রিকশাচিত্র
এ ক্ষেত্রে স্থানীয় রাস্তার শিল্পী কতৃক ক্যানভাস হিসাবে রিকশার পিছনে ছোট ছোট অনুষঙ্গে এই বিশেষ চিত্রকলা লক্ষ করা যায়। যেখানে রিকশার মালিকের ইচ্ছায় হুডে বিভিন্ন ল্যান্ডস্কেপ ও পোর্ট্রেট চিত্রায়ন করা হয়।
ইতিহাস
বিশ শতকের প্রথমভাগে, মূলত ত্রিশের দশকে, ঢাকাসহ বাংলাদেশের আরো কয়েকটি জায়গায় রিকশার প্রচলন ঘটে। তবে সেসময়কার অর্থাৎ ত্রিশ ও চল্লিশের দশকে বাংলাদেশের রিকশাচিত্র সম্পর্কে তেমন কোন তথ্য জানা না গেলেও পঞ্চাশ ও ষাটের দশক থেকে এর ধারাবাহিক ইতিহাস জানা যায়। এই দীর্ঘ সময়ে অসংখ্য মোটিফ এঁকেছেন শিল্পীরা।
উদ্দেশ্য
রিকশাকে সুসজ্জিত ও আকর্ষণীয় করাই হলো রিকশা আর্টের মূল লক্ষ্য। সাধারণত শিল্পীরা মহাজন এবং ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী ছবি এঁকে থাকেন।
বাংলাদেশে রিকশাচিত্র
বাহারী ও শৌখিন পরিবহন হিসেবে ঢাকায় রিকশার আগমন ১৯৪৭-এর দেশভাগের পর এবং তখন থেকেই সূত্রপাত রিকশাচিত্রের, পঞ্চাশ ও ষাটের দশক থেকে যা এ অঞ্চলে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বাংলাদেশে রিকশাচিত্র ১৯৫০ এর দিকে ফিরে তাকালে দেখা যায় জ্যামিতিক নকশার পাশাপাশি ফুল, পাখি এমনকি জনপ্রিয় নায়ক-নায়িকাদের ছবি আঁকারও প্রচলন ছিল। যদিও উচ্চবিত্ত শ্রেণীর লোকজন রিকশাচিত্রের মর্যাদা সম্পর্কে অতোটা ওয়াকিবহাল নন এবং কিছুটা হেয় করেই দেখে থাকেন.।[2]
ষাটের দশকে চলচ্চিত্র তারকাদের প্রতিকৃতি, স্বাধীনতাপরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধ ও সত্তরের দশকের পর বর্ধিত ঢাকার কাল্পনিক দৃশ্য রিকশাচিত্রের প্রধান উপজীব্য ছিল। এ ছাড়া গ্রামীণ জনজীবন, প্রাকৃতিক দৃশ্য, মিথ বা ধর্মীয় কিংবদন্তি, স্মৃতিসৌধ, সংসদ ভবন, শহীদ মিনার, তাজমহল, সিনেমার দৃশ্য, রাস্তা ও পশুপাখির ছবি রিকশাচিত্রকে করেছে বৈচিত্র্যময়।
=গ্যালারি
তথ্যসূত্র
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে রিকশাচিত্র সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
- "বাংলাদেশের রিকশাচিত্র"। প্রথম আলো। ১৩ এপ্রিল ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০১৭।
- Marshall Cavendish Corporation (২০০৭)। World and Its Peoples: Eastern and Southern Asia। Marshall Cavendish। পৃষ্ঠা 479। আইএসবিএন 0-7614-7631-8। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৬, ২০১০।