মোল্লা সদরা

সদর আদ-দীন মুহাম্মদ সিরাজি (যিনি মোল্লা সদরা নামে অধিক পরিচিত) ছিলেন ইরানের একজন দার্শনিক ও ধর্মতত্ত্ববিদ। তিনি সপ্তদশ শতকে ইরানের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের নেতৃত্ব দেন। অলিভার লীম্যানের মতে, মোল্লা সদরা মুসলিম বিশ্বে গত চারশ বছরের মধ্যে এককভাবে সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী দার্শনিক।[1][2]

মোল্লা সদরা
জন্ম১৫৭১/৭২
সিরাজ
মৃত্যু১৬৪০
বসরা
অঞ্চলইসলামী দর্শন
ধর্মইসলাম

জীবনী

মোল্লা সদরা ১৫৭১ মতান্তরে ১৫৭২ সালে তৎকালীন সিরাজে (বর্তমান ইরান) এক বিখ্যাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা খাজা ইব্রাহিম কাভামি ছিলেন একজন পণ্ডিত ব্যক্তি এবং গুণী রাজনীতিবিদ। তৎকালীন রীতি অনুযায়ী প্রচলিত বিদ্যাশিক্ষার পাশাপাশি সদরকে অশ্বচালনা, শিকার ও সমর কৌশল শিক্ষা দেয়া হয়। বাল্য বয়সেই সদরা গণিত, জ্যোতির্বিদ্যা, চিকিৎসা বিদ্যা ও আইনবিজ্ঞানে পারদর্শী হয়ে ওঠেন। তিনি মীর দামাদ ও বাহাউদ্দিন আমিলীর মতো বিখ্যাত মুসলিম দার্শনিকদের শিক্ষক হিসেবে পেয়েছিলেন। ১৬৪০ সালে তিনি বসরায় মারা যান। বর্তমান ইরাকের নাজাফে তার সমাধি রয়েছে।

গ্রন্থপঞ্জি

মোল্লা সদরা ইসলামী দর্শনের উপর অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ রচনা করেছেন। হিকমাত আল মুতালিয়াহ ফিল আসফার আল আরবা তার প্রধান কর্ম। তার অন্য গ্রন্থগুলো হলো-

  • শরহে উসুল আল কাফি
  • আল তাফসির
  • দিওয়ান শি'র
  • সি আঁচল
  • শরহে আল হেদায়া
  • আল হিকমাত আল আরশিয়া
  • আল মাবদা ওয়াল মা'দ
  • আল মাজাহির
  • হুদুস আল ইসলাম
  • ইকসির আল আরিফিন
  • আল হাশর
  • আল মাশাইর
  • আল ওয়ারিদাত আল ক্বালবিয়াহ

তথ্যসূত্র

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.