বৈশম্পায়ন

হিনদু পৌরাণিক কাহিনি মতে– ব্যাসদেবের প্রিয় শিষ্য। ব্যাসদেব এঁকে সংহিতা প্রদান করেছিলেন। ইনি লোমহর্ষণের কাছে পুরাণ পাঠ করেন। পরে তিনি ছয়জন শ্রেষ্ঠ পুরাণজ্ঞের একজনে পরিণত হন। জনমেজয় কুরুপাণ্ডব-চরিত-কথা শুনতে ইচ্ছা করলে ব্যাসদেব এঁকে মহাভারতের কাহিনী বলতে আদেশ করেছিলেন।

ইনি মহর্ষি যাজ্ঞবল্ক্যকে যজুর্বেদ শিক্ষা দিয়েছিলেন। একবার ইনি ভুলক্রমে তার ভাগ্নেকে লাথি মারলে, ভাগ্নে মৃত্যুবরণ করেন। এই পাপের প্রায়শ্চিত্তস্বরূপ তিনি শিষ্যদের যজ্ঞের অনুষ্ঠান করতে বলেন। উত্তরে যাজ্ঞবল্ক্য বলেন যে, তিনি একাই এই যজ্ঞ করতে পারবেন। যাজ্ঞবল্ক্যের এইরূপ গর্বিত বাক্য শুনে, বৈশম্পায়ন ভীষণ রেগে যান এবং যাজ্ঞবল্ক্যকে তার অধীত বিদ্যা ফিরিয়ে দিতে বলেন। গুরুর নির্দেশ মেনে নিয়ে, যাজ্ঞবল্ক্য সমস্ত যজুর্বেদ বমি করে ত্যাগ করেন।

মহাভারত রচয়িতা হিসেবে বৈশম্পায়নের ভূমিকা

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.