যকৃতের ক্যান্সার
লিভার ক্যান্সার(ইংরেজি: Liver cancer) এর অপর নাম হেপাটিক ক্যান্সার (Hepatic cancer) ও প্রাইমারি হেপাটিক ক্যান্সার (primary hepatic cancer), একে বাংলায় যকৃতের ক্যান্সার বলে। যকৃৎ ক্যান্সারের উৎপত্তি যকৃতেই হয়।[1] অন্য অঙ্গ থেকে ক্যান্সার কোষ লিভারে ছড়ালে তাকে লিভার মেটাস্টাসিস বলে।[2] লিভার ক্যান্সারে বক্ষপিঞ্জরের নিচে ডানপাশে দলা বা ব্যথা অনুভূত হয়।অন্যান্য লক্ষণের মধ্যে রয়েছে জন্ডিস, ওজন কমে যাওয়া, দুর্বলতা, পেটে পানি জমা (অ্যাসাইটিস), অল্প আঘাতেই ত্বকে ব্রুইস বা রক্ত জমে কালচে দাগ পড়া ইত্যাদি।[1]
লিভার ক্যান্সার | |
---|---|
![]() কোলানজিওকার্সিনোমায় আক্রান্ত রোগীর লিভারের সিটি স্কানের চিত্র। | |
শ্রেণীবিভাগ এবং বহিঃস্থ সম্পদ | |
সমার্থকশব্দ | hepatic cancer, primary hepatic malignancy, primary liver cancer |
বিশিষ্টতা | অনকোলজি |
আইসিডি-১০ | C২২ |
আইসিডি-৯-সিএম | ১৫৫ |
আইসিডি-ও | M8170/3 |
ওএমআইএম | ১১৪৫৫০ |
ডিজিসেসডিবি | ৭৫৪৭ |
মেডলাইনপ্লাস | ০০০২৮০ |
ইমেডিসিন | article/197319 |
মেএসএইচ | D০০৮১১৩ (ইংরেজি) |
লিভার ক্যান্সারের প্রধান কারণ হলো হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি অথবা অ্যালকোহলের কারণে লিভার সিরোসিস হওয়া।[3] অন্যান্য কারণের মধ্যে রয়েছে আফলাটক্সিন, নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ, ও লিভার ফ্লুকস। প্রধান দুটি টাইপ হলো হেপাটোসেলুলার কার্সিনোমা যা ৮০% ক্ষেত্রে হয় এবং কোলানজিওকার্সিনোমা। অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ টাইপ হলো মিউসিনাস সিস্টিক নিওপ্লাজম ও ইন্ট্রাডাক্টাল প্যাপিলারি নিওপ্লাজম[2] রক্তপরীক্ষা ও মেডিকেল ইমেজিং এর মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা যায় তবে টিস্যু বায়োপসি করে নিশ্চিত হওয়া যায়।[1]
প্রতিরোধমূলক উপায় হিসেবে হেপাটাইটিস বি এর টিকা নিতে হয় এবং হেপাটাইটিস বি ও সি তে আক্রান্ত হলে চিকিৎসা নিতে হয়।ক্রনিক লিভার ডিজিজের রোগীর নিয়মিত ক্যান্সার স্ক্রিনিং করা উচিত।[2] চিকিৎসা পদ্ধতিগুলোর মধ্যে রয়েছে সার্জারি, টার্গেটেড থেরাপি, রেডিওথেরাপি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অ্যাবলেশন থেরাপি, এমবোলাইজেশন থেরাপি বা লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন থেরাপি ব্যবহার করা হয়।
প্রাইমারি লিভার ক্যান্সার রোগীর সংখ্যার দিক থেকে ষষ্ঠ স্থানে (৬%) এবং ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থানে (৯%)।[2][4] ২০১২ সালে ৭৮২০০০ জন আক্রান্ত হয় এবং ৭৪৬০০০ মারা যান।[4] ২০১৩ সালে লিভার ক্যান্সারে যতজন মারা যায় তার মধ্যে প্রায় ৩০০০০০ জন হেপাটাইটিস বি, ৩,৪৩,০০০ জন হেপাটাইটিস সি ও ৯২,০০০ জন অ্যালকোহল জনিত কারণে মারা গেছে। [3]এশিয়া, সাব-সাহারান আফ্রিকাসহ যেসব এলাকায় হেপাটাইটিস বি ও সি এর প্রাদুর্ভাব বেশি সেখানে লিভার ক্যান্সারের রোগী বেশি। মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের এই রোগ বেশি।[2] বেশিরভাগ রোগীর বয়স ৫৫ থেকে ৬৫ এর মধ্যে।যুক্তরাষ্ট্রে রোগ শনাক্ত হওয়ার পর ৫ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকার হার ১৮%।[5] hepatic (হেপাটিক) শব্দটি গ্রিক hêpar শব্দ থেকে এসেছে যার অর্থ যকৃৎ[6]
তথ্যসূত্র
- "Adult Primary Liver Cancer Treatment (PDQ®)–Patient Version"। NCI। ৬ জুলাই ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- World Cancer Report 2014। World Health Organization। ২০১৪। পৃষ্ঠা Chapter 5.6। আইএসবিএন 9283204298।
- GBD 2013 Mortality and Causes of Death, Collaborators (১৭ ডিসেম্বর ২০১৪)। "Global, regional, and national age-sex specific all-cause and cause-specific mortality for 240 causes of death, 1990-2013: a systematic analysis for the Global Burden of Disease Study 2013."। Lancet। 385: 117–71। doi:10.1016/S0140-6736(14)61682-2। PMID 25530442। পিএমসি 4340604
। - World Cancer Report 2014। World Health Organization। ২০১৪। পৃষ্ঠা Chapter 1.1। আইএসবিএন 9283204298।
- "SEER Stat Fact Sheets: Liver and Intrahepatic Bile Duct Cancer"। NCI। সংগ্রহের তারিখ 2016। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - "Hepato- Etymology"। dictionary.com। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০১৫।
বহিঃসংযোগ
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে যকৃতের ক্যান্সার সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
- Liver Cancer at Johns Hopkins University
- Liver cancer at Mayo Clinic
- Liver cancer information from Cancer Research UK
টেমপ্লেট:Digestive system neoplasia