানান হয়[2][4]।
তথ্যসূত্র
- Fonseca, Suheyla. «Um olhar crítico sobre o ativismo pedófilo» (portugale). Revista da Faculdade de Direito de Campos, n-ro 10 (junio 2007).
- Young, Mary. «The indignant page: techniques of neutralization in the publications of pedophile organizations». Child Abuse & Neglect, Vol. 4, n-ro 12 (1988), pp. 583-591.
- Convention on Consent to Marriage, Minimum Age for Marriage and Registration of Marriages ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৮ জুন ২০১০ তারিখে. Alta Komisariato de Unuiĝintaj Nacioj pri Homaj Rajtoj.
- Dallam, Stephanie. «Science or Propaganda? An examination of Rind, Tromovitch & Bauserman». Journal of Child Sexual Abuse, Vol. 9, n-roj 3/4 (2002), pp. 109-134.