ভিটামিন সি
ভিটামিন সি বা L-ascorbic acid (উচ্চারণঃ এল-অ্যাস্করবিক এসিড) কিংবা শুধু অ্যাস্করবেট (অ্যাস্করবিক এসিডের অ্যানায়ন) হল মানুষসহ বিভিন্ন প্রাণী ও উদ্ভিদের জন্য একটি প্রয়োজনীয় পুষ্টিপদার্থ। ‘ভিটামিন সি’ দ্বারা মূলত এর একাধিক ভিটামারকে বোঝানো হয় যেগুলো প্রাণী ও উদ্ভিদের দেহে ভিটামিন সি এর মত কাজ করে। এসব ভিটামারের মধ্যে অ্যাস্করবিক এসিডসহ এর বিভিন্ন লবণ ও ডিহাইড্রোঅ্যাস্করবিক এসিডের (dehydroascorbic acid) মত কিছু জারিত (oxidized) যৌগ বিদ্যমান। অ্যাস্করবেট বা অ্যাস্করবিক এসিড, এ দুয়ের যেকোন একটি দেহে প্রবেশ করলে প্রাকৃতিকভাবে দুটি পদার্থই প্রস্তুত হয়। এর কারণ, এরা pH এর মানের তারতম্যের সাথে একটি থেকে আরেকটিতে রূপান্তরিত হতে পারে। এটি কমপক্ষে আট রকমের এনজাইম সংশ্লেষণ বিক্রিয়ায় কো-ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। উদাহরণস্বরূপ, এটি বিভিন্ন কোলাজেন সংশ্লেষণ বিক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যেগুলোর অভাবে স্কার্ভি রোগের উপসর্গসমূহ দেখা দেয়।[1] প্রাণীদের দেহে এ বিক্রিয়াসমূহ প্রধাণত ক্ষত-পূরণে ও কৈশিক রক্তনালী থেকে রক্তক্ষরণ বন্ধে প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করে। অ্যাস্করবেট জারণজনিত পীড়ন (oxidative stress) রোধে একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।[2]
![]() | |
![]() | |
ক্লিনিক্যাল তথ্য | |
---|---|
প্রতিশব্দ | L-ascorbic acid |
এএইচএফএস/ড্রাগস.কম | মুলতুম ভোক্তার তথ্য |
গর্ভধারণ বিষয়শ্রেণী |
|
প্রশাসন রুটসমূহ | oral |
এটিসি কোড |
|
আইনি অবস্থা | |
আইনি অবস্থা |
|
ফার্মাকোকাইনেটিক উপাত্ত | |
বায়োভ্যালিয়েবিলিটি | rapid & complete |
প্রোটিন বন্ধন | negligible |
জৈবিক অর্ধ-জীবন | varies according to plasma concentration |
রেচন | renal |
শনাক্তকারী | |
আইইউপিএসি নাম
| |
সিএএস সংখ্যা | |
পাবকেম সিআইডি | |
আইইউপিএইচএআর/বিপিএস | |
ড্রাগব্যাংক | |
কেমস্পাইডার | |
ইউএনআইআই | |
কেইজিজি | |
সিএইচইবিআই | |
সিএইচইএমবিএল | |
NIAID ChemDB | |
ই সংখ্যা | E300 (antioxidants, ...) |
ইসিএইচএ তথ্যকার্ড | 100.000.061 |
রাসায়নিক ও ভৌত তথ্য | |
সংকেত | C6H8O6 |
মোলার ভর | 176.12 g/mole |
থ্রিডি মডেল (JSmol) | |
ঘনত্ব | 1.694 g/cm3 |
গলনাঙ্ক | ১৯০ °সে (৩৭৪ °ফা) |
স্ফুটনাঙ্ক | ৫৫৩ °সে (১,০২৭ °ফা) |
এসএমআইএলইএস
| |
আইএসসিএইচএল
| |
(verify) |

(বিজারিত অবস্থায়)

(জারিত অবস্থায়)
অভাবজনিত সমস্যা ও রোগ
১. যাঁদের শরীরে ভিটামিন সি-এর অভাব রয়েছে, তারা খুব সহজে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। শরীরে শক্তি কমে যায়, অবসন্ন হয়ে পড়েন।
২. শরীরে ভিটামিন সি-এর ঘাটতি হলে বিরক্তিভাব দেখা দেয়। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।
৩. যাদের শরীরে ভিটামিন সি-এর ঘাটতি হয়, তাদের হঠাৎ করে ওজন কমে যেতে পারে।
৪. ভিটামিন সি-এর অভাব হলে গিঁটে ব্যথা বা পেশিতে ব্যথার সমস্যা হয়।
৫. ভিটামিন সি-এর অভাব হলে দেহে কালশিটে দাগ পড়ে।
৬. ভিটামিন সি দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে। এর ঘাটতি দেখা দিলে এসব অংশে সমস্যা হতে পারে।
৭. ত্বক ও চুল শুষ্ক হয়ে যাওয়াও ভিটামিন সি-এর ঘাটতির লক্ষণ।
৮. ভিটামিন সি-এর ঘাটতি হলে শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায়।[3]
তথ্যসূত্র
- "Vitamin C"। Food Standards Agency (UK)। ১ জুলাই ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০০৭।
- Padayatty SJ, Katz A, Wang Y, Eck P, Kwon O, Lee JH, Chen S, Corpe C, Dutta A, Dutta SK, Levine M (ফেব্রুয়ারি ২০০৩)। "Vitamin C as an antioxidant: evaluation of its role in disease prevention"। J Am Coll Nutr। 22 (1): 18–35। doi:10.1080/07315724.2003.10719272। PMID 12569111।
- শরীরে ভিটামিন সি-র ঘাটতি হলে কী হয়?
বহিঃসংযোগ
- Vitamin C Fact Sheet from the U.S. National Institutes of Health
- Vitamin C bound to proteins in the PDB
- National Nutrient Database at USDA Website