মরফিন

মরফিন প্রবলভাবে কার্যকর অপিওয়েড(Opiate) ব্যথানাশক। এটি সরাসরি কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের উপর কাজ করে ব্যথা অনুভূতি নাশ করে। এটি অতি নিদ্রাকারকও বটে। এটি প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত অ্যালকালয়েড জাতীয় পদার্থ যা অপিয়াম পপি নামক উদ্ভিদের অপরিপক্ক বীজের আঠালো রস থেকে আহরণ করা হয়।

মরফিন
ক্লিনিক্যাল তথ্য
এএইচএফএস/ড্রাগস.কমমনোগ্রাফ
গর্ভধারণ
বিষয়শ্রেণী
  • AU: C
  • US: C (Risk not ruled out)
    নির্ভরশীলতার
    দায়
    High
    প্রশাসন
    রুটসমূহ
    Inhalation (smoking), insufflation (snorting), oral, rectal, subcutaneous (S.C), intramuscular (I.M), intravenous (I.V), epidural, and intrathecal (I.T.)
    এটিসি কোড
    আইনি অবস্থা
    আইনি অবস্থা
    • AU: S8 (Controlled)
    • CA: Schedule I
    • US: Schedule II
    • UN: Narcotic Schedules I and III
    • Prescription Medicine Only
    ফার্মাকোকাইনেটিক উপাত্ত
    বায়োভ্যালিয়েবিলিটি20–40% (oral), 36–71% (rectally),[1] 100% (IV/IM)
    প্রোটিন বন্ধন30–40%
    বিপাকHepatic 90%
    জৈবিক অর্ধ-জীবন2–3 hours
    রেচনRenal 90%, biliary 10%
    শনাক্তকারী
    সিএএস সংখ্যা
    • 57-27-2 Y
      64-31-3 (neutral sulfate),
      52-26-6 (hydrochloride)
    পাবকেম সিআইডি
    আইইউপিএইচএআর/বিপিএস
    ড্রাগব্যাংক
    কেমস্পাইডার
    ইউএনআইআই
    কেইজিজি
    সিএইচইবিআই
    সিএইচইএমবিএল
    ইসিএইচএ তথ্যকার্ড100.000.291
    রাসায়নিক ও ভৌত তথ্য
    সংকেতC17H19NO3
    মোলার ভর285.34
    থ্রিডি মডেল (JSmol)
    Solubility in waterHCl & sulf.: 60 mg/mL (20 °C)
      (verify)

    আবিষ্কার

    ১৮০৫ সালে জার্মান ফার্মাসিস্ট ফ্রিডরিখ সার্টারনার (Friedrich Sertürner) সর্বপ্রথম অপিয়াম থেকে মরফিন পৃথক করেন এবং এর নামকরণ করেন গ্রিক স্বপ্ন দেবতা মরফিয়াস এর নাম অনুসারে।

    কার্যকৌশল

    মরফিন স্নায়ুতন্ত্রের অপিওয়েড (Opiate) রিসেপ্টরের উপর ক্রিয়া করে ব্যথা উদ্দীপনার পরিবহনকে রোহিত করে ও অবসাদ তৈরি করে।

    চিকিৎসাশাস্ত্রে ব্যবহার

    এটা প্রাথমিকভাবে ব্যথা নাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অস্ত্রোপচারকালে রুগীকে অজ্ঞান করতে এর ব্যবহার আছে। এছাড়া হৃদপিণ্ডের অসুখ যেমন মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন, অ্যাকিউট করোনারি সিনড্রোম এবং ফুসফুসের ইডিমা বা শোথরোগেও মরফিন ব্যবহার করা হয়। চিকিৎসাশাস্ত্রে মরফিনের ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আমেরিকান সৈনিকদের দ্বারা। সে সময় যুদ্ধাহত সৈনিকদের ব্যথা নাশের জন্য শিরায় ব্যবহার্য মরফিন ব্যবহৃত হত। পুনঃপুন ব্যবহার পরবর্তীকালে সৈনিকদের মাঝে মরফিনের প্রতি আসক্তি তৈরি করে যা “সোলজার ডিজিস” নামে পরিচিত।

    আসক্তি

    মরফিন প্রচণ্ড আসক্তিকারক। এটা মানসিক ও শারীরিক উভয় ধরনের নির্ভরশীলতা তৈরি করে। মরফিনে আসক্তরা মারাক্তক রকমের অবসাদগ্রস্ততা,বিষন্নতা,নিদ্রাহীনতা, স্মৃতিবিচ্যুতি, মতিভ্রমে আক্রান্ত হয়ে থাকে। এটা সিডিউল-১ ঔষধ এবং এটার বিক্রি, বিপণন, ব্যবহার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অধীনে করা হয়।

    তথ্যসূত্র

    1. Jonsson, Torsten (১৯৮৮)। "The Bioavailability of Rectally Administered Morphine"Basic and Clinical Pharmacology & Toxicology62 (4): 203–205। doi:10.1111/j.1600-0773.1988.tb01872.x। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০১২ অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার |coauthors= উপেক্ষা করা হয়েছে (|author= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)
    This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.