যোজক কলা

যোজক কলা এক ধরনের আঁশবহুল কলা, যেটি মানবদেহের অন্যান্য অঙ্গ অথবা কলাকে সমর্থন করে, যুক্ত করে অথবা বিচ্ছিন্ন করে। এটি চার ধরনের কোষকলার একটি[1] (অপর তিনটি হচ্ছে এপিথিলিয়াল, পেশি ও স্নায়ুকলা)।

এপিডিমিসের অংশ। যোজক কলা (নীল) এপিথিলিমকে সমর্থন করতে দেখা হয় (রক্তবর্ণ)

প্রাণীদের যোজক কলার মূল উপাদান কোলাজেন ও স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে এটির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, যা প্রায় ২৫%।

যোজক কলা ফাইব্রোব্লাস্ট, এডিপোসাইট, ম্যাক্রোফেজ, মাস্ট কোষ এবং লিউকোসাইড নিয়ে গঠিত। ১৮৩০ সালে জোসেফ পিটার মুলার "যোজক কলা" শব্দটি (জার্মান ভাষায়, বিন্দেগিউবে) প্রস্তাব করেন। ১৮ শতকেই যোজক কলা স্বতন্ত্র্য শ্রেণি হিসেবে বিবেচিত হত।[2][3]

তরল যোজক কলা

যে কলা ধাত্র তরল ও যার কোষগুলো ধাত্রে ভাসমান অবস্থায় থাকে, তাকে তরল যোজক কলা বলে। এটি শোষিত খাদ্যসহ বিভিন্ন দ্রবীভূত পদার্থ দেহের বিভিন্ন অংশে পরিবহন করে এবং রেচক পদার্থ ধৌত করে বলে একে পরিবহন বা সংবহন কলাও বলা হয়। তরল যোজক কলা প্রধানত দুই প্রকার। যথা:

তথ্যসূত্র

  1. "Connective Tissue Study Guide"। ২ জানুয়ারি ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০১৪
  2. Mathews, M. B. (1975). Connective Tissue, Macromolecular Structure Evolution. Springer-Verlag, Berlin and New York. link.
  3. Aterman, K. (1981). Connective tissue: An eclectic historical review with particular reference to the liver. Histochem. J. 13: 341-396. link.

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.