রূপা হক

রূপা আশা হক: (রাবেয়া "রূপা" আশা হক; জন্ম ২ এপ্রিল ১৯৭২)  একজন ব্রিটিশ লেবার পার্টির রাজনীতিক, লেখক এবং কলামিস্ট। তিনি ২০১৫ সালের নির্বাচনে একজন নির্বাচিত এবং পার্লামেন্ট সদস্য। তিনি লন্ডনের ইলিং বরার ডেপুটি মেয়র ছিলেন। এছাড়া সাবেক একজন প্রভাষক তিনি।

রূপা হক
সংসদ সদস্য
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
৭ মে ২০১৫
সংখ্যাগরিষ্ঠ২৭৪ (০.৫%)
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মরুপা আশা হক
(1972-04-02) ২ এপ্রিল ১৯৭২
লন্ডন, যুক্তরাজ্য
রাজনৈতিক দললেবার
সন্তান
ধর্মইসলাম
ওয়েবসাইটওয়েবসাইট

প্রাথমিক জীবন

রূপা হকের বাবা মুহম্মাদ হক এবং মা রোশান আরা হক । তারা ১৯৬০ সালে সন্তানদের জন্য আরো বেশি উন্নত সুযোগ-সুবিধা এবং শিক্ষার জন্যততকালীন পূর্ব পাকিস্তান  (বর্তমানে বাংলাদেশ) থেকে অভিবাসি হয়ে ব্রিটেনে যান ।  পাবনা শহরের মকসেদপুরে ছিল তার বাবার বাড়ি। তার মায়ের বাড়ি কুঠিপাড়া। মিস্টার হক লন্ডনে একটি ভারতীয় রেস্তোরা চালু করেন।  নব্বইয়ের শুরুর দিকে কাউন্সিল রেস্তোরাটির ইজারা পুনরায় নবায়ন না করায় ব্যবসাটি গুটিয়ে দিনে হয়। তিনি হ্যারোতে আরেকটি রেস্তোরা চালু করেন।

বার্মিংহামের কুইনস শার্লটস হসপিটালে জন্ম হয় রূপা হকের। ১৯৮০ সালে আটবছর বয়সে বিবিসির স্কুল প্রোগ্রামে তিনি অংশ নেন।

ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৩ সালে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রী নেন তিনি। ১৯৯৯ সালে তিনি পিএইচডি সম্পন্ন করেন ইস্ট লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তার বিষয়বস্তু ছিল পর্যায়ে যুব সংস্কৃতি ।

শিক্ষকতা পেশা

১৯৯৮ সালে মিজ হক ম্যানচেস্টারে চলে যান। ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৪ পর্যন্ত তিনি প্রভাষক ছিলেন ।

২০০৪ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত তিনি কিংসটন ইউনিভার্সিটর সমাজবিজ্ঞান এবং অপরাধ বিজ্ঞান বিষয়ে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক হিসেবে পড়িয়েছেন। তিনি মিডিয়া এবং কালচারাল স্টাডিজ বিষয়েও পড়িয়েছেন।

লেখক এবং গণমাধ্যমে কর্মজীবন

রূপা হক ট্রিবিউন, গার্ডিয়ান, নিউ স্টেসম্যান, প্রগ্রেস ম্যাগাজিন এবং দ্য টাইমস হায়ার এডুকেশনে সাপ্লিমেন্টে লিখেছেন। তার গবেষণার ক্ষেত্রে যুব সংস্কৃতি এবংপপ সংগীত বিশেষভাবে স্থান পেয়েছে।

২০০৬ সালে তার বিয়ন্ড সাবকালচার: ইয়ুথ, পপ অ্যান্ড আইডেনটিটি ইন অ্যা পোস্ট কলোনিয়াল ওয়ার্ল্ড –এই তিমে প্রকাশিত হয়। ২০০৭ সোলে ব্রিটিশ সোশিওরজিকাল অ্যাসোসিয়েশন ফিলিপ আব্রাহাম মেমোরিয়াল পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিল এই বইটি।

২০১২ সালে তার ২য় বই মেকিং সেন্স অব সাবরাবিয়া থ্রু পপুলার কালচার প্রকাশিত হয়।

২০১১ সালে লেবার পার্টির ‘হোয়াট নেক্সট ফর লেবার?’ ক্যাম্পেইনের কন্ট্রিবিউটর ছিরেন তিনি।

২০১৩ সালে তার বই অন দ্য এজ: দ্য কনটেস্টেড কালচার অব ইংলিশ সাবরাবিয়া আফটার 7/7  এবং মেকিং সেন্স অব সাবরাবিয়া থ্রু পপুলার কালচার প্রকাশিত হয়।

তিনি চ্যানেল এস এবং বাংলা টিভি এবং চ্যানেল ফোর, বিবিসি নিউজ টুয়েন্টিফোর এ তাকে দেখা গেছে। রেডিওতে বিবিসি রেডিও ফোরের টুডে প্রোগ্রাম এবং বিবিসি রেডিও ফাইভ লাইভ এবং বিবিসি এশিয়ান নেটওয়ার্কেও তিনি কাজ করেছেন।

রূপা হক ডিআর হক নামের আড়ালে একজন মিউজিক ডিজেও ছিলেন এবং  জন পিল-এর জন্য বাংলায় জিঙ্গেল গেয়েছেন।  ১৭ বছর বয়সে তিনি হসপিটাল রেডিওর জন্য ডিজে হিসেবে কাজ শুরু করেন।

রাজনৈতিক জীবন

২০০৪ সালে তিনি ইউরোপিয়ান পার্লমেন্টে নির্বাচনে লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ান।  

২০০৫ সালে তিনি লেবার পার্টির হয়ে পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হন।

২০০৮ সালে বৃটিশ সরকারের পররাষ্ট্র এবং কমনওয়েলথ টিমের সদস্য হিসেবে “আন্ডারস্ট্যান্ডিং ইসলাম” শীর্ষক কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশে আসেন।

২০১০ সালে তিনি লন্ডন বরাহ অব ইলিং এর ডেপুটি মেয়র নির্বাচিত হন।

২০১৩ সালে লেবার পার্ঠি তাকে পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে কনজারভেটিভ পার্টির এমপি অ্যাঞ্জি ব্রের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নমিনেশন দেয়।

তিনি নির্বাচনে ২২ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হন।

ব্যক্তিগত জীবন

রূপা হক রাফি নামে এক পুত্র সন্তানের মা। তিনি বাংলা, ফরাশি এবং হিন্দি ভাষায় পারদর্শী।

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.