ব্লু-রে ডিস্ক

ব্লু-রে ডিস্ক (ইংরেজি: Blu-ray Disc) যা বিডি বা ব্লু-রে) নামেও পরিচিত, এক প্রকার অপটিকাল ডিস্ক ডিভাইস, যা ডিজাইন করা হয়েছে অপর এক ধরনের তথ্য সংরক্ষণকারী ডিভাইস ডিভিডি-এর সাথে সাদৃশ্য রেখে।

এর মূল ব্যবহার হচ্ছে হাই-ডেফিনিশন ভিডিও, প্লেস্টেশন ৩ ভিডিও গেম, এবং অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণে। প্রতিটি একক লেয়ার বিশিষ্ট ব্লু-রে ডিস্ক ২৫ গিগাবাইট পর্যন্ত তথ্য ধারণ করতে পারে, আর দ্বৈত লেয়ারের ক্ষেত্রে এই ধারণক্ষমতা হয় ৫০ গিগাবাইট। যদিও এই ধারণক্ষমতা এর আদর্শ মাত্রাকে নির্দেশ করছে তদুপরি এর ধারণক্ষমতা এখনো বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ২০০ গিগাবাইটের ডিস্কও আবিষ্কৃত হয়েছে; এবং ১০০ গিগাবাইটের ডিস্কও আছে, যেগুলো কোনো অতিরিক্ত যন্ত্রাংশ বা সফটওয়্যার ছাড়া শুধুমাত্র সাধারণ ব্লু-রে ডিস্ক রিডার ব্যবহারের মাধ্যমেই তথ্য পাঠ করতে পারে।[1] এই ডিস্কের আকার-আকৃতি প্রচলিত সিডি-ডিভিডির মতোই।

ব্লু-রে ডিস্ক নামটি এসেছে এই ডিস্কে ব্যবহৃত নীল-বেগুনী লেজারের (ব্লু-ভায়োলেট লেজার) নামানুসারে। এই ডিস্কের তথ্য পাঠ করতে এই লেজার ব্যবহৃত হয়। সাধারণ মানসম্পন্ন আদর্শ ডিভিডির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় ৬৫০ ন্যানোমিটারের লাল লেজার। ব্লু-রে ডিস্কে তুলনামূলক ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্য, প্রায় ৪০৫ ন্যানোমিটারের নীল-বেগুনি লেজার ব্যবহৃত হয়। এর ফলে প্রচলিত ডিভিডির থেকে এটিতে প্রায় ১০ গুণ বেশি তথ্য সংরক্ষণ করা যায়।

ব্লু-রে ডিস্ক তৈরি করেছে ব্লু-রে ডিস্ক অ্যাসোসিয়েশন। এটি ইলেকট্রনিক্স, কম্পিউটার হার্ডওয়্যার, এবং চলচ্চিত্র ক্রেতাদের স্বার্থ উপস্থাপনকারী একটি সংগঠন। জুন ২০০৯ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়াযুক্তরাজ্যে প্রায় ১,৫০০ ব্লু-রে ডিস্ক টাইটেল পাওয়া গেছে, এবং জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, ও কানাডায় পাওয়া গেছে প্রায় ২,৫০০।[2][3]

তথ্যসূত্র

  1. "Hitachi Doubles Blu-ray Storage to 100GB"। Gizmodo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১২-২৭
  2. "Now Available"। Blu-ray.com। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১০-২২
  3. "Blu-ray/HD DVD releases in Japan"। AVWatch। ২০০৮-০৮-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-২১

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.