শাহ পরান
হযরত শাহপরান (র) ছিলেন হযরত শাহজালালের বোনের ছেলে। তার জন্ম হয়েছিলো ইয়েমেনের হাদ্রামাউত অঞ্চলে এবং তিনি ছিলেন হযরত শাহজালাল (র) এর ৩৬০ আউলিয়ার মধ্যে অন্যতম। তিনি তার মামা হযরত শাহজালাল এর সাথে ১৩০৩ সালে ভারতবর্ষে আসেন। সেখান থেকে তিনি সিলেট শহরে আসেন। তার মাজারও সিলেট জেলায় অবস্থিত।
হযরত শাহ পরান(রহঃ) | |
---|---|
হযরত শাহ্ পরান (রহঃ)-এর মাজারের প্রধান ফটক | |
ধর্ম | ইসলাম |
ব্যক্তিগত | |
জন্ম | ইয়েমেনের হাদ্রামাউত |
মৃত্যু | খাদিম পারা, সিলেট সিলেট, বঙ্গ (এখন বাংলাদেশ) |
জ্যেষ্ঠ পোস্টিং | |
ভিত্তিক | সিলেট |
অফিসে কার্যকাল | ১৩শ শতাব্দী থেকে ১৪শ শতাব্দী |
পূর্বসূরী | শাহজালাল |
ধর্মীয় জীবন | |
Post | দার্শনিক এবং সুফি |
শাহ পরাণের পুর্ব পুরুষগণ মুলত বোখারীর শহরের অধিবাসী ছিলেন। তার উধ্বতন ৪র্থ পুরুষ শাহ জামাল উদ্দীন, বোখারী হতে ধর্ম প্রচারে জন্য প্রথমে সমরকন্দ ও পরে তুর্কিস্থানে এসে বসবাস করেন। বংশ সূত্রে শাহ পরাণের পিতা মোহাম্মদও একজন খ্যাতনামা ধার্মিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার মাতা শাহ জালালের আত্মীয় সম্পর্কে বোন ছিলেন। সে হিসেবে শাহ পরাণ হচ্ছেন শাহ জালালের ভাগ্নে। শাহ পরাণের বয়স যখন ১১ বত্সর তখন তিনি তার পিতাকে হারান। পরবর্তিকালে তার আত্মীয় প্রখ্যাত দরবেশ সৈয়দ আহমদ কবিরের কাছে তিনি ধর্ম শিক্ষায় দীক্ষিত হন। সেখান থেকে তিনি আধ্যাত্মিক দীক্ষা লাভে নেশাপুরের বিখ্যাত দরবেশ পাগলা আমীনের স্মরণাপন্ন হয়ে আধ্যাত্মিক শিক্ষায় দীক্ষিত হন। শাহ জালাল যখন বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে যাত্রার উদ্যোগ নেন। এ সময় তিনি (শাহ পরাণ) খবর পেয়ে মামার সহচার্য লাভের আশায় হিন্দুস্থানে এসে মামার সঙ্গী হন। সিলেট বিজয়ের পর শাহ জালালের আদেশে তিনি ইসলাম প্রচারের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন। শাহ পরাণ সিলেটের নবীগঞ্জ, হবীগঞ্জ সহ বিভিন্ন স্থানে ইসলাম প্রচার করেন। পরবর্তিকালে অলৌকিক ঘটনা প্রকাশ হলে শাহ জালালের নির্দেশে তিনি (শাহ পরাণ) সিলেট শহর হতে ছয় মাইল দূরবর্তি দহ্মিণকাছ পরগণাস্থিত খাদিম নগর এলাকায় এসে ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে বসতি স্থাপন করেন এবং এখানেই জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত ইসলাম প্রচার করে বর্তমান মাজার টিলায় চির নিদ্রায় শায়িত হন।