বোকো হারাম
বোকো হারাম (আরবি: جماعة اهل السنة للدعوة والجهاد জামাতু আহ্লিস সুন্নাহ লাদ্দাআওাতিহ ওয়াল-জিহাদ) নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন[4] যারা আল-কায়েদার মতো পশ্চিমা শিক্ষা-সংস্কৃতির বিরুদ্ধে। আত্মঘাতী বোমা হামলা তাদের প্রধান যুদ্ধপদ্ধতি এবং আল-কায়েদার মতো 'আদর্শ' বাস্তবায়নে চরমপন্থী। বোকো হারামের যোদ্ধারা প্রশিক্ষণের জন্য সোমালিয়া যাচ্ছে। কেউ কেউ আফগানিস্তান পর্যন্ত গেছে বলে মনে করা হয়।[5]
বোকো হারাম জনগণ নবীর শিক্ষা এবং জিহাদের প্রচারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ جماعة أهل السنة للدعوة والجهاد | |
---|---|
the Nigerian Sharia conflict-এ অংশগ্রহণকারী | |
Boko Haram mujahedeen.jpg | |
সক্রিয় | 2001– |
আদর্শ | Sharia law Islamic fundamentalism |
নেতৃত্ব | Mohammed Yusuf † Abubakar Shekau[1] Mallam Sanni Umaru[2][3] Abu Zaid – spokesman[3] |
সদর দফতর | Borno State, Nigeria |
কার্যক্রমের অঞ্চল | Northern Nigeria |
মিত্র | Al-Qaeda in the Islamic Maghreb |
শত্রু | Nigerian State |
যুদ্ধসমূহ | Nigerian Sharia conflict 2009 Nigerian sectarian violence |
উৎপত্তি
বোকো শব্দটি হাউসা ভাষার আর হারাম এসেছে আরবি থেকে। বোকো অর্থ পশ্চিমা শিক্ষা। বোকো হারাম মানে পশ্চিমা শিক্ষা পাপ।[6]
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য


বোকো হারামের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠিত করা। মুখপাত্র আবু কাকা বলেন, "যখন আমরা দেখবো সবকিছু আল্লাহর নির্দেশ মতো করা হচ্ছে এবং আমাদের সঙ্গীদের কারাগার থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে, একমাত্র তখনই আমরা আমাদের অস্ত্র একপাশে সরিয়ে রাখবো। কিন্তু আমরা তা ত্যাগ করবো না। কারণ ইসলামী বিধান অনুসারে আপনি অস্ত্র একপাশে সরিয়ে রাখতে পারেন, ত্যাগ করতে পারেন না"।[7]
অর্থ প্রাপ্তি
আল-কায়েদার ইসলামিক সদস্য. সৌদি আরব ও যুক্তরাজ্যের কিছু গোষ্ঠী বোকো হারামের তহবিল সংগ্রহ করে থাকে। এছাড়া আল মুনতাদা ট্রাস্টও তহবিল জুগিয়ে থাকে।[6]
ইতিহাস
নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে বোকো হারামের প্রধান ঘাঁটি। মানুষের তৈরি আইন ও আধুনিক বিজ্ঞানকে দলটি অস্বীকার করে। মোহাম্মদ ইউসুফ ২০০১ সালে বোকো হারাম প্রতিষ্ঠা করেন। [6] বোরনো প্রদেশের রাজধানী মাইদুগুরির নিকটবর্তী শহর দাম্বোয়ায় বোকো হারাম প্রতিষ্ঠিত হয়। সেখানে বোকো হারাম শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।[8]
হামলা
দেশটির খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ওপর একের পর এক হামলার জন্য দায়ী। দেশটিতে ২০১২ সালে ৬২০ জন ও ২০১১ সালে ৪৫০ জন নিরীহ মানুষকে হত্যার জন্য জঙ্গি দলটিকে দায়ী করা হয়। বলা হয়, ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বোকো হারাম তিন থেকে ১০ হাজার মানুষ হত্যা করেছে। তাদের সঙ্গে একিউআইএমের সম্পর্ক আছে বলে ধারণা করা হয়।[4]
তথ্যসূত্র
- Brock, Joe (১২ জানুয়ারি ২০১২)। "Nigeria sect leader defends killings in video"। Reuters Africa। Thomson Reuters। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০১-২৪।
- allafrica.com
- "The Abuja Bomber"। ২৮ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩। অজানা প্যারামিটার
|1=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) - সাহারা অঞ্চলের জঙ্গি সংগঠনগুলো, দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ১৫-০২-২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।
- পাখা মেলছে বোকো হারাম?,তারেক খান, বিবিসি অবলম্বনে, দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ০১-০৭-২০১১ খ্রিস্টাব্দ।
- নাইজেরিয়ায় অশান্তির মূলে বোকো হারাম ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৪-০৭-২৭ তারিখে,মোঃ রেজাউল করিম, দৈনিক আজাদী। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ৮ অক্টোবর ২০১২ খ্রিস্টাব্দ।
- ‘শরিয়া প্রতিষ্ঠায় হামলা চালিয়ে যাবে বোকো হারাম’, সাপ্তাহিক সোনার বাংলা। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২ খ্রিস্টাব্দ।
- নাইজেরিয়ায় সন্দেহভাজন বোকো হারাম হামলায় নিহত ২৩ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৮ মার্চ ২০১৬ তারিখে,রয়টার্স, দৈনিক সংগ্রাম। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ২৪ জানুয়ারি ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।
বহিঃসংযোগ
- Boko Haram Special Report, United States Institute of Peace
- Confronting the Terrorism of Boko Haram in Nigeria, JSOU
- More information on Boko Haram
- Who are Boko Haram? (CNN)
- Analysis of Boko Haram on IRIN News
- Former U.S. Ambassador to Nigeria arguing that Boko Haram is not a formal terrorist group
- Books versus bullets in north-east Nigeria RFI English
- Boko Haram's Evolving Threat, Africa Center for Strategic Studies
- Boko Haram - Council on Foreign Relations