মাহমুদুর রহমান মান্না

মাহমুদুর রহমান মান্না একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব।[1] তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।[2] তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেন্ট্রাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (ডাকসু)র সাবেক সহ-সভাপতি, এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক।[3]

মাহমুদুর রহমান মান্না
জন্ম১ নভেম্বর ১৯৫১
জাতীয়তাবাংলাদেশী
শিক্ষাঢাকা কলেজ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
পেশালেখক, রাজনীতিবিদ
কার্যকাল১৯৬৮ - বর্তমান
পরিচিতির কারণনাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক
দাম্পত্য সঙ্গীমেহের নিগার
সন্তান
পিতা-মাতা
  • আফসার উদ্দিন আহমদ (পিতা)
  • মেহের আক্তার (মাতা)

প্রাথমিক ও ব্যক্তিগত জীবন

মান্না বগুড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আফসার উদ্দিন আহমদ এবং মাতা মেহের আক্তার। তিনি মেহের নিগার এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ।[4]

শিক্ষা জীবন

১৯৬৮ সালে ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক। এর পরে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে ভর্তি হন। ১৯৭৬ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাথেমেটিকস ও লাইব্রেরী সাইন্স বিভাগে ভর্তি হন। পরে রাজনীতিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় মাস্টার্স করা হয়নি।

রাজনীতি

১৯৬৮ সালে তিনি ছাত্রলীগ এর আহ্বায়ক হন। ১৯৭২ সালে চাকসুর জিএস নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালে জাসদ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক এবং ১৯৭৬ সালে জাসদ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি। ১৯৭৯ সালে ঢাকায় এসে ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হন। ১৯৮০ সালে তিনি বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ গঠন করেন। ১৯৮৩ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে তিনি সক্রিয় হয়ে পড়েন। এরপর ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ যোগ দিয়ে ২০০৭ সালে আলোচিত এক এগারো সরকারের সময় বাংলাদেশে আওয়ামীলিগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়ীত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালে বাংলাদেশে আওয়ামীলিগ এর পদ থেকে বাদ পড়ে যান। বর্তমানে তিনি নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক হিসেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এর প্রথম সারির নেতা হিসেবে সক্রিয় আছেন।

কর্ম জীবন

তিনি বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের নাগরিক ঐক্যএর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং আহ্বায়ক। এছাড়াও তিনি রাজনৈতিক আলোচক হিসেবে মিডিয়ায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।

সমালোচনা

দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল তাকে "সরকারের ভীষণ সমালোচক" হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন। একটি কথোপকথন রেকর্ড ফাঁস হবার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল যেখানে তাকে বলা হয়েছিল যে, “সে কোন সেনা অফিসারের সাথে কথা বলার ব্যাপারে সম্মত হবে কিনা?” অফিসারের নাম প্রকাশ হয়নি।[5] ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে তাকে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান গ্রেফতার করেছিল,[6] বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল নেতা সাদেক হোসেন খোকা এর সাথে একটি কথোপকথনের সময় তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে শক্তিশালী আন্দোলনের আহবান জানান। পরবর্তীতে অডিওটি ফাঁস হবার পর তিনি কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ তাকে গ্রেফতারের আহ্বান জানিয়েছিল‌।[7] পরবর্তীতে নাগরিক ঐক্য তার মুক্তির আহবান জানিয়েছিল।[8] সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াও তার মুক্তির দাবি জানিয়েছিলেন।[9] নভেম্বর ২০১৬ সালে তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।[10]

আরো দেখুন

বহিঃসংযোগ

তথ্যসূত্র

  1. "Formula, only a phone call away"The Daily Star
  2. "BNP blames Awami League of creating rift between its allies"bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৬
  3. "Politicians responsible for rot in student politics: speakers"New Age। Dhaka। ২৯ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
  4. Al Masum Molla, Mohammad; Jamil Khan, Mohammad। "Manna likely to run for mayor"Dhaka Tribune। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৬
  5. Al-Mahmood, Syed Zain। "Bangladesh Court Orders Arrest of Opposition Leader"Wall Street Journal। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৬
  6. "On the boil"The Economist। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৬
  7. "NHRC demands legal action against Manna, Khoka"Prothom Alo। ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৬
  8. "Nagorik Oikya demands Manna's treatment, release"The Daily Star। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৬
  9. "Khaleda accuses govt of muzzling freedom of expression"bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৬
  10. "SC upholds Manna's bail, no bar to release"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-১১-২৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-২১
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.