শামীম জামান

শামীম জামান জন্ম গ্রহণ করেন ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত মানিকগঞ্জ জেলায়। তার জন্মগত নাম হচ্ছে সায়ফুজ্জামান। তবে নাট্যপাড়ায় তার নাম শামীম জামান। এই নামে তিনি সকলের কাছে পরিচিত। [4]

স্কুলে পড়াকালীন সময় থেকে তিনি বিভিন্ন ধরনের অভিনয়ের সাথে জড়িত ছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৮৯ সালে ঢাকায় এসে "আরণ্যক নাট্যদল" নাট্য সংগঠনের সদস্য হিসেবে নাম লেখান। মূলত এখান থেকেই তার অভিনয় জীবনের পথচলা শুরু হয়। প্রথমে এই সংগঠনে থেকে তিনি বিভিন্ন মঞ্চ নাটকে কাজ করা শুরু করেন। তারপরই পর্দার নাটকে তার অভিষেক হয়। তারপর একাধারে নিজেই একজন প্রযোজক ও পরিচালক হন।[5][6]

তিনি বিবাহিত। তার এক ছেলে সন্তান রয়েছে।

অভিনয় জীবনের শুরুতেই তিনি একজন মঞ্চ অভিনেতা হিসেবে আরণ্যক নাট্য সংগঠনের সাথে কাজ শুরু করেন। এই সংগঠনের সাথে তিনি ইবলিশ, পাথর, জয়জয়ন্তী, প্রকৃতজন কথা ও ময়ূর সিংহাসন ইত্যাদি। এরপর টিভি পর্দার নাটকে কাজ শুরু করেন। তার অভিনিত টিভি পর্দার নাটকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাটক হচ্ছে দয়াগঞ্জ, সার্ভিস হোল্ডার, কলেজ স্টুডেন্টসহ আরো অনেক। নাটকের পাশাপাশি তিনি কয়েকটি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। সেগুলো হলো ‘আধিয়ার’, ‘বাংলা মায়ের দামাল ছেলে’, এবং ‘ছানা ও মুক্তিযুদ্ধ’।

তিনি ২০০১ থেকে নাটক পরিচালনা করে আসছেন। তার পরিচালিত উল্লেখযোগ্য নাটক হচ্ছে "রজব আলী ও তার কাফনের কথা", "ছত্রিশ খালেক", "হিটলার হারুন", "প্রবাসী জামাই", ও "ভেসপা-১৫০।"

শামীম জামান অভিনেতা ও পরিচালকের পাশাপাশি একজন প্রযোজকও। তার নিজের একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির নাম হচ্ছে "শরৎ টেলিফিল্ম।" এই প্রতিষ্ঠান থেকে তৈরি করা উল্লেখযোগ্য নাটক হচ্ছে ‘গরু চোর’, ‘হাড়কিপটে’, ‘পত্রমিতালী’, ‘ওস্তাদজী’, ‘শিলবাড়ি’, ‘গরিবের বন্ধু’, ‘ছায়াবাজ’, ‘ভালবাসার গল্প’, ‘কতা দিল্যাম তো’, ‘লারনেড ম্যান’, ‘আলতা সুন্দরী’, ‘জামাইমেলা’, ‘জামান ম ল’, ‘আশা টকিজ’, ‘একদা বাঘের গলায় হাড় ফুটিলো’, ‘দুই টাকার বাহাদুরী’ ইত্যাদি।[7]

অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক ছাড়াও তিনি একজন গল্প লেখকও। তার লেখা গল্পে নাটকগুলি হচ্ছে ‘রজব আলী ও তার কাফনের কথা’, ‘ছত্রিশ খালেক’, ‘প্রবাসী জামাই’ ও ‘ভেসপা-১৫০’, ‘পত্রমিতালী’, ‘হাড়কিপটে’, ‘আলতা সুন্দরী’, ‘জামাই মেলা’, ‘জামান মণ্ডল’, ‘দুই টাকার বাহাদুরী’ উপরোল্লিখিত নাটকগুলোর মূল গল্প তারই।

এরইমধ্যে অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক ও গল্পকারের পাশাপাশি তিনি সঙ্গীতাঙ্গনেও নাম লিখিয়েছেন। তিনি এই পর্যন্ত প্রায় কয়েকটি গানের কথা নিজে লিখেছেন এবং গেয়েছেনও। বের করেছেন দুটি গানের অ্যালবাম। তিনি তার প্রথম গানের অ্যালবাম বের করেন ‘পরান বন্ধুরে’ নামে। পরে একটি একক অ্যালবাম বের করেন যার নাম ‘একটা চিঠি’। উক্ত অ্যালবাম দুটিতে তার নিজের লেখা গান রয়েছে ৮টি। এছাড়াও তিনি সূচনা সংগীত গেয়েছেন দুটি নাটকে একটি হলো ‘জামাই মেলা’ ও অন্যটি হলো ‘সোস্যাল নেটওয়ার্ক।'[8]

তিনি নাটকে অভিনয় করার পাশাপাশি কয়েকটি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। তার অভিনিত চলচ্চিত্র হচ্ছে  ‘আধিয়ার’, ‘বাংলা মায়ের দামাল ছেলে’, এবং ‘ছানা ও মুক্তিযুদ্ধ’।[9]

ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে শামীম জামান (ইংরেজি)