শাহ আবদুল আজিজ

আল মুহাদ্দিস শাহ আবদুল আজিজ দেহলভী (১১ অক্টোবর ১৭৪৬ - ৫ জুন, ১৮২৪) (আরবি: المُحَدَّث شَاہ عَبْدُ الْعَزِیز دِھْلَوِیْ) ছিলেন হাদিস শাস্ত্রের বিজ্ঞ পণ্ডিত, এবং উনবিংশ শতাব্দীর একজন মুজাদ্দিদ বলে বিবেচিত হন। তিনি তার পিতা শাহ ওয়ালীউল্লাহ এর যোগ্য উত্তরশুরি ছিলেন।[1] আবদুল আজিজ ব্রিটিশ শাসিত হিন্দুস্তানকে বিধর্মী কর্তৃক শাসনের কারণে দারুল হারব ঘোষণা করে ফাতাওয়া দেন।[2]

জীবনী

শাহ আবদুল আজিজ ২৫ রমাদান, ১১৫৯ হিজরি (১১ অক্টোবর, ১৭৪৬) সনে মুঘল সম্রাট মুহাম্মাদ শাহ (১৭১৯-১৭৪৮) এর শাসনামলে দিল্লীতে। দিল্লী ছিল তখন মুঘল সাম্রাজ্যের রাজধানী। তিনি শাহ ওয়ালিউল্লাহ এর জ্যেষ্ঠ পুত্র ছিলেন। তার পিতা শাহ ওয়ালিউল্লাহ যখন মারা যান তিনি তখন মাত্র ১৭ বছরের যুবক। পিতার মৃত্যুর পর তিনি হাদিসের শিক্ষক হিসেবে পিতার উত্তরাধিকারী হন এবং পরবর্তীকালে দিল্লির বিখ্যাত মুহাদ্দিসে পরিণত হন। তিনি একাধারে মুহাদ্দিস, মুফাসসির এবং মুজাদ্দিদ ছিলেন।

অবদান

কাজ

শাহ আবদুল আজিজ কুরআনের উর্দু অনুবাদ করেন। এছাড়া তিনি আরও অনেকগুলো গ্রন্থ রচনা করেন।[3] তার রচিত গ্রন্থের সংখ্যা ৫০ থেকে ২০০ পর্যন্ত রয়েছে বলে বিভিন্ন বর্ণনায় পাওয়া যায়।[4]

রচনা

  • ফাতাওয়া আজিজ,[5] শাহ সাহেব কর্তৃক প্রদত্ত ফাতাওয়ার সংকলন
  • তুহফা ইসনা আশারিয়া[6] (উর্দু: تحفہ اثناء عشریۃ,  "বারো ইমামীদের প্রতি তুহফা"), ইমামী শিয়াবাদের খণ্ডন করে রচিত গ্রন্থ
  • সিরুশ শাহাদাতাইন[7]
  • তাফসীর ফাতহুল আজিজ[8] অথবা তাফসির-ই-আজিজ (ফার্সিতে)
  • বুস্তানুল মুহাদ্দিসীন (মূল লেখক তার পিতা)[9]

ছাত্রদের তালিকা

  • সায়্যিদ আহমাদ শহীদ
  • শাহ ইসমাইল শহীদ
  • মাওলানা হাইদার আলি, ফাইজাবাদ
  • গুলাম আলি দিহলাবী
  • মাওলানা সায়্যিদ শাহ আলে রাসুল কাদরী বারকাতী
  • মাওলানা ফজলে হক খাইরাবাদী
  • মাওলানা মাহবুব আলি দেহলভী
  • মুফতি সদরুদ্দীন আজুরদাহ
  • মাওলানা মুহাম্মাদ আলি
  • মাওলানা আহমাদ আলি
  • মাওলানা কারামাতুল্লাহ মুহাদ্দিস আলিপুরী

মৃত্যু

শাহ আব্দুল আজিজ ৭ শাওয়াল, ১২৩৯ হিজরি বা ৫ জুন ১৮২৪ ঈসায়ী সনে দিল্লীতে মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় আকবরের শাসনামলে ইন্তিকাল করেন।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. Allen, Charles (২০০৯-০৩-০৫)। "1. Death of a Commissioner"। God's Terrorists: The Wahhabi Cult and the Hidden Roots of Modern Jihad। Da Capo Press। আইএসবিএন 978-0-7867-3300-2।
  2. John Kelsay (২০১৫)। "Jihad"। Islamic Political Thought: An Introduction। Princeton University Press। জেস্টোর j.ctt1287ksk.8
  3. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০১৮
  4. Hamid Naseem Rafiabadi (2005), Saints and Saviours of Islam, Sarup & Sons, p. 160
  5. https://archive.org/details/Fatawa-e-aziziByShaykhShahAbdulAzizDehlvir.a
  6. https://archive.org/details/TohfaIsnaAshriyaByShaykhShahAbdulAzizDehlvir.a
  7. https://archive.org/stream/SirrulShahadatainKaTarjamaShahdatEHusnainKareemainimamHussain/SirrulShahadatainKaTarjamaShahdatEHusnainKareemain#page/n0/mode/2up
  8. http://marfat.com/BrowsePage.aspx?GroupId=89dd511d-ec4e-480e-a546-9a6f2fdf9629
  9. http://marfat.com/BrowsePage.aspx?title=bustan&author=
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.