ল্যারি পেইজ

লরেন্স "ল্যারি" পেইজ[2] (ইংরেজি: Lawrence "Larry" Page; জন্ম: ২৬শে মার্চ ১৯৭৩) একজন আমেরিকান কম্পিউটার বিজ্ঞানী এবং ইন্টারনেট উদ্যোক্তা। তিনি সের্গেই ব্রিন এর সাথে গুগল প্রতিষ্ঠিত করেন।

ল্যারি পেইজ
ইউরোপিয়ান পালামেন্টে ল্যারি পেজ
জন্ম
লরেন্স পেইজ

(1973-03-26) মার্চ ২৬, ১৯৭৩
East Lansing, মিশিগান, ইউ.এস.
জাতীয়তাআমেরিকান
যেখানের শিক্ষার্থীমিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় (ব্যাচেলর অব সায়েন্স)
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় (মাস্টার অব সায়েন্স)
পেশাগুগলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা
পরিচিতির কারণগুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা
বার্ষিক সম্পত্তিইউএস$ ৩৯.৩বিলিয়ন (জানুয়ারি ২০১৭)[1]
দাম্পত্য সঙ্গীLucinda Southworth (বি. ২০০৭)
সন্তান
ওয়েবসাইটGoogle.com - Larry Page
স্বাক্ষর

পেইজ হলেন গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান আলফাবেট ইনকর্পোরেশন এর প্রধান নির্বাহী অফিসার। গুগলের সিইও হিসেবে ২০০১ সালের আগস্ট মাসে পদত্যাগ করার পর, এরিক এমারসনের পক্ষে, তিনি ২০১১ সালের এপ্রিলে আবার একই পদে আসীন হন। তিনি ২০১৫ সালের জুলাই মাসে এলফাবেটের সিইও হবার জন্য আবারও পদত্যাগের ঘোষণা দেন, যার অধীনে গুগলের সম্পদসমূহ পুনর্সজ্জিত করা হবে। পেইজের অধীনে থাকাবস্থায় এলফাবেট বিভিন্ন ধরনের ইন্ডাস্ট্রিতে বড় আকারের উন্নয়ন সাধন করতে ইচ্ছুক।

অক্টোবর ২০১৭ পর্যন্ত তিনি বিশ্বের ১২তম ধনী ব্যক্তি, তার ব্যক্তিগত সম্পদ আনুমানিক ইউএস$ ৪৭ বিলিয়ন (জুলাই ২০১৭)[1]

পেইজ হলেন পেইজ-র‍্যাংক এর উদ্ভাবক, যা গুগলের সার্চ র‍্যাংকিং এলগরিদম হিসেবে বেশি পরিচিত। তিনি ২০০৪ সালে মার্কনি পুরস্কার পান।

শৈশব

পেইজ ১৯৭৩ সালের ২৬শে মার্চ মিশিগানের পূর্ব ল্যাসিং এ জন্মগ্রহণ করেন। পেই কোন গতানুগতিক ধর্ম অনুসরণ করেন না। তার বাবা, সিনিয়র কার্ল ভেক্টর ১৯৬৫ সালে মিশিগান ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানের উপর পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন, যখন বিভাগটি যাত্রা শুরু করে। এবং বিবিসি রপোর্তার স্মেল তাকে "কম্পিউতার বিজ্ঞান ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের অগ্রদূত" হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি মিশিগান স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। পেইজের মা, গ্লোরিয়া ছিলেন লাইমেন ব্রিগস কলেজ এবং মিশিগান স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এর নির্দেশক।

সাক্ষাৎকারের সময় পেইজ তার শৈশবের স্মৃতিচারণ করেন, তার বাসা "সাধারণত ছড়ানো ছিটানো কম্পিউটার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক ম্যাগাজিন ভর্তি একটা জঞ্জাল" ছিল, এমন একটা পরিবেশ যার মাঝে তিনি সম্পূর্ণ ডুবে গেছিলেন। শিশুকালে পেইজ ছিলেন একজন ক্ষুধার্ত পাঠক, ২০১৩ সালের গুগল উদ্যোক্তাদের চিঠিতে তিনি লিখেছিলেনঃ "আমার মনে আছে, প্রচুর পরিমাণ সময় আমি বই ও ম্যাগাজিনে ঢালতাম"। লেখক নিকোলাস কার্লসনের মতে, বাসার পরিবেশ এবং তার অভিভাবকের মিলিত অনুপ্রেরণা "সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনে উতসাহিত করেছিল"। পেইজ সেক্সোফোনও বাজাতেন, এবং বড় হতে হতে বাদ্য রচণা শিখেছিলেন। পেইজ উল্লেখ করেছেন যে, তার সংগীত শিক্ষা তাকে অসীম ধৈর্য্য ও দ্রুতগতিতে কম্পিউটিং কারতে ঘোরের মত উতসাহ জুগিয়েছিল। "এক অর্থে আমার মনে হয়, সংগীত শিক্ষা আমাকে জন্য উচ্চগতির গুগল নেতৃত্বে ধাবিত করেছিল।" এক সাক্ষাতকারে পেইজ জানান, "সংগীতে তুমি সময় সম্বন্ধে ব্যাপক ওয়াকিবহাল। সময় যেন মূল বিষয়।" এবং সেজন্য, "তুমি যদি একে সংগীতের দিক থেকে বিচার কর, তুমি যদি পার্কাশনিস্ট হও, তুমি কিছু একটা ঘটাও, সেটা মিলিসেকেন্ডের মধ্যে, সেকেন্ডের ভগ্নাসগশের মধ্যে হবেই।"

শিক্ষাজীবন

ল্যারি ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান থেকে কম্পিউটার প্রকৌশলে সম্মানসহ ব্যাচেলর অব সায়েন্স ডিগ্রি অর্জন করেন এবং স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে মাস্টার অব সায়েন্স ডিগ্রি অর্জন করেন।

কর্মজীবন

১৯৯৮ সালে পেইজ সের্গেই ব্রিন এর সাথে প্রতিষ্ঠা করেন সার্চ ইঞ্জিন গুগল।

পারিবারিক জীবন

২০০৭ সালে পেইজ লুসিন্ডা সাউথওয়ার্থকে বিয়ে করেন। পেইজ এখন এক সন্তানের জনক।

তথ্যসূত্র

  1. ল্যারি পেইজ (১৯৯৯)Lawrence or Larry Page's Page। প্রকাশক: স্ট্যানফোর্ড ওয়েব সাইট। সংগৃহীত হয়েছে: ১৮ই মে, ২০১০।

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.