মালভূমি
সাধারণত যে বিস্তীর্ণ ভূ-ভাগ সমুদ্র সমতল থেকে বেশ উঁচু প্রায় ৩০০ মিটার,অথচ যার পৃষ্ঠদেশ বা উপরিভাগ খুব অসমতল নয় এবং চারপাশ খাড়া ঢালযুক্ত থাকে তাকে মালভূমি বলা হয়।[1][2]
.jpg)
মালভূমিঃ
সমুদ্রতল থেকে প্রায় ৩০০ – ৬০০ মিটার উচুতে অবস্থিত, উপরিভাগ প্রায় সমতল বা তরঙ্গায়িত এবং চারিদিক খাড়া ঢালযুক্ত বিস্তৃত ভুমিকে মালভুমি বলে। যেহেতু মালভুমি দেখতে অনেকটা টেবিলের মতো অর্থাৎ এর ওপরটা প্রায় সমতল এবং চারিদিক খাড়া ঢালযুক্ত, সেইজন্য মালভুমির অপর নাম টেবিলল্যান্ড। যেমনঃ তিব্বতের মালভুমি, ছোটোনাগপুরের মালভুমি প্রভৃতি।
উৎপত্তি অনুসারে মালভুমিকে চার ভাগে ভাগ করা যায়। যেমনঃ a) পর্বত বেষ্টিত মালভুমি, b) ব্যবচ্ছিন্ন মালভুমি, c) লাভাগঠিত মালভুমি, d) অন্যান্য প্রকার মালভুমি।
a) পর্বত বেষ্টিত মালভুমিঃ ভু-আলোড়নের ফলে ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টি হওয়ার সময় দুটি সমান্তরাল পর্বতশ্রেনীর মাঝখানের স্থান পার্শ্বচাপের উচু হয়ে এই প্রকার মালভুমির সৃষ্টি করে। চারিদিক পর্বত দ্বারা বেষ্টিত থাকায় এর নাম পর্বত বেষ্টিত মালভুমি। যেমনঃ তিব্বতের মালভুমি, ইরানের মালভুমি প্রভৃতি।
b) ব্যবচ্ছিন্ন মালভুমিঃ নদী, বায়ু, হিমবাহ প্রভৃতি প্রাকৃতিক শক্তির মাধ্যমে প্রাচীন মালভূমি অঞ্চল ধীরে হীরে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় এবং উচ্চতা হ্রাস পায়। এরপর ওই মালভূমির ওপর দিয়ে নদনদী ও তার শাখা প্রশাখা প্রবাহিত হলে এদের উপত্যকা বরাবর মালভূমিটি ছোটো ছোটো অংশে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এইভাবে কোনো বিস্তৃত মালভূমি অঞ্চল নদী উপত্যকা দ্বারা বিচ্ছিন্ন হয়ে ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমির সৃষ্টি করে। যেমনঃ ছোটোনাগপুরের মালভূমি।
c) লাভাগঠিত মালভুমি: অনেক সময় ভূগর্ভস্থ ম্যাগমা ভূত্বকের কোনো ফাটল বা দুর্বল অংশের মধ্য দিয়ে নির্গত হয়ে ভূপৃষ্ঠে লাভা রুপে স্তরে স্তরে সঞ্চিত হয়। দীর্ঘ দিন ধরে এই সঞ্চিত লাভা ঠান্ডা ও কঠিন হয়ে লাভা মালভূমির সৃষ্টি করে। যেমনঃ ভারতের দাক্ষিনাত্য মালভূমি।
মালভূমির আকার ও আকৃতি
উচ্চতা ছাড়াও মালভূমির অন্য যেসব উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে সেগুলো হল— ক) মালভূমি এক বিস্তীর্ণ উচ্চভূমি, খ) এর উপরিভাগ প্রায় সমতল বা কিছুটা তরঙ্গায়িত, গ) চারদিকে ঢাল বেশ বেশি
- "Definition of plateau"। American English Dictionary। Merriam-Webster। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৭।
- "Definition of plateau"। Cambridge English Dictionary। Cambridge University Press। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৭।