মায়া লিপি

মায়া লিপি (মায়া গ্লিফ বা মায়া হায়ারগ্লিফ নামেও পরিচিত) মেসোআমেরিকায় গড়ে ওঠা মায়া সভ্যতার লিখন পদ্ধতি এবং একমাত্র মেসোআমেরিকান লিখন পদ্ধতি যার বেশিরভাগের পাঠোদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।গুয়াতেমালার সান বারতোলো  থেকে প্রাপ্ত  সবথেকে প্রাচীন লিপির নিদর্শন খ্রিস্টপূর্ব  তৃতীয় শতাব্দীর বলে জানা গেছে। ষোড়শ ও সপ্তদশ শতাব্দীতে স্পেন মায়াদের ভুমি অধিকৃত করার আগে পর্যন্ত এই লিখন পদ্ধতি প্রচলিত ছিল।

মায়া লিখন পদ্ধতিতে প্রতীক চিহ্ন এবং দলমাত্রিক গ্লিফ এর ব্যবহার ছিল।আধুনিক জাপানি লিখন পদ্ধতির সাথে এর কার্য্যগত মিল দেখতে পাওয়া যায়।অষ্টাদশ ও উনবিংশ শতাব্দীর ইউরোপের অভিযাত্রীরা মায়া লিপির সাথে মিশরের লিপির সাদৃশ্যগত মিল দেখে মায়া লিখন পদ্ধতিকে হায়ারগ্লিফিক্স বা হায়ারগ্লিফস নামে অভিহিত করেছিলেন যদিও মিশরের লিপির সাথে এই লিপি কোন ভাবে সম্পর্কিত নয়।

আধুনিক মায়া ভাষাগুলো মূলত লাতিন বর্ণমালা ব্যবহার করে লেখা হয় ,মায়া লিখন পদ্ধতি বাবহার করা হয় না।

ভাষাসমূহ :

বর্তমানে ধারণা করা হয় পুরোহিত সম্প্রদায়-এর ধর্ম-শিক্ষকেরা  হস্তলিখিত পুঁথি এবং অন্যান্য প্রাচীন গ্রন্থগুলি চ’ল্টি ভাষার  (সনাতন মায়া নামেও পরিচিত) সাহিত্য–রূপে রচনা করেছিলেন। হতে পারে মায়া সভ্যতার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ এই ভাষাকেই মায়া সভ্যতার সর্বত্র মিশ্র ভাষা( lingua franca) (for details: https://en.wikipedia.org/wiki/Lingua_franca ) রুপে ব্যবহার করতেন, কিন্তু গ্রন্থগুলি পেত’এন  ও ইউকাতেন-এর অন্যান্য মায়া ভাষায় মূলত ইউকাটেক এ লেখা হয়েছিল। আবার এমন প্রমাণ ও পাওয়া গেছে যে পুঁথিগুলি গুয়াতেমালা উচ্চভুমির মায়া ভাষায় লেখা। যাইহোক ,যদি অন্যান্য ভাষাগুলিতেও লেখা হয়, তবু সেগুলিও চ’ল্টি ধর্ম-শিক্ষকেরাই রচনা করেছিলেন এবং তাতে চ’ল্টির উপাদান ছিল।

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.