শহীদুল ইসলাম খোকন

শহীদুল ইসলাম খোকন (ইংরেজি: Shahidul Islam Khokon; ১৫ মে, ১৯৫৭ - ৪ এপ্রিল, ২০১৬) একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র পরিচালক। পরিচালনার পাশাপাশি তিনি চলচ্চিত্র প্রযোজনা ও অভিনয় করেছেন। মৌলিক গল্প, দুর্দান্ত অ্যাকশন, মিষ্টি মধুর গান আর টানটান উত্তেজনা ভরপুর চলচ্চিত্র নির্মাণে তিনি অনবদ্য।[2]

শহীদুল ইসলাম খোকন
জন্ম(১৯৫৭-০৫-১৫)১৫ মে ১৯৫৭
বরিশাল জেলা, পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ)
মৃত্যু৪ এপ্রিল ২০১৬(2016-04-04) (বয়স ৫৮)[1]
জাতীয়তাবাংলাদেশী
পেশাচলচ্চিত্র পরিচালক
কার্যকাল১৯৭৪বর্তমান
উল্লেখযোগ্য কর্ম
  • বিশ্বপ্রেমিক
  • ঘাতক
  • লাল সবুজ
দাম্পত্য সঙ্গীজয়া ইসলাম
সন্তান১ মেয়ে, ২ ছেলে

প্রাথমিক জীবন

শহীদুল ইসলাম খোকন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) বরিশাল জেলার ইমামকাঠি অন্তর্গত বোয়ালিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন।

কর্মজীবন

শহীদুল ইসলাম খোকনের চলচ্চিত্র যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৪ সালে অভিনেতা ও প্রযোজক সোহেল রানার হাত ধরে। সোহেল রানা পরিচালিত মাসুদ রানা চলচ্চিত্রের সহকারী পরিচালক হিসেবে তিনি চলচ্চিত্রাঙ্গনে পদার্পণ করেন। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র রক্তের বন্দী তেমন সাফল্য পায় নি। তার পরিচালিত দ্বিতীয় চলচ্চিত্রটিও সাফল্যের মুখ দেখে নি। এরপর তিনি সোহেল রানার ছোট ভাই রুবেলকে নিয়ে নির্মাণ করেন অ্যাকশন নির্ভর লড়াকু যা ব্যবসাসফল হয়। ইলিয়াস কোবরা, ড্যানি সিডাক, সিরাজ পান্না, চিত্রনায়িকা মিশেলাদের নিয়ে মার্শাল আর্ট এবং অ্যাকশন ভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণ করে তিনি সফলতা লাভ করেন।[3]

ব্যক্তিগত জীবন

শহীদুল ইসলাম খোকন জয়া ইসলামকে বিয়ে করেন। তাদের ১ মেয়ে ও ২ ছেলে।[4]

চলচ্চিত্রের তালিকা

বছর চলচ্চিত্রের শিরোনাম পরিচালক চিত্রনাট্যকার প্রযোজক টীকা
রক্তের বন্দীহ্যাঁপ্রথম পরিচালিত চলচ্চিত্র
লড়াকুহ্যাঁপ্রথম ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র
১৯৮৭বীরপুরুষহ্যাঁ
১৯৮৯বজ্রমুষ্টিহ্যাঁপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুটিং স্পটে বসে শুটিং দেখেন[5]
১৯৯২উত্থান পতনহ্যাঁপ্রথম অভিনয় করেন
১৯৯৫বিশ্বপ্রেমিকহ্যাঁ
সন্ত্রাসহ্যাঁহ্যাঁহ্যাঁ
১৯৯৭ঘাতকহ্যাঁহ্যাঁ
১৯৯৬পালাবি কোথায়হ্যাঁহ্যাঁঅর্থসঙ্কটের কারণে বাড়ি বিক্রি করে[6]
১৯৯৮ভণ্ডহ্যাঁহ্যাঁ
১৯৯৯ম্যাডাম ফুলিহ্যাঁহ্যাঁহ্যাঁ
২০০৫লাল সবুজহ্যাঁহ্যাঁ
টাকাহ্যাঁহ্যাঁ
২০১০চেহারাহ্যাঁহ্যাঁহ্যাঁ

পুরস্কার ও সম্মাননা

তথ্যসূত্র

  1. "নির্মাতা শহীদুল ইসলাম খোকন আর নেই"
  2. চিন্তামন তুষার; আব্দুল মান্নান (৫ জানুয়ারি ২০১৬)। "জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে শহীদুল ইসলাম খোকন"বিডিনিউজ। ঢাকা, বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০১৬
  3. "লাইফ সাপোর্টে শহীদুল ইসলাম খোকন"দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা, বাংলাদেশ। ৪ জানুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০১৬
  4. "লাইফ সাপোর্টে শহীদুল ইসলাম খোকন"বাংলানিউজ। ঢাকা, বাংলাদেশ। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০১৬
  5. "গুরুতর অসুস্থ শহীদুল ইসলাম খোকন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান"দৈনিক মানবজমিন। ঢাকা, বাংলাদেশ। ২২ নভেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০১৬
  6. "শহীদুল ইসলাম খোকন লাইফ সাপোর্টে"দৈনিক মানবজমিন। ঢাকা, বাংলাদেশ। ১ জানুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০১৬

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.