রফিকুল ইসলাম খাঁন
মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম খাঁন (জন্ম: ১৯৬৬ সাল) বাংলাদেশের একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল[1][2][3] এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য। তিনি ঢাকা মহানগরী শাখার নায়েবে আমীরও ছিলেন।[4][5]
মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম খাঁন | |
---|---|
জন্ম | ১৯৬৬ |
নাগরিকত্ব | ![]() ![]() |
প্রতিষ্ঠান | বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী |
আন্দোলন | ইসলামী আন্দোলন |
জন্ম ও শৈশব
আলহাজ্ব মাওলানা মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম খাঁন বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলাধীন উল্লাপাড়া উপজেলার অন্তর্গত ডিগ্রীরচর এলাকার নওকৈড় গ্রামে ১৯৬৬ সালের ১লা সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি উল্লাপাড়াতেই শৈশব জীবন অতিবাহিত করেন। তিনি স্থানীয় মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেছেন।[6]
শিক্ষাজীবন
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খাঁন বাংলাদেশ মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে ডিগ্রীরচর ফাজিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল, পাবনা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে আলিম ও ফাজিল এবং ১৯৮৪ সালে সিরাজগঞ্জ আলিয়া মাদ্রাসা থেকে কামিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী শিক্ষা বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রী এবং ১৯৯২ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন।[6]
কর্মজীবন
শিক্ষাজীবন সম্পন্ন করে তিনি পেশা হিসেবে ব্যবসাকে বেছে নেন। বর্তমানে তিনি কনফিডেন্স ডিজাইন কন্সট্রাকশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করছেন।[6]
রাজনৈতিক দর্শন
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খাঁন ইসলামী জীবনাদর্শন দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন।
সাংগাঠনিক তৎপরতা
ছাত্র সংগঠন
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খাঁন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা অবস্থায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের (ছাত্র সংগঠন) সাথে যুক্ত হন। তিনি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ১৯৯৪-১৯৯৫ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন।[7]
রাজনৈতিক সংগঠন
শিক্ষাজীবন সমাপ্ত করে মাওলানা রফিকুল ইসলাম খাঁন ১লা জানুয়ারী ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির থেকে সদস্যপদ পরিত্যাগ করেন। ১৯৯৬ সালেই তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রুকন (সদস্য) মনোনীত হন।[6]
জাতীয় সংসদ নির্বাচন
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খাঁন নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। তিনি উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ-৪) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে দাড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বীর নিকট পরাজিত হন। তিনি মোট ৯৭,৪৬৩টি ভোট পেয়ে ২য় স্থান অধিকার করেন। বিজয়ী প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ১,৬২,৫০৩টি ভোট পান।[8] তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ২০১৮ এবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের হয় আবারও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।[9]
সমাজ সেবা
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খাঁন ইকরা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ (উল্লাপাড়া, সিরাজগঞ্জ), চেংটিয়া টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ (উল্লাপাড়া, সিরাজগঞ্জ), নন্দকুশা টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজ (উল্লাপাড়া, সিরাজগঞ্জ), আল-ইসলাহ পাঠাগার (উল্লাপাড়া, সিরাজগঞ্জ) এবং ইসলামী সমাজ কল্যাণ সংসদ (মনোহর, উল্লাপাড়া, সিরাজগঞ্জ) প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ঢাকা ক্যাডেট মাদ্রাসা (ঢাকা), ইকরা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ এবং পিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য।[6]
তথ্যসূত্র
- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। "পরিচিতি"। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ১১ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১৩।
- নিজস্ব সংবাদদাতা (০৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৩)। "সরকারের সঙ্গে সমঝোতার খবর ভিত্তিহীন: জামায়াত"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ১৩ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৩। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - নিজস্ব প্রতিবেদক (০৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৩)। "রফিকুল ইসলাম খান জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি"। নয়া দিগন্ত। ২৮ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৩। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - জাহিদ, সেলিম (১৫ নভেম্বর ২০১২)। "আরও কঠোর কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াত"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০১২।
- প্রোফাইল তথ্য
- জীবনবৃত্তান্ত
- "ছাত্রশিবিরের প্রাক্তন সভাপতিবৃন্দ"। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
- "নবম সংসদ নির্বাচন'২০০৮-এর ফলাফল"। ১৩ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
- "বিএনপি জোটের মনোনয়ন পেলেন জামায়াতের যে নেতারা"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-১৫।