মিনা আল-শুওয়াইখ
শুওয়াইখ বন্দর (আরবি: ميناء الشويخ, লিপ্যন্তর: মিনা’ শুইখ) (স্থানাঙ্ক: ২৯°২১′৯″ উত্তর ৪৭°৫৫′৩১″ পূর্ব) কুয়েতের আল আসিমাহ প্রশাসনিক অঞ্চল (রাজধানী প্রশাসনিক অঞ্চল) এর অন্তর্গত একটি শিল্প নগরী।
শুওয়াইখ বন্দর ميناء الشويخ মিনা' শুওয়াইখ | |
---|---|
![]() ![]() শুওয়াইখ বন্দর | |
স্থানাঙ্ক: ২৯°২১′৯″ উত্তর ৪৭°৫৫′৩১″ পূর্ব | |
দেশ | কুয়েত |
প্রশাসনিক অঞ্চল | আল আসিমাহ |
আয়তন | |
• মহানগর | ৩৬ কিমি২ (১৪ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ১ মিটার (৩ ফুট) |
জনসংখ্যা | |
• শহর | ৫,০০০ |
সময় অঞ্চল | EAT (ইউটিসি+3) |
পোস্ট কোড | ৩১৪৭০ (সুলাইবেখ্ত) |
কুয়েতের কয়েকটি বন্দর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও বেশ কয়েকটি অফিস এই এলাকায় অবস্থিত। প্রধান মাল বাহিত জাহাজের বন্দরগুলি শুয়াইখ বন্দরে অবস্থিত। ১৯৮৫ সালে শুওয়াইখ বন্দরে প্রায় তিন হাজার লোক বাস করত। শুয়াইখ বন্দরের আশেপাশের এলাকা আংশিকভাবে শিল্পাঞ্চল।
শুওয়াইখ শিল্পাঞ্চল
আল-শুওয়াইখ শিল্পাঞ্চলের প্রাণকেন্দ্রের (স্থানাঙ্ক: ২৯°২১′ উত্তর ৪৭°৫৭′ পূর্ব / ২৯.৩৫; ৪৭.৯৫) আল-রাই এ (চতুর্থ রিং রোড) শুক্রবারের বাজার (সৌক আল-জুমা) অবস্থিত। এটি প্রতি বৃহস্পতিবার বিকেলে শুরু হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে, এখানে কাপড়, আনুষঙ্গিক উপকরণ, আসবাব, কার্পেট, পশু-পাখি, উদ্ভিদ, প্রাচীন জিনিসপত্র, স্যুভেনির এবং নতুন ও ব্যবহৃত পণ্য বিক্রয় হয়।
অঞ্চলটি কুয়েতের শিল্পাঞ্চল হিসাবে পরিচিত কারণ বেশিরভাগ উৎপাদনকারীদের এ অঞ্চলে পাওয়া যায়। বেশিরভাগ গাড়ি মেরামতকেন্দ্রগুলো কুয়েতের এই অংশে অবস্থিত। এছাড়াও অনেক গাড়ির এজেন্সি এই এলাকায় অবস্থিত। এই অঞ্চলের বাড়িগুলি সাধারণত পুরানো আমলের। শুওয়াইখ বন্দরের বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং পানি নির্লবণীকরণ কেন্দ্র কুয়েত শহরে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ করে।
কুয়েত মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চলটি শুওয়াইখ বন্দরকে কুয়েত সিটির সাথে সংযোগকারি জামাল আবদুল নাসের সড়কে অবস্থিত।
শুওয়াইখ অঞ্চলে বেশ কিছু হাসপাতাল আছে - আল-সাবাহ হাসপাতাল, বক্ষব্যাধি হাসপাতাল ...
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলি হল কুয়েত গাল্ফ ব্যাংক, সিটি সেন্টার শপিংমল, কেজিএল ট্রান্সপোর্ট ইত্যাদি। শুওয়াইখ শিল্পাঞ্চলে বেশ কয়েকটি বড় বড় গাড়ি ব্যবসায়ীর শোরুম আছে।
উপসাগরীয় যুদ্বের আগের ক্ষতিগ্রস্থ যুদ্ধজাহাজ, মাছ ধরার ট্রলার এবং এক বা দুই মাস্তুল বিশিষ্ট ছোট জাহাজ দাও শুয়াইখ বন্দরের নিকটবর্তী উপকূলে দেখা যায়।
শুওয়াইখ বন্দর
Location | আস-সুওয়াইখ কুয়েত |
---|---|
Coordinates | ২৯°২১′৩০″ উত্তর ৪৭°৫৫′৫৪″ পূর্ব |
Foundation | কংক্রিটের ভিত |
Construction | বন্দর নিয়ন্ত্রিত শীর্ষে বাতিসহ শক্তিশালী কংক্রিটের ভবন |
Tower shape | ৩-তলা বর্গাকার প্রিজম ভবন |
Markings / pattern | সাদা ভবন |
Characteristic | Fl (2) W 15s. |
Admiralty number | D7599.1 |
শুওয়াইখ বন্দরটি (আশ-আশুওয়ায়িখ নামেও পরিচিত) কুয়েতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর। এটি কুয়েত সিটির পশ্চিম প্রান্তে, পারস্য উপসাগর থেকে বিচ্ছিন্ন কুয়েত উপসাগরের দক্ষিণ উপকূলে অবস্থিত।
কুয়েত বন্দর কর্তৃপক্ষ শুওয়াইখ বন্দর ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা করে। শুওয়াইখ বন্দরটি গভীর সমুদ্রে নোঙ্গরস্থানের মাধ্যমে সমুদ্রগামী জাহাজের সেবা প্রদান করে এবং এতে পর্যাপ্ত পরিমানে আধুনিক কন্টেইনার সুবিধা আছে। এটি দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক বন্দর এবং ৩২০ হেক্টর জমি আর ১২০ হেক্টর পরিমান পানিপৃষ্ঠ এলাকা নিয়ে এটি অবস্থিত। কুয়েত উপসাগরের ভিতরে নৌচালন প্রণালীটি ৮.৫ মিটার (নূন্যতম জোয়ারের স্তর) গভীর এবং এটি প্রায় আট কিলোমিটার লম্বা। যে কোন জোয়ারের সময় শুওয়াইখ বন্দরে ৭.৫ মিটার গঠনের জাহাজ ভিড়তে পারে। উচ্চ জোয়ারের সময় ৯.৫ মিটার গঠনের জাহাজ শুওয়াইখ বন্দরে প্রবেশ করতে এবং ছেড়ে যেতে পারে। শুওয়াইখ বন্দরে মোট ৪০৫৫ মিটার দৈর্ঘ্যর ২১ টি নোঙ্গর আছে। চৌদ্দটি নোঙ্গরস্থলের গভীরতা ১০ মিটার, চারটি ৮.৫ মিটার গভীর এবং তিনটি ৬.৭ মিটার গভীর। শুওয়াইখ বন্দরের মাধ্যমে চলাচলকারি মালবাহী জাহাজগুলির মধ্যে বাণিজ্য তরী এবং অন্যান্য জাহাজের মধ্যে আছে লাইনার, ট্রাম্প, মাছ ধরার ট্রলার এবং ছোট যাত্রীবাহী জাহাজের পাশাপাশি কার্গোবাহি কন্টেইনার এবং রোল-অন / রোল-অফ জাহাজ এবং বারেজ অন্তর্ভুক্ত।[1]
বন্দরের অবস্থান | শুওয়াইখ |
বন্দরের নাম | শুওয়াইখ বন্দর |
বন্দর কর্তৃপক্ষ | কুয়েত বন্দর কর্তৃপক্ষ |
ঠিকানা | ডাক বক্স নং ৩৮৭৪ সাফাত ১৩০৩৯ কুয়েত |
ফোন | +৯৬৫-৪৮১২৬২২ |
ফ্যাক্স | +৯৬৫-৪৮১৯৭১৪ |
ওয়েব সাইট | www.kpa.gov.kw |
অক্ষাংশ | ২৯°২১′৯″ উত্তর |
দ্রাঘিমাংশ | ৪৭°৫৫′৩১″ পূর্ব |
UN/LOCODE | KWSWK |
বন্দরের ধরন, আকার | সমুদ্রবন্দর, মাঝারি |
জরুরী শীর্ষ বিদ্যুৎ শুওয়াইখ (ইপিপিএস)
২০০৮ সালে কুয়েতের জ্বালানি মন্ত্রণালয় (এমওই) একটি ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য ২৭০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর করে, এটি মধ্য প্রাচ্যের বৃহত্তম এয়ারোডেরিভেটিভ ইঞ্জিন বিদ্যুৎকেন্দ্র। প্রোকৌশল, সংগ্রহ এবং নির্মান (ইপিসি) কাজের জন্য হিউস্টনের একটি পরিপূর্ণ বিদ্যুৎ এবং টারবাইন নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এইচপিআই, এলএলসি; প্রকৌশল সংস্থা এস এন্ড ডাব্লু এনার্জি সলিউশন ইনক. (এসডব্লিউএস); এবং কুয়েতের বৃহত্ সিভিল এবং বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি সংক্রান্ত ঠিকাদার আলঘানিম ইন্টারন্যাশনাল (এআই) এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়। চরম বিদ্যুৎ ব্যবহারের মাসগুলিতে কুয়েত সিটিতে বিদ্যুত সরবরাহের নিশ্চয়তার জন্য এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মিত হয়।[2]
কুয়েত বিশ্ববিদ্যালয়
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কুয়েত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস বন্দরের নিকটে অবস্থিত, এটি মুবারক-আল-কবীর, খালদিয়া এবং জাব্রিয়ার সম্প্রসারিত অংশের সাথে প্রধান ক্যাম্পাস। শুওয়াইখের ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের আবাসিক কোয়ার্টারও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সুইমিং পুল, গেমিং জোন, টেনিস কোর্ট, বাস্কেটবল কোর্ট সহ আরও নানা ধরনের বিনোদনের সুবিধা আছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় অনুষদের সদস্যদের ক্লাবে প্রতি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি সিনেমা পদর্শিত হয়।[3]
পরিবহন
দুটি বড় কর্পোরেশন, সিটি বাস এবং কুয়েত পাবলিক ট্রান্সপোর্ট কোম্পানির (কেপিটিসি) মাধ্যমে কুয়েতের বেশিরভাগ অঞ্চলের মধ্যে সারাদিন গণপরিবহন চলাচল করে, যদিও গণপরিবহন খুব কম লোকই ব্যবহার করে।
২০০৮ সালে উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোকে সংযুক্ত করে একটি রেলপথের প্রস্তাব দেওয়া হয়, যদিও এর কাজ এখনও শুরু হয়নি (রেলওয়ে গেজেট ইন্টান্যাশনাল থেকে উদ্ধৃত)। পুরো শহর এবং শহরতলিকে যুক্তকরে চারটি লাইন এবং স্টেশন সহ একটি মেট্রো নেটওয়ার্ক নকশা করা হয়।
কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দেশের বিভিন্ন অভ্যান্তরীণ ও আন্তর্জাতিক গন্তব্যে সেবা দেওয়ার প্রাথমিক বিমানবন্দর। শুওয়াইখ বন্দর গাজালী এক্সপ্রেসওয়ের (রোড -৬০) মাধ্যমে কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাথে সরাসরি সংযুক্ত।
আরও দেখুন
- কুয়েতে বাতিঘরের তালিকা
- অপারেশন টেলিকের সময় যুক্তরাজ্যের সামরিক স্থাপনাগুলোর তালিকা
তথ্যসূত্র
- World Port Source – Port of Shuwaikh
- "Racing against the clock", Power Engineering International, Kuwait, ৬ জানুয়ারি ২০০৭, সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০১৩
- "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। নভেম্বর ২৯, ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯।