শক্তির নিত্যতা
পদার্থবিজ্ঞানে শক্তির নিত্যতা সূত্র বলে যে বিশ্বের মোট শক্তির পরিমান ধ্রুবক | শক্তি অবিনশ্বর, শক্তি সৃষ্টি বা ধ্বংস করা যায় না | এক রূপ থেকে শক্তিকে কেবলমাত্র অন্য রূপে রূপান্তরিত করা যায় | যেমন, একটি ডিনামাইট এর লাঠির বিস্ফোরণের ফলে রাসায়নিক শক্তি যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয় |
শক্তির নিত্যতা সূত্রের অনুযায়ী প্রথম ধরনের অবিরাম গতি যন্ত্র তৈরী করা অসম্ভব | কারণ বহিরাগত শক্তি সরবরাহ ছাড়া কোনো সংস্থা তার আশেপাশে সীমাহীন শক্তি সরবরাহ করতে পারে না |
ইতিহাস

খ্রিষ্টপূর্বাব্দ ৫৫০ এর সময়কার প্রাচীন দার্শনিকদের ধারণা ছিল যে কিছু অন্তর্নিহিত পদার্থ সংরক্ষণ করে সবকিছু তৈরী হয়েছে | কিন্তু আমরা যেটাকে ভর-শক্তি হিসেবে জানি সেটা এভাবে শনাক্ত করা যায় না (যেমন, থালেস এটাকে জল ভেবেছিলেন) | এমপেডোক্লেস (খ্রিষ্টপূর্বাব্দ ৪৯০-৪৩০) এর মতে বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ড, চার উপাদান (পৃথিবী, বায়ু, জল, অগ্নি) দিয়ে গঠিত | এই সকল উপাদানের ক্রমাগত মিশ্রণ বা পরিবর্তনেই ব্ৰহ্মাণ্ড গঠন হয়েছে | ১৬০৫ সালে সাইমন স্টেভিনাস প্রথম ধরনের অবিরাম গতি যন্ত্রের উপর বেশ কিছু স্থিতিবিদ্যা সংক্রান্ত প্রশ্নের সমাধান করেন | ১৬৩৮ সালে গ্যালিলিও বিভিন্ন ঘটনার ব্যাখ্যা প্রকাশ করেন | এর মধ্যে 'বিঘ্নিত দোলক' এর বিশ্লেষণও ছিল, যেখানে শক্তির সংরক্ষণ নীতি মেনে স্থিতিশক্তি থেকে গতিশক্তিতে রূপান্তর হয় এবং গতিশক্তি থেকে স্থিতিশক্তিতে রূপান্তর হয় |