মেরিনা সমুদ্র সৈকত

১৩ কিমি দীর্ঘ মেরিনা সমুদ্র-সৈকত ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম মেট্রোপলিটান শহর চেন্নাইয়ের তটরেখা সংগঠিত করে। মেরিনা সমুদ্র-সৈকত মূলত বালুময় যা ভারতের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত মুম্বাইয়ের পাথুরে জুহু সমুদ্র-সৈকত থেকে ভিন্নতর।

২০০৪ সালের ২৬শে ডিসেম্বর মেরিনা সমুদ্র সৈকতে উদ্ধারকার্য।

একাধিক পাথরের মূর্তি দিয়ে এই সমুদ্র-সৈকত পার্শ্ববর্তী ক্ষেত্র অলঙ্কৃত যা এই সমুদ্র-সৈকতের একটি বিখ্যাত বৈশিষ্ট্য। এখানে রয়েছে মহাত্মা গান্ধী, তিরুভল্লুবরের মত ভারতীয় এবং স্থানীয় কিংবদন্তির মুর্তি। তামিল নাড়ুর প্রাক্তন মুখ্য মন্ত্রী এম জি রামচন্দ্রন এবং আন্নার স্মৃতিচিহ্নও এই সমুদ্র-সৈকতে বর্তমান।

মেরিনা সমুদ্র সৈকত এর অকৃত্রিম সৌন্দর্য, প্রফুল্ল পরিবেশ এবং সমৃদ্ধ ইকোসিস্টেমের জন্য বিখ্যাত ছিল। কিন্তু বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে এই সমুদ্র সৈকত এবং জল দূষিত হতে শুরু করে। প্লাস্টিকের থলি, মানব বর্জ্য এবং অন্যান্য দূষক সমুদ্র সৈকতের অনেক অংশকে অব্যবহারযোগ্যে পরিণত করে। সাম্প্রতিককালে অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মেরিনা পরিষ্কার এবং ইকোসিস্টেম সংরক্ষণের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। বিশেষ করে সমুদ্র সৈকতের নীলাঙ্গাড়াই বিভাগে যেখানে ওলিভ রিডলি কচ্ছপ বাসা তৈরি করে। এসকল সমস্যা সত্ত্বেও মেরিনা পরিদর্শন চেন্নাইয়ে আসা যেকোনও পর্যটকের জন্য একটি অবশ্য দ্রষ্টব্য স্থান।

২০০৪ সালের ২৬শে ডিসেম্বর, একটি ভূকম্পনের দরুন উদ্ভূত সুনামি মেরিনা সমুদ্র সৈকতে মৎস্যজীবি সম্প্রদায় সহ শতাধিক সাধারণ লোকের প্রাণহানি ঘটায়।

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.