রোহতাস কেল্লা
রোহতাস কেল্লা (পাঞ্জাবি, উর্দু: قلعہ روہتاس; কিল্লা রোহাতাস) ষোড়শ শতাব্দীর একটি দুর্গ যা পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের জেলূম শহরের কাছাকাছি অবস্থিত। এই দুর্গটি পশতুন রাজা শের শাহ সুরির রাজত্বকালে ১৫৪১ থেকে ১৫৪৮ সালে নির্মিত হয়েছিল। এটি নির্মাণের উদ্দেশ্য ছিল উত্তর পাঞ্জাবের পোট্রোহার অঞ্চলের বিদ্রোহী গোত্রকে দমন করা যারা মুঘল রাজত্বের অনুগত ছিল। দুর্গটি উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ এবং সবচেয়ে দুর্গম দুর্গ। রোহতাস কেল্লাটি কখনো ঝড়-বাদলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় নি এবং অবিকল অক্ষত অবস্থায় রয়েছে।
![]() | |
ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান | |
---|---|
অবস্থান | পাকিস্তান ![]() |
মানদণ্ড | ২য়, ৪র্থ[1] |
তথ্যসূত্র | 586 |
স্থানাঙ্ক | ৩২°৫৭′৫৫″ উত্তর ৭৩°৩৪′৩৫″ পূর্ব |
শিলালিপির ইতিহাস | ১৯৯৭ (২১তম সভা) |
![]() ![]() রোহতাস কেল্লার অবস্থান | |
দুর্গটি তার বৃহৎ সুরক্ষামূলক দেয়াল এবং বৈশিষ্ট্যপূর্ণ বিরাট প্রবেশপথের জন্য পরিচিত। ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে রোহতাস দুর্গটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল যা কেন্দ্রীয় ও দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিম সামরিক স্থাপত্যের একটি ব্যতিক্রমী উদাহরণ।
অবস্থান

দুর্গটি গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোডের আট কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। এটি জেল্লুর প্রায় ১৬ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে এবং দিনা শহরের কাছাকাছি। ঐতিহাসিক শাহরা-এ-আজম সড়কটি একবারে দুর্গটির উত্তরের বাইরের প্রাচীরের পাশে অবস্থিত। রোহতাস ফোর্টটি একটি পাহাড়ের উপর নির্মিত ছিল ঘোড়া যেখানে কান নদী একটি মৌসুমী প্রবাহের সাথে মিলিত হয়। তিলা জগিয়ান এর মধ্যে 'পারনল খাস' নামে পরিচিত. দুর্গটি তার চারপাশে প্রায় 300 ফুট (91 মিটার) জায়গা জুড়ে অবস্থিত।. এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৬৬০ ফুট (৮১০ মিটার) এবং ১২.৬৩ একর (৫১,০০০ মিটার) এলাকায় আচ্ছাদিত।
পটভূমি
দুর্গটি শুর সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা শের শাহ্ সুরী কর্তৃক অনুমোদিত হয়। দুর্গের নকশা করা হয়েছিল, মুগল সম্রাট হুমায়ূন এর অগ্রগতিতে বাধা দেওয়ার জন্য যিনি 'কানৌজ যুদ্ধে' পরাজিত হওয়ার পর [পার্সিয়া] তে নির্বাসিত হয়েছিলেন। 'এই দুর্গটি আফগানিস্তানের পার্বত্য অঞ্চল এবং পাঞ্জাবের সমভূমির মধ্যে একটি কৌশলগত অবস্থানে ছিল , এবং মুগল সম্রাটকে ভারতে প্রত্যাবর্তন থেকে বাধা প্রদান করছিলো.[2]
ইতিহাস

শুর আমল
তদার মল খাতির পরিচালনায় 1541 সালে দুর্গের নির্মাণ শুরু হয় এবং 1548 সালে এটি সম্পূর্ণ হয়। প্রাথমিকভাবে কেল্লাটির নির্মাণ শুরুতে স্থানীয় গাখার উপজাতিরা এখানকার মজুর হিসাবে কাজ করার জন্য অস্বীকারের ফলে ধীর গতিসম্পন্ন ছিল। মুগল পরিচালকরা অবশেষে মজুরি হার বৃদ্ধি করে, যার ফলে ব্যাপক সংখ্যক গাখার দুর্গ নির্মাণের প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণ করে।[2]
তথ্যসূত্র
- http://whc.unesco.org/en/list/586.
- "Rohtas Fort"। Oriental Architecture। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১৭।
- Singh, Kirapala; Kapur, Prithipala (২০০৪)। Janamsakhi tradition: an analytical study। Singh Brothers। পৃষ্ঠা 174। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০১৭।