ভূতত্ত্বের ইতিহাস

পাললিক শিলার গবেষণা থেকে দেখা যায় পাথর এবং পৃথিবীর স্তরবিন্যাস, প্রকৃতিবিদদের এই ধারণা প্রদান করে যে পৃথিবী তার অস্তিত্বের সময় থেকে অনেক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে। এই স্তরগুলিতে অজানা প্রাণীর জীবাশ্ম বিদ্যমান, যা স্তর থেকে স্তর থেকে জীবের অগ্রগতি ব্যাখ্যা করে থাকে।[1][2]

সপ্তদশ শতকে নিকোলাস স্টেনো প্রথম প্রকৃতিবিদ ছিলেন যিনি জীবাশ্ম অবশিষ্টাংশ এবং পাললিক শিলার মধ্যে সম্পর্কের ধারণা প্রদান করেন। তাঁর পর্যবেক্ষণসমূহ তাঁকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্তরবিজ্ঞান তত্ত্ব (যেমন, "উপরিপাত নীতি" এবং "মূল আনুভূমিক নীতি") প্রণয়ন করে।[3] ১৭৯০-এর দশকে উইলিয়াম স্মিথ অনুমান করেন যদি বিভিন্ন স্থানে শিলার দুটি স্তরের অনুরূপ জীবাশ্ম পাওয়া যায়, তাহলে সম্ভাবনা রয়েছে যে দুটি স্তরের বয়স একই।[4] উইলিয়াম স্মিথের ভাতিজা এবং ছাত্র, জন ফিলিপস পরে এই ধরনের গড় নিয়ে গণনা করে বলেন পৃথিবীর বয়স প্রায় ৯৬ মিলিয়ন বছর।[5]

অষ্টাদশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে প্রকৃতিবিদ মিখাইল লমনোসভ বলেন যে পৃথিবী মহাবিশ্বে অন্য কিছুর থেকে আলাদা ভাবে এবং কয়েক'শ হাজার বছর পূর্বে গঠিত হয়েছে। লমনোসভের ধারণা ছিল মূলত কাল্পনাপ্রসূ। ১৭৭৯ সালে কমতে দ্যু বুফন একটি পরীক্ষামূলক পদ্ধতি গ্রহণ করে পৃথিবীর বয়স একটি মান অর্জন করার চেষ্টা করেন: তিনি একটি ছোট গ্লোব তৈরি করেন যা পৃথিবীর গঠনতন্ত্রের অনুরূপ এবং তারপর তার শীতলীকরণের হার পরিমাপ করেন। এই পরীক্ষার দ্বারা তিনি একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে পৃথিবীর বয়স প্রায় ৭৫,০০০ বছর।

তথ্যসূত্র

  1. Lyell, Charles, Sir (১৮৬৬)। Elements of Geology; or, The Ancient Changes of the Earth and its Inhabitants as Illustrated by Geological Monuments (Sixth সংস্করণ)। New York: D. Appleton and company। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০১৭
  2. Stiebing, William H. (১৯৯৪)। Uncovering the Past। Oxford University Press US। আইএসবিএন 0-19-508921-9।
  3. Brookfield, Michael E. (২০০৪)। Principles of Stratigraphy। Blackwell Publishing। পৃষ্ঠা 116। আইএসবিএন 1-4051-1164-X।
  4. Fuller, J. G. C. M. (২০০৭-০৭-১৭)। "Smith's other debt, John Strachey, William Smith and the strata of England 1719–1801"Geoscientist। The Geological Society। ২৪ নভেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-১৯
  5. Burchfield, Joe D. (১৯৯৮)। "The age of the Earth and the invention of geological time"। Geological Society, London, Special Publications143 (1): 137–143। doi:10.1144/GSL.SP.1998.143.01.12বিবকোড:1998GSLSP.143..137B
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.