ভরত (দ্ব্যর্থতা নিরসন)

ভরত একটি ভারতীয় পৌরাণিক নাম। ভারতীয় মহাকাব্য ও পুরাণে "ভরত" নামের তিনটি পৃথক চরিত্র আছে। এদেরই একজন চন্দ্রবংশীয় রাজা ভরতের নামানুসারে ভারতবর্ষের নামাকরণ হয়েছিল। তবে ভারতের সাংস্কৃতিক ইতিহাসে দেখা যায় প্রাচীনকালে ভরত নামে একজন নাট্টশাস্ত্র প্রণেতাও ছিলেন যার গ্রন্থে ভারতের নাট্যকলার বিবরণ পাওয়া যায়।

সূর্যবংশীয় ভরত

সূর্যবংশীয় রাজা দশরথ ও তদীয় স্ত্রী কৈকেয়ীর পুত্র ; রামের বৈমাত্রেয় ভাই। কৈকেয়ী নিজপুত্র ভরতকে রাজাসনে সমাসীন করার লক্ষ্যে রামকে বনবাসে পাঠিয়েছিল। বনবাস থেকে রাম ফিরে এলে ভরত রাজত্ব তার হাতে তুলে দেয়। অত:পর দুই পুত্র তক্ষ ও পুষ্কলকে নিয়ে ভরত গন্ধর্বদেশ জয় করে এবং তা দুই পুত্রের মধ্যে ভাগ করে দেয়। ভরত রামের মতোই সরযুসলিলে আত্মবিসর্জন করে। রামায়ণ, বিষ্ণুপুরাণ এবং ভাগবতে সূর্যবংশীয় ভরতের বিবরণ পাওয়া যায়।

চন্দ্রবংশীয় রাজা ভরত

রাজা দুষ্মন্তশকুন্তলার পুত্র চন্দ্রবংশীয় রাজা ভরত। তার জন্ম কণ্বমুনির আশ্রমে। রাজত্ব লাভের পর সে সকল নৃপতিকে পরাজিত করে। এক পর্যায়ে পুরো ভারতবর্ষ তার শাসনাধীন হয়। বিদর্ভরাজের তিন কন্যার সঙ্গে এর বিয়ে হয়। এরই নামানুসারে ভারতবর্ষের নামাকরণ হয়েছিল বলে কথিত আছে। কুরু এর নবম বংশধর।

ঋষভদেবপুত্র ভরত

ঋষভদেবের পুত্র ভরত ছিল বিষ্ণুভক্তিপরায়ণ। বিশ্বরূপের কন্যা পঞ্চাজনার সঙ্গে এর বিয়ে হয়। পাঁচ পুত্রের মধ্যে রাজ্য ভাগ করে দিয়ে সে তপস্যায় ব্রত হয়। লোকসঙ্গ বিবর্জন করে জড়বৎ জীবনযাপনের জন্য এর নাম হয়েছিল ‍জড়ভরত‍।

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.