ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণ

ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণ (তামিল:வேலுப்பிள்ளை பிரபாகரன்) (জন্ম নভেম্বর ২৬, ১৯৫৪) শ্রীলঙ্কার বিচ্ছিন্নতাবাদী তামিল দল লিবারেশন টাইগার্স অফ তামিল ইলম এর প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক নেতা। ইনি তামিলদের অবিসংবাদিত নেতা ছিলেন । ইনি তামিল এর স্বাধীনতা যুদ্ধেরও নেতা ছিলেন। আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা বা ইন্টারপোলের চোখে প্রভাকরণ হলেন এমন এক ব্যক্তি যিনি যে কোন মুহূর্তে ছদ্মবেশ ধারণ করতে সক্ষম এবং আধুনিক সমরাস্ত্র ও বিস্ফোরক ব্যবহারে অত্যন্ত পারদর্শী। ইনি ২০০৯ এর আক্তা মিশন এ নিহত হন ।

ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণ
வேலுப்பிள்ளை பிரபாகரன்
জন্ম(১৯৫৪-১১-২৬)২৬ নভেম্বর ১৯৫৪
ভাল্ভেত্তিথুরাই, সিলন[1][1][2][3]
মৃত্যু১৯ মে ২০০৯(2009-05-19) (বয়স ৫৪)
নন্তিকাদল লাগুন, মুল্লাইতিভু, শ্রীলঙ্কা৯°১৮′৪০.৪৬″ উত্তর ৮০°৪৬′১৯.৪৮″ পূর্ব
মৃত্যুর কারণএসএএসএফের ১৮ মে, ২০০৯ তারিখের অপারেশনে[4]
অন্যান্য নামকারিকলন
পেশালিবারেশন টাইগার্স অফ তামিল ইলম প্রতিষ্ঠাতা ও নেতা
দাম্পত্য সঙ্গীমাথিবাদিনী ইরাম্বু (১৯৮৪-২০০৯) 
সন্তানচার্লস অ্যান্থনি (১৯৮৯-২০০৯) [5]
দুবারাগা (১৯৮৬-২০০৯)  [6]
বালাচন্দ্রন (১৯৯৭-২০০৯) [7]

জন্ম ও শৈশব

১৯৫৪ সালের ২৬ শে নভেম্বর জাফনা উপদ্বীপের উত্তরে অবস্থিত উপকূলীয় শহর ভেলভেত্তিয়াথুরাই-তে জন্মগ্রহণ করেন প্রভাকরণ৷ মা-বাবার চার সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন সবচেয়ে ছোট৷ জানা যায় প্রভাকরণ ছোটবেলায় নাকি অত্যন্ত লাজুক প্রকৃতির ছিলেন৷ কিন্তু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বই-এর পোকা প্রভাকরণ তামিলদের প্রতি শ্রীলংকার সংখ্যাগুরু সিংহলি জনগোষ্ঠীর বৈষম্য দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পরবর্তীতে ভারত বিদ্বেষী হলেও ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের দুই প্রবাদ পুরুষ সুভাষ চন্দ্র বসু এবং ভগত সিং তাকে প্রভাবত করেছিল৷ এছাড়া, আলেক্সান্ডার দ্য গ্রেট ও নেপোলিয়ানের জীবনাদর্শ তাকে ব্যাপক ভাবে প্রভাবিত করে ছিল।

মৃত্যু

শ্রীলঙ্কান সরকার এর সাথে এলটিটিই এর আলচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান বার বার প্রভাকরণের স্বাধীন ভূখণ্ডের অনড় দাবীর কারনে ভেস্তে যাওয়ায় চূড়ান্তভাবে এলটিটিই বিদ্রোহ দমনের সিদ্ধান্ত নেয় কলম্বো সরকার৷ তারপর থেকে শ্রীলংকা সরকার উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে সাঁড়াশি আক্রমণ শুরু করলে, একের পর এক এলাকা তামিল বিদ্রোহীদের হাতছাড়া হতে থাকে৷ ২০০৯ সালের গোড়ার দিকে টাইগারদের প্রশাসনিক রাজধানী কিলিনোচ্ছি হাতছাড়া হলে, শোচনীয় অবস্থায় পড়েন প্রভাকরণ৷উত্তর-পূর্ব শ্রীলঙ্কার মুল্লাইতিভুর অদূরে ২০০৯ সালের মে মাসে শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনীর চূড়ান্ত পর্যায়ের অপারেশনে মারা যান ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণ। তার স্ত্রী মাথিবাদিনী, মেয়ে দ্বারকা, বড় ছেলে তথা এলটিটিই`র বিমান শাখার প্রধান চার্লস অ্যান্টনি এবং ছোট ছেলে, ১২ বছরের বালাচন্দ্রনও নিহত হন। বালাচন্দ্রনের গুলিতে ঝাঁঝরা দেহের ছবি এর আগে প্রকাশিত হয়েছে।

তথ্যসূত্র

  1. "Lanka army sources"। Times of India। মে ১৮, ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-১৮
  2. Bosleigh, Robert (২০০৯-০৫-১৮)। "Tamil Tigers supreme commander Prabhakaran 'shot dead'"। London: Times Online। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-১৮
  3. Nelson, Dean (২০০৯-০৫-১৮)। "Tamil Tiger leader Velupillai Prabhakaran 'shot dead'"। London: Telegraph। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-১৯
  4. "Tiger leader Prabhakaran killed: Sources-News-Videos-The Times of India"। The Times of India। ২০০৯-০৫-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-১৯
  5. "Prabhakaran's son dead"। Mid-day.com। ২০০৯-০৫-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০২-২০
  6. "National Leader Prabakaran's Daughter Dwaraka's photos released – Most Shocking"। LankasriNews.com। ১৬ ডিসেম্বর ২০০৯। ২০১৪-১২-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০২-২০
  7. "BBC News - Balachandran Prabhakaran: Sri Lanka army accused over death"। BBC। ২০১৩-০২-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০২-২০
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.