ভাগ্যকুল জমিদার বাড়ি
ভাগ্যকুল জমিদার বাড়ি বাংলাদেশ এর মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল গ্রামে অবস্থিত এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি। [1]
ভাগ্যকুল জমিদার বাড়ি | |
---|---|
সাধারণ তথ্য | |
ধরন | বাসস্থান |
অবস্থান | শ্রীনগর উপজেলা |
ঠিকানা | ভাগ্যকুল |
শহর | শ্রীনগর উপজেলা, মুন্সিগঞ্জ জেলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
খোলা হয়েছে | ১৯০০ |
স্বত্বাধিকারী | যদুনাথ সাহা |
কারিগরী বিবরণ | |
পদার্থ | ইট, সুরকি ও রড |
তলার সংখ্যা | দ্বিতল |
ইতিহাস
আনুমানিক ১৯০০ শতকে জমিদার যদুনাথ সাহা এই জমিদার বাড়ি প্রতিষ্ঠা করেন। যদুনাথ সাহা ছিলেন মূলত একজন ব্যবসায়ী। তিনি বরিশাল থেকে সুপারি, লবণ ও শাড়ি আমদানি করে কলকাতার মুর্শিদাবাদে রপ্তানি করতেন। জমিদার যদুনাথ সাহা ছিলেন পাঁচ সন্তানের জনক। তাই তাদের জন্য আলাদা আলাদাভাবে আরো চারটি বাড়ি তৈরি করেন। যেগুলো বর্তমানে কোকিলপেয়ারি জমিদার বাড়ি, জজ বাড়ি ও উকিল বাড়ি নামে পরিচিত। আর মূল বাড়িটি ছোট ছেলে নবকুমারকে দিয়ে দেন। এই জমিদার বংশধররা ব্রিটিশ আমলে কয়েকজন বাঙালী ধনীদের মধ্যে একটি ধনী পরিবার ছিল। জমিদারদের মধ্যে হরলাল রায়, রাজা শ্রীনাথ রায় ও প্রিয়নাথ রায়ের নাম উল্লেখযোগ্য। তারা তাদের কর্মযজ্ঞের ফলে ব্রিটিশদের কাছ থেকে রাজা উপাধি লাভ করেন। তখনকার সময় এই জমিদার বংশধররা সকলেই ছিলেন উচ্চ শিক্ষিত। জমিদার বংশধরদের অধিকাংশ এখন ভারতের মুর্শিদাবাদে বসবাস করতেছেন। তবে এই বংশধরের অনেকে এখনো এখানে বসবাস করতেছেন।
অবকাঠামো
প্রথমে একটি বাড়ি নির্মাণ করা হয়। পরে আরো চারটি বাড়ি নির্মাণ করা হয়। সবগুলো বাড়িই গ্রীক স্থাপত্যের আদলে তৈরি করা হয়। এছাড়াও এখানে কয়েকটি মন্দির ও বাড়ির সৌন্দর্যের জন্য পুকুরসহ অনেক কিছু নির্মাণ করা হয়।
বর্তমান অবস্থা
পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে এবং অযত্ন ও অবহেলার কারণে বর্তমানে এই জমিদার বাড়ির অনেক কিছু এখন প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। শুধু প্রধান বাড়িটি এখনো মোটামুটি ভালো অবস্থায় আছে।