মহিউদ্দীন খান আলমগীর

অন্য ব্যবহারের জন্য, দেখুন মহিউদ্দিন (দ্ব্যর্থতা নিরসন)

মহিউদ্দীন খান আলমগীর
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১৯৪২
চাঁদপুর
নাগরিকত্বব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)
পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
সন্তানড. জালাল আলমগীর
পিতামাতাশিক্ষাবিদ আশেক আলী খান
পেশাসংসদ সদস্য
ধর্মমুসলিম

মহিউদ্দীন খান আলমগীর (জন্মঃ ১৯৪২) বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ, লেখক, সাবেক সরকারি কর্মকর্তা ও মন্ত্রী। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

মহিউদ্দীন খান আলমগীর ১৯৪২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এবং বস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উন্নয়ন অর্থনীতিতে স্নাতক সম্পন্ন করেন এবং বস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন।

কর্মজীবন

১৯৬২ থেকে ১৯৬৫ পর্যন্ত ঢাকা বিশবিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে শিক্ষকতা করেন মহিউদ্দীন খান আলমগীর। সেই বছরই পাকিস্তানের সরকারের সরকারি কর্মকর্তা পদে যোগদান করেন এবং প্রায় ৩২ বছর সরকারের বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন।[[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি পাকিস্তানের উপবিভাগীয় কর্মকর্তা (সিএসপি ডিসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর বাংলাদেশের স্বাধীন কর্ম কমিশন গঠিত হয় এবং মহিউদ্দীনকে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি ১৯৭৬ থেকে ১৯৭৯ পর্যন্ত যশোরের জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত এবং ১৩ই সেপ্টেম্বর ২০১২ বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে দায়িত্ব লাভ করেছেন। এছাড়াও, তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন। তাকে, পার্বত্য শান্তি চুক্তি ও গঙ্গা পানি চুক্তির রূপকারও বলা হয়।

সমালোচনা

২০১৩ সালে সাভারে নয় তালা ভবন ধ্বসের পর বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, বিরোধী দলের (বিএনপি) কর্মীরা হরতালের সময় ঐ ভবনের পিলার ধরে নাড়াচাড়া করে, যা ঐ ভবন ধ্বসের একটি কারণ হতে পারে । তার এই বক্তব্য জনসাধারনের মাঝে ব্যাপক সমালোচিত হয়।[1][2] মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকী মহিউদ্দীনকে পাকিস্তানি দোসর বলে অভিযুক্ত করেন কারণ তিনি ১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে পাকিস্তান সরকারের অধীনে এসডিও পদে কর্মরত ছিলেন।[3] স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বিরোধী দলের উপর অত্যচারে পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহারের অভিযোগে মহিউদ্দিনের সমালোচনা করা হয়। এছাড়া পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করে আন্দোলনে অংশ নেয়া জামাত-শিবিরের কর্মীকে হত্যার অভিযোগেও তিনি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন। এই আন্দোলনটি ছিল যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডিত তাদের নেতার মুক্তির দাবীতে।[4]

তথ্যসূত্র

  1. YouTubeyoutube.com
  2. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৩০ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০১৩
  3. Kader Siddiqui urges for tial of Rajakar Mohiuddin Khan AlomgirYouTube। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
  4. "Mass killing and Genocide in Bangladesh on 28th February, 2013"CNN iReport
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.