রাজকুমার হিরানী

রাজকুমার হিরানী (সিন্ধি: حراتر راج ڪمار; জন্ম: ২০ নভেম্বর, ১৯৬২) ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (ভারত) এবং ফিল্মফেয়ার পুরস্কার প্রাপ্ত হিন্দি ছবির পরিচালক, চিত্রনাট্যকার এবং ফিল্ম এটির। তিনি মুন্না ভাই এমবিবিএস (২০০৩), লাগে রাহো মুন্না ভাই (২০০৬), থ্রি ইডিয়টস (২০০৯) ও পিকে (২০১৪) এর জন্য ব্যাপক পরিচিত।

রাজকুমার হিরানী
জন্ম (1962-11-20) ২০ নভেম্বর ১৯৬২
নাগপুর, মহারাষ্ট্র, ভারত
অন্যান্য নামরাজু হিরানী
পেশাপরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার, ফিল্ম এডিটর
কার্যকাল১৯৯৩-বর্তমান
দাম্পত্য সঙ্গীমানজিত হিরানী
সন্তান(১) ভির হিরানী

প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষাজীবন

রাজকুমার হিরানীর (রাজু হিরানী নামে পরিচিত) জন্ম ১৯৬২ সালের ২০ নভেম্বর নাগপুরে সিন্ধি পরিবারে। তার বাবা সুরেশ হিরানী নাগপুরে একটি টাইপিং ইন্সটিটিউট পরিচালনা করেন। হিরানীর বয়স যখন ১৪ তখন তার পরিবার পাকিস্তানের সিন্ধ থেকে ভারতে চলে আসেন। রাজকুমার হিরানী মহারাষ্ট্র, নাগপুরের সেন্ট ফ্রান্সিস ডিসেলস হাই স্কুলে পড়াশোনা শুরু করেন। তার প্রকৌশলী কিংবা চিকিৎসা বিষয়ে পড়ার জন্য প্রয়োজনীয় নম্বর ছিলো না। [1] বাধ্য হয়েই সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ড ছেড়ে চলে গেলেন কমার্সে । আশেপাশের বন্ধুরা সবাই – তোর জীবন পুরা ব্যর্থ। সায়েন্সে পড়েও ইঞ্জিনিয়ার হতে পারলি না ???ইত্যাদি বলে উপহাস করতে লাগলো। মানুষটার কাছে তখন এই উপহাসের কোনো জবাব ছিলো না। শুধুই নির্বাক হয়ে থাকতেন।

বাবার নির্দেশে ভর্তি হলেন সিএ (CA- Chartered Account) তে । কিন্তু, সিএ পড়তে এসে দেখলেন – সংখ্যার হিসাব- নিকাশ কিছুই তার মাথায় ঢুকছে না। তাই পরীক্ষার আগের দিন ভয়ে ভয়ে এসে বাবা বললেন – বাবা আমি কাল পরীক্ষা দিবো না “কমার্সের কোনো কিছুই আমার মাথায় ঢুবছে না” ।

ছেলের এই কথা শুনে বাবা মোটেও রাগ করলেন না বরং বললেন – পরীক্ষা দেওয়ার ইচ্ছা না থাকলে দিও না। কাল থেকে আমাকে কাজে সাহায্য করো। ছেলে মহাখুশীতে রাজি হয়ে গেলেন। বাবাকে টাইপরাইটিং ইন্সটিটিউটে সাহায্য করার পর হাতে থাকতো অফুরন্ত সময়।

কলেজে কিছু বন্ধুর সাথে পরিচয় ঘটলো যারা থিয়েটার করতো। সেসব বন্ধুদের সাথে ভর্তি হলেন থিয়েটারে। সেই থিয়েটারেই খুঁজে পেলেন তার সুখের ঠিকানা।

তারপর বন্ধুরা মিলে খুলে ফেললেন একটি থিয়েটার গ্রুপ। নাম দিলেন আওয়াজ।

থিয়েটারের প্রতি ছেলের মারাত্নক আগ্রহ দেখে বাবা ছেলেকে পুনে শহরের Film and Television Institute of India ( FTII) তে ভর্তি হওয়ার জন্য বলেন। FTII তে প্রথমবার এপ্লাই করেন ডিরেক্টর ফ্যাকাল্টিতে। কিন্তু, তখন ডিরেক্টর পদে ৮ টি সিটের বিপরীতে ছিল হাজার হাজার ছাএ। তাই ডিরেক্টর পদে চান্স পেলেন না। পরের বছর তিনি এপ্লাই করলেন এডিটিং ফ্যাকাল্টিতে কারণ, তখন এডিটিং এ খুব কম ছাএই এপ্লাই করতো । সেবার চান্সও হয়ে গেলো এবং চলে গেলেন FTII এ এডিটিং এর উপর পড়াশোনা করতে ।[2]

চলচ্চিত্রসমূহ

বছরসিনেমাভূমিকা
১৯৯৪১৯৪২: এ লাভ স্টোরিপ্রমোজ এবং ট্রেইলার
১৯৯৮কারিবপ্রমো সম্পাদক
২০০০মিশন কাশ্মীরসম্পাদক
২০০৩মুন্না ভাই এম.বি.বি.এস.পরিচালক, সম্পাদক, লেখক
২০০৫পরিনীতাক্রিয়েটিভ প্রযোজক
২০০৬লাগে রাহো মুন্না ভাইপরিচালক, সম্পাদক, লেখক
২০০৭একলাব্য: দ্য রয়েল গার্ডনির্বাহী প্রযোজক
২০০৯থ্রি ইডিয়টসপরিচালক, সম্পাদক, লেখক
২০১৪পিকেপরিচালক, সম্পাদক, লেখক, প্রযোজক
২০১৮সঞ্জুপরিচালক, সম্পাদক, লেখক, প্রযোজক

পুরস্কার ও মনোনয়ন

মুন্না ভাই এমবিবিএস সিনেমার জন্য[3]

তথ্যসূত্র

  1. "Aiming to Please"। Hindustan Times। ১৫ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১০
  2. "রাজকুমার হিরানীর জীবন গাথা"বাংলা নিউজ
  3. "Rajkumar Hirani : Awards & Nominations"। Bollywood Hungama। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১১

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.