শাহী ঈদগাহ, সিলেট

সিলেট শহরের উত্তর সীমায় শাহী ঈদগাহ বা ঈদগাহ মাঠের অবস্থান। বাংলাদেশের প্রাচীনতম ঐতিহাসিক স্থাপনা সমুহের মধ্যে ১৭০০ সালের প্রথম দিকে নির্মিত সিলেটের শাহী ঈদগাহকে গণ্য করা হয়। [1]

সিলেট শাহী ঈদগাহ
সিলেট শাহী ঈদগাহ মাঠ
অবস্থানশাহী ঈদগাহ এলাকা, কোতোয়ালী মডেল থানা, সিলেট, বাংলাদেশ
নির্মিত১৭তম শতাব্দী
স্থপতিফৌজদার ফরহাদ খাঁ
স্থাপত্যশৈলীমুঘল, বাংলা, বাংলাদেশী
বাংলাদেশে সিলেট শাহী ঈদগাহের অবস্থান
বাম দিকের সন্মুখ প্রবেশপথ

ইতিহাস

১৭০০ সালে প্রথম দশকে সিলেটের তদানীন্তন ফৌজদার ফরহাদ খাঁ নিজের ব্যক্তিগত উদ্যোগে, তদারকি ও তত্বাবধানে এটি নির্মাণ করেন। প্রতি বছর ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা উপলক্ষে এখানে বিশাল দুটি ঈদ জামাত অনুষ্টিত হয় এবং প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ মুসল্লী এক সাথে এখানে ঈদের নামাজ আদায় করে থাকেন। উলেখ্য যে, সিলেট শহরের এ স্থানটি নানা কারণে মানুষের কাছে আকর্ষণীয় ও স্মরণীয়। ১৭৭২ সালে ইংরেজ বিরোধী ভারত - বাংলা জাতীয়তাবাদীর প্রথম আন্দোলন সৈয়দ হাদী ও মাদী কর্তৃক এই ঈদগাহ মাঠেই শুরু হয়েছিল।[1][2] অতীতে সিলেটের বড় বড় সমাবেশের স্থান ছিল এটি। এখানে ইংরেজ বিরোধী আন্দোলনের নেতা মহাত্মা গান্ধী, কায়দে আযম, মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ, মাওলানা মোহাম্মদ আলী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের মতো নেতারা এসেছেন এবং ইংরেজ বিরোধী গণ আন্দোলের আহবান জানিয়েছেন। যে কারণে এ স্থানটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনেক।[1][2]

পরিক্রমা

একটি উচু টিলার উপর সিলেটের ঐতিহ্যবাহী এই শাহী ঈদগাহ অবস্থিত। মুল ভূ-খন্ডে কারুকার্যখচিত ২২টি বৃহৎ সিঁড়ি রয়েছে। সিঁড়ি মাড়িয়ে উপরে উঠলে ১৫টি গম্বুজ সজ্জিত ঈদগাহ দেখা যায়। ঈদগাহের প্রাচীর সীমার চার দিক ঘিরে রয়েছে ছোট বড় ১০ টি গেইট। ঈদগাহের সামনে মুসল্লীদের অজুর জন্য রয়েছে বিশাল পুকুর । ঈদগাহের উত্তরে শাহী ঈদগাহ মসজিদ, পাশে সুউচ্চ টিলার ওপর বন কর্মকর্তার বাংলো, দক্ষিণে বাংলাদেশ টেলিভিশনের সিলেট কেন্দ্র, পূর্ব দিকে হযরত শাহজালালের সফরসঙ্গী শাহ মিরারজী (র:) এর মাজারের পাশের টিলার ওপর রয়েছে সিলেট আবহাওয়া অফিস।[2]

যাতায়ত

সিলেট শহরের কেন্দ্রবিন্দু হতে প্রায় দুই কিঃমিঃ দুরত্ব শাহী ঈদগাহ। ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হতে ৭ কিঃমিঃ এবং সিলেট রেলওয়ে স্টেশন থেকে ৫ কিঃমিঃ দুরত্বে শাহী ঈদগাহ'র অবস্থান।[1]

তথ্যসুত্র

  1. সিলেট বিভাগের ইতিবৃত্ত। মোহাম্মদ মুমিনুল হক। প্রাকাশনায় - সেন্টার ফর বাংলাদেশ রিসার্চ ইউ. কে. গ্রন্থ প্রকাশকাল, সেপ্টেম্বর ২০০১।
  2. সিলেট জেলা তথ্য বাতায়ন, জেলার ঐতিহ্য ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.