মুঘল পোশাক
মুঘল পোশাক বলতে ষোড়শ, সপ্তদশ এবং অষ্টাদশ শতাব্দীতে ভারতীয় উপমহাদেশে বিস্তৃত সাম্রাজ্যে মুঘলদের তৈরিকৃত পোশাককে বোঝানো হয়। এগুলো ছিল মসলিন, সিল্ক, মখমল এবং জরি দিয়ে তৈরি রাজকীয় নকশার পোশাক।[1] রং এবং রজক, লোহার সালফেট, তামার সালফেট এবং এন্টিমনির সালফেটের ছাঁচ ডট, চেক এবং ঢেউ খেলানো নকশা তৈরি করতে ব্যাবহার করা হতো।

পুরুষেরা লম্বা হাতা বিশিষ্ট কোট ছোগা সহ বিভিন্ন লম্বা এবং খাটো আলখাল্লা পড়তেন। তারা মাথায় "পাগড়ি" এবং "পাটকার" সাথে কোমরে অলংকৃত উত্তরীয় পরিধান করতেন। তারা "পায়জামার" মতো প্যান্ট (সম্পূর্ণ পা ঢাকা পোশাক জেক ইংরেজিতে পাজামা বলে) পিরধান করতেন। অন্যান্য পোশাকের মধ্যে রয়েছে: "পেশবা" শৈলীর কোট এবং "য়ালেক" কোট। মহিলারা "সেলোয়ার", "চুড়িদার", "দিলজা", "ঘাগড়া" এবং "ফার্সি" পরিধান করতেন। তারা কানের দুল, নাকের ফুল, গলার হার, চুরি এবং নুপুর সহ প্রচুর পরিমাণে অলংকার ব্যবহার করতেন।[2]
পাগড়ির মধ্যে ছিল: চার্ স্তর বিশিষ্ট "ছাও-গসিয়া", গম্বুজ আকৃতির "কুব্বেদার", "কাশিতি", "দুপাল্লি", সুতার কাজ করা "নুক্কদার" এবং সুতার কাজ এবং মখমলের "মানদিল"[2]। জুতার মধ্যে ছিল: সামনের অংশে উপরের দিকে বাঁকানো "ঝুতি", "কাফাশ", "চারভান", "সালিম শাহী" এবং "খুর্দ নাও"। সেই সময়ে লখনৌ জুতা এবং সোনা রুপার সুতার কারুকার্যের জন্য বিখ্যাত ছিল।[2] মুঘল সম্রাটরা সাধারণত তাদের পাগড়িতে সুসজ্জিত পাগড়ির অলংকার ব্যবহার করতেন। এগুলো তৈরী হতো স্বর্ণ এবং রুবি, হীরা, পান্না এবং নীলকান্তমণির মতো বহুমূল্য রত্ন দিয়ে।
মহিলাদের ফ্যাশন
দৈনন্দিন সৌন্দর্য চর্চায়
রাজপরিবারের মহিলারা স্নানঘরে সোলাহ সিঙ্গার নামের ১৬ টি আচার বিশিষ্ট একটি বিশদ সৌন্দর্যচর্চার অনুষ্ঠান পালন করতেন. দাসদাসীদের সহায়তায় সম্ভ্রান্ত মহিলারা বিশেষ সুগন্ধি এবং চন্দন বাটা ব্যাবহার করে স্নান করতেন. তারা কাজল দিয়ে চোখ সাজাতেন করতেন এবং গায়ে বিভিন্ন ধরনের গয়না পরিধান করতেন. তাদের চুল সাধারণত বেণী বা খোঁপা করা থাকতো এবং সুগন্ধি ফুল দিয়ে তা সজ্জিত করা হতো. এসব তথ্য হিন্দু বধূদের কাছ থেকে পাওয়া গেছে এবং এসব হারেমের জীবনে যুক্ত হয়েছে. চোখের ভ্রুগুলো ধনুকের মতো বাঁকা করে আঁকা হতো, চোখে কাজল দেয়া হতো এবং মিশি দিয়ে দাঁত উজ্জ্বল করা হতো.
তথ্যসূত্র
- What did Mughals wear? DK find out