ভীতিপ্রদ সাহিত্য

ভীতিপ্রদ সাহিত্য (ইংরেজি: Horror fiction, হরর ফিকশন) সাহিত্যের একটি ধারা যেখানে পাঠক বা দর্শকে ভয় পাওয়ানোই হয় প্রধান লক্ষ্য। ঐতিহাসিকভাবে এই ভয় মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অতিলৌকিক কল্পনা থেকে সঞ্জাত। ১৯৬০-এর দশক থেকে যেকোনো অস্বাভাবিক, বীভৎস, পরাবাস্তব, অথবা বিশেষভাবে রহস্যময় বা ভয়প্রদ থিমের সৃষ্টিকর্মই হরর নামে আখ্যাত হয়ে আসছে। ভীতিপ্রদ সাহিত্য প্রায়শই কল্পবিজ্ঞানফ্যান্টাসির সঙ্গে পরস্পর সম্পৃক্ত আকারে লক্ষিত হয়; বর্তমানে তাই এই তিন ধারাকে একত্রে কল্পসাহিত্য ধারার ছত্রতলে আনা হয়েছে।

ভূতগ্রস্থতাকে (haunting) ভৌতিক ও অস্বভাবী সাহিত্যে মূল কাহিনিকাঠামো হিসেবে ব্যবহার করা হয়। হানাবাড়ির কিংবদন্তি তো সাহিত্যের একটি পুরনো থিম। উদাহরণস্বরূপ, the আরব্যরজনীর "কাইরেন আলি ও বাগদাদের হানাবাড়ি" গল্পে দেখা যায় জিন পরিপূর্ণ এক হানাবাড়ি।[1] আরব্যরজনীর এই প্রভাব আধুনিক ভৌতিক সাহিত্যেও লক্ষ্য করা যায়, বিশেষত এইচ পি লাভক্র্যাফট রচিত গ্রন্থাবলিতে।[2]

ভীতিপ্রদ সাহিত্যে উৎকর্ষের জন্য একাধিক পুরস্কারও দেওয়া হয়। দ্য হরর রাইটারস অ্যাসোসিয়েশন এই ধারায় শ্রেষ্ঠ কৃতিত্বের জন্য ব্রাম স্টকার অ্যাওয়ার্ড দিয়ে থাকে। এই পুরস্কার দেওয়া হয় বিশিষ্ট ড্রাকুলা-র লেখক তথা বিশিষ্ট ভৌতিক কাহিনিকার ব্রাম স্টকারের নামাঙ্কিত।[3]

আজ ভৌতিক সাহিত্য চলচ্চিত্রেরও অন্যতম জনপ্রিয় ধারা।[4]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. Yuriko Yamanaka, Tetsuo Nishio (২০০৬), The Arabian Nights and Orientalism: Perspectives from East & West, I.B. Tauris, পৃষ্ঠা 83, আইএসবিএন 1850437688
  2. Irwin, Robert (২০০৩), The Arabian Nights: A Companion, Tauris Parke Paperbacks, পৃষ্ঠা 290, আইএসবিএন 1860649831
  3. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১০ মার্চ ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০০৯
  4. Chad Austin। "Horror Films Still Scaring – and Delighting – Audiences"। North Carolina State University News। ২০০৭-০১-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০১-১৬

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.