মাতৃভাষা

মাতৃভাষা, প্রথম ভাষা পরিভাষাটির সংজ্ঞা পুরোপুরি পরিষ্কার নয়। মানুষ যে ভাষায় কথা বলতে সবচেয়ে বেশি পারদর্শী, যে ভাষাটি সে তার পিতামাতা বা অভিভাবকের কাছ থেকে ছোটবেলায় শিখেছে ও ভাষাটি যে অঞ্চলে বহুল প্রচলিত, সে অঞ্চলের মানুষের মতই ভাষাটিতে কথা বলতে সক্ষম, তাকে সাধারণভাবে মাতৃভাষা বলা হয়। ১৯৯৯ সালের ১৭ই নভেম্বর ইউনেস্কো ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি প্রদান করে।

২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস স্তম্ভ উদ্বোধন।

ব্যুৎপত্তি

ইভান ইলিচের মতে ক্যাথলিক পূজারীগণ লাতিন ভিন্ন অন্য কোন ভাষাকে বুঝাতে "মাতৃভাষা" শব্দের প্রথম ব্যবহার করেন।[1][2] কেনিয়া, ভারত, ও পূর্ব এশীয় কয়েকটি দেশে "মাতৃভাষা" বলতে কোন জাতিগোষ্ঠীর ভাষাকে বুঝানো হয়ে থাকে। সিঙ্গাপুরে "মাতৃভাষা" বলতে কোন ভাষায় পারদর্শী তা নয়, বরং কোন জাতিগোষ্ঠীর ভাষাকে বুঝানো হয়।

গুরুত্ব

একটি শিশুর মাতৃভাষা হল তার ব্যক্তিগত, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিচয়ের অংশ।[3] মাতৃভাষা সফলভাবে কাজ ও কথা বলার সামাজিক ধরনকে প্রতিফলন ঘটাতে সাহায্য করে। মাতৃভাষা বা স্থানীয় ভাষা বলে কিছু নেই এমন যুক্তিও রয়েছে। গবেষণায় বলা হয়ে থাকে নির্দিষ্ট স্থানের বাইরের লোকজনও দুই বছরের মধ্যে সেই ভাষার উপর দক্ষতা অর্জন করতে পারেন।[4]

তথ্যসূত্র

  1. Ivan Illich, "Vernacular Values"
  2. [Ivan Illich] in Patttanayak, 1981:24 cited in "(M)other Tongue Syndrome: From Breast to Bottle"
  3. "Terri Hirst: The Importance of Maintaining a Childs First Language".
  4. Second Language Acquisition Essential Information: Professor J. Cummins
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.