লায়লী-মজনু
দৌলত উজির বাহরাম খান বিরচিত লায়লী-মজনু কাব্য রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান কাব্যধারায় একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হিসেবে স্থান পেয়েছে। ডঃ মুহম্মদ এনামুল হক এর মতে, ১৫৬০ থেকে ১৫৭৫ সালের মধ্যে কবি লায়লী-মজনু কাব্য রচনা করেছিলেন। ডঃ আহমদ শরীফ ১৫৪৩ থেকে ১৫৫৩ সালের মধ্যে কাব্যের রচনাকাল মনে করেন। ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ এর মতে লায়লী-মজনু কাব্যের রচনাকাল ১৬৬৯ খ্রিষ্টাব্দ।

কবি দৌলত উজির বাহরাম খান রচিত লায়লী-মজনু কাব্য পার্সিয়ান তথা ইরানি কবি জামীর লায়লী-মজনু নামক কাব্যের ভাবানুবাদ। লায়লী-মজনু প্রেমকাহিনী সারা বিশ্ব জুড়ে পরিচিত। এই কাহিনীর মূল উৎস আরবি লোকগাঁথা।[1][2][3] কাহিনীটিকে ঐতিহাসিক দিক থেকে সত্য বিবেচনা করা হয়।
আমির পুত্র কয়েস বাল্যকালে বণিক-কন্যা লায়লীর প্রেমে পড়ে মজনু বা পাগল নামে খ্যাত হয়। লায়লীও মজনুর প্রতি গভীর আকর্ষণ অনুভব করে। কিন্তু উভয়ের বিবাহে আসে বাধা। ফলে মজনু পাগল রূপে বনেজঙ্গলে ঘুরে বেড়াতে থাকে। অন্যদিকে লায়লীর অন্যত্র বিয়ে হলেও তার মন থেকে মজনু সরে যায় নি। তাদের দীর্ঘ বিরহজীবনের অবসান ঘটে করুণ মৃত্যুর মাধ্যমে। এই মর্মস্পর্শী বেদনাময় কাহিনী অবলম্বনেই লায়লী-মজনু কাব্য রচিত।
তথ্যসুত্র
- "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৮ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০১৭।
- al-hakawati.net/arabic/Civilizations/diwanindex2a4.pdf
- http://www.visions.az/en/news/271/a3e8bd5c/